সংক্ষিপ্ত

ইউক্রেনের (Ukraine) অব্যাহত রাশিয়ার (Russia)হামলা। দেশ রক্ষার জন্য বন্দুক (Gun) হাতে তুলে নিয়েছেন ইউক্রেনের সাধারণ জনগণ থেকে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। এবার রাশিয়ার হামলায় প্রাণ হারালেন ইউক্রেনের দুই ফুটবলার (Two Footballer)।
 

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইউক্রেনের (Ukraine) উপর হামলার জন্য সমালোচিত হচ্ছে রাশিয়া (Russia)। নানাভাবে এক ঘরে করা হচ্ছে ভ্লাদিমির  পুতিনের (Vladimir Putin) দেশকে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে তো একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ব্য়ান করেছে রাশিয়াকে। তারপরও রুশ সেনার আগ্রাসন এখনও কম হচ্ছে না। কিয়েভ দখলের লক্ষ্যে জারি রয়েছে বোমা বর্ষণ। সমুদ্র পথেও ইউক্রেনকে  ঘিরে ফেলছে রাশিয়া। লাগাতার হামলায় নিহত ও আহতের সংখ্য়া বেড়েই চলেছে ইউক্রেন জুড়ে। তারপরও বিনা যুদ্ধে প্রবল শক্তিধর প্রতিবেশী দেশকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ ইউক্রেন। দেশ রক্ষায় অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন সাধারণ জনগণ থেকে ক্রীড়া ক্ষেত্রের ব্যক্তিত্বরা। আর এবার রাশিয়ার হামলায় মৃত্যু হল ইউক্রেনের দুই ফুটবলারের (Two Footballer)। যেই খবর সামনে আসার পর থেকে রাশিয়ার সমালোচনায় সরব ফুটবল বিশ্ব (Football World)।

ভিতালি সাপিলো ও দিমিত্রো মার্তিনেঙ্কো এই দুই ফুটবলার প্রাণ হারিয়েছেন রাশিয়ার হামলায়। সাপিলো ফুটবল ছেড়ে হাতে বন্দুক তলে নিয়েছিলেন। ইউক্রেনীয় সেনায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি।  তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্যাঙ্ক কমান্ডার হিসেবে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজধানী কিয়েভকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনি মারা যান ২১ বছর বয়সী এই তরুণ ফুটবলার।  দিমিত্রো মার্তিনেঙ্কো অবশ্য বাড়িতেই ছিলেন পরিবারের সঙ্গে। ২৫ বছর বয়সী অপেশাদার ফুটবলার মার্তিনেঙ্কো খেলতেন স্থানীয় ক্লাব এফসি গোস্তোমেলে। নিজেদের বাড়িতে থাকার সময়ে বোমা হামলায় মার্তিনেঙ্কো ও তার মা নিহত হন। এইভাবে অকালে প্রাণ হারানোর কথা ছিল না দুই ফুটবলারের। ফুটবলকে নিজের কেরিয়ার বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু রুশ হামলা শেষ করে দিল সব কিছু।

ভিতালি সাপিলো  কারপাতি লেভিভের যুব দলের খেলোয়াড় ছিলেন। ক্লাবের তরফে জানা যায়। ভালো খেলতেন সাপিলো। ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু দেশ বিপদে পড়ায় সেনা বাহিনীতে যোগ দেওয়াক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সাপিলোর ক্লাব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘গত শুক্রবার আমাদের যুব দলের খেলোয়াড় ভিতালি সাপিলো কিয়েভের কাছে নিহত হয়েছেন। তার পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’পেশাদার ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিফপ্রো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই খবর জানিয়েছে। ফিফপ্রো জানিয়েছে, চলতি যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ভিতালি সাপিলো ও দিমিত্রো মার্তিনেঙ্কো। ফিফপ্রো লিখেছে, ‘ইউক্রেনের তরুণ ফুটবলার ভিতালি সাপিলো ও দিমিত্রো মার্তিনেঙ্কোর পরিবার, বন্ধু ও সতীর্থদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। এই যুদ্ধে ফুটবলের প্রথম ক্ষতি তারা। তাদের আত্মা শান্তিতে হোক।’