সংক্ষিপ্ত

আইলিগে আগেই (I League) থাবা বসিয়েছিল করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। কোভিড ১৯ (Covid 19) আক্রান্ত একাধিক দলের ফুটবলার। ৬ সপ্তাহের জন্য আইলিগ স্থগিত (Suspended) রাখার সিদ্ধান্ত নিল এআইএফএফ (AIFF)।
 

অবশেষে কোভিড ১৯ (Covid 19) তৃতীয় ঢেউ ও এমিক্রনের  আতঙ্কের জেরে আই লিগ (I League) নিয়ে কঠোর  সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (All India Football Federation)। আগে আইলিগের একাধিক দলের একাধিক ফুটবলার, সাপোর্টিং স্টাফরা  করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। শুরুক পরই কোভিডের কারণে আইলিগ মুখ থুবড়ে পড়ায়  হতাশ হন ফুটবল প্রেমিরা। যার কারণে সম্প্রতি আইলিগ কমিটির বৈঠকে পরবর্তী রাউন্ডের খেলা স্থগিত রাখা হয়েছিল। এবং ফুটবলারদের সকলেরর ফের কোভিড টেস্ট করার পর লিগ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার ফুটবলারদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা ভেবে ছয় সপ্তাহের জন্য আইলিগ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। এআইএফএফের বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

সূত্রে খবর, আইলিগের দলগুলির মধ্যে করোনা ব্যাপকভাবে থাবা বসিয়েছে। প্রতিযোগিতায় মোট করোনার আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫। যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইলিগের দলগুলির মধ্যে করোনা আক্রান্তের তালিকায় সংখ্যার নিরিখে সবার উপরে রয়েছে রিয়াল কাশ্মীর। দলের প্লেয়র ও সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে মোট ২১ জন করোনা আক্রান্ত। কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মোট ৭ জন  কোভিড পজেটিভ। আক্রান্তদের  ৪৫ জনের মধ্যে ৪২ জনই রয়েছে কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হোটোলে। ফলে এই পরিস্থিতিতে লিগ চালিয়ে যাওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তাই প্রথনে শুধু পরবর্তী রাউন্ড লাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, পরিস্থিতি বিচার করে পরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয় ও ৬ সপ্তাহের জন্য আইলিগ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফেডারেশনের লিগ কমিটির বৈঠক হয়।  সেখানে ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত, সচিব কুশল দাস, লিগ সিইও সুনন্দ ধর ও বাকিরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর আইলিগ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি জানানো হয়েছে,  প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১৩টি দলের সব ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের ফের একবার কোভিড পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতার জৈব বলয়ে সবাইকে থাকতে হবে। ৫ জানুয়ারি হবে পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসার পরেই যে যাঁর রাজ্যে ফিরে যেতে পারবেন। তবে স্বস্তির খবর এটাই যে আক্রান্ত কোনও ফুটবলার বা সাপোর্টিং স্টাফের  শারীরিত কোনও জটিলতা নেই। সকলেই সম্পূর্ণন স্বাভাবিক রয়েছে ও আইসোলেশনে রয়েছেন।