সংক্ষিপ্ত

কালো কিশমিশ ওজন কমাতে সাহায্য করবে এবং কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করবে। এগুলিকে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখলে তাদের স্বাস্থ্যের উপকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়, কারণ এটি করলে তাদের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
 

যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা শীতকাল প্রতিদিনের ডায়েটে ৪-৫ টা কিশমিশ অবশ্যই রাখে। তবে জানলে অবাক হবেন সাধারন কিশমিশের তুলনায় কয়েক গুন বেশি কার্যকর কালো কিশমিশ। শীতকালে একটি স্বাস্থ্যকর অপশন হিসাবে কালো কিশমিশ খেতে পারেন। এটি শুধুমাত্র আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে না বরং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য খিদে পাওয়া থেকেও রক্ষা করবে। কালো কিশমিশ ওজন কমাতে সাহায্য করবে এবং কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করবে। এগুলিকে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখলে তাদের স্বাস্থ্যের উপকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়, কারণ এটি করলে তাদের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
কালো আঙুর শুকিয়ে কালো কিশমিশ তৈরি করা হয়। এটি কেক, খির এবং বরফি ইত্যাদির মতো অনেক ধরণের মিষ্টিতেও ব্যবহৃত হয়। চুল পড়া কমানো থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা পর্যন্ত কালো কিশমিশের রয়েছে অগণিত উপকারিতা। আসুন জেনে নেই এর স্বাস্থ্য উপকারিতা।
১) অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে
পটাশিয়াম ছাড়াও কালো কিশমিশে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। এটি হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েথে, কালো কিশমিশে উপস্থিত মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
২) পাকা চুল ও চুল পড়া কমায়
 যদি শীতকালে শুষ্ক এবং ফাটা চুলের মতো সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে প্রতিদিন কালো কিশমিশ খাওয়া শুরু করুন। এগুলি আয়রনের একটি পাওয়ার হাউস এবং এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা খনিজ দ্রুত শোষণে সহায়তা করে এবং চুলের পুষ্টি সরবরাহ করে।
৩) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
 যদি রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে কালো কিশমিশ উপশম দিতে পারে। কিশমিশে থাকা উচ্চ পটাসিয়াম রক্ত ​​থেকে সোডিয়াম কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৪) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কালো কিশমিশ ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
৫) রক্তশূন্যতা দূরে রাখে
যাদের রক্তস্বল্পতার সমস্যা আছে তারাও নিয়মিত এক মুঠো কালো কিশমিশ খেলে উপকার পেতে পারেন কারণ এতে আয়রন বেশি থাকে। এগুলি ছাড়াও কালো কিশমিশ মাসিকের সময় ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর সাথে, এটি শক্তির স্তর উন্নত করতে সহায়তা করে।
৬) কালো কিশমিশ ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
ভিজিয়ে রাখা কালো কিশমিশ খেতে পারেন। ভিজিয়ে রাখলে এগুলো সহজে হজম হয়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে এক মুঠো কিসমিস সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে খান। এতে উপকারীতা কোনও ওষুধের চেয়ে কম নয়।

আরও পড়ুন: Winter Skin Care: শীত ত্বকের যত্ন নিতে লাগান দইয়ের ফেসপ্যাক, রইল দই দিয়ে তৈরি কয়েকটি প্যাকের হদিশ

আওর পড়ুন: ত্বক উজ্জ্বল করতে কিংবা অ্যাসিডের সমস্যা দূর করতে আমলকি খান, রইল আমলকির ১০টি গুণের খোঁজ

আরও পড়ুন: এই চার অভ্যেস আজই বদল করুন, আপনার ব্যক্তিত্বের খারাপ প্রভাব ফেলছে এগুলো

আরও পড়ুন: Office Gossip: বুঝতে পারছেন সকলের অফিস গসিপের প্রধান টপিক আপনি, জেনে নিন এই পরিস্থিতিতে কী করবেন