সংক্ষিপ্ত

এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) প্রধান কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই তাঁর বিদায়ের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। 
 

তিনি আন্তোনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। দু'দুবার আইএসএল ট্রফিজয়ী একমাত্র কোচ। শনিবার আচমকাই তিনি এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) প্রধান কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। স্পোর্টস্টারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী শুক্রবার সন্ধ্যাতেই স্পেনিয় কোচ সবুজ-মেরুন দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। এদিন ক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হল। মোহনবাগানের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হচ্ছেন হাবাসের সহকারী ম্যানুয়েল ক্যাসকালানা (Manuel Cascallana)। দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই তাঁর বিদায়ের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। 

বর্তমানে আইএসএল ২০২১-২২ (ISL 2021-22) মরসুমে লিগ টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। অথচ টানা দুটি জয়, তারমধ্যে একটি আবার ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) বিরুদ্ধে - লিগের শুরুটা দারুণভাবে করেছিল গতবারের রানার্সরা। কিন্তু পরের চারটি ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি কলকাতার বড় ক্লাব। গত মরসুমে যাদের কাছে লিগ শিল্ড এবং আইএসএল ট্রফি - দুটোই হারাতে হয়েছিল, মুম্বাই সিটি এফসির (Mumbai City FC) বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া দূরে থাক, ৫-১'এর বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে মেরিনার্স। পরের ম্যাচে জামশেদপুর এফসি-এর (Jamshedpur FC) কাছেও পরাজিত হয়েছিল হাবাসের দল। চেন্নাইয়িন এফসি (Chennaiyin FC) এবং বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC) বিরুদ্ধে কোনওরকমে ড্র করেছিল।

হাবাসের দল কোনওদিনই গোল-স্কোরিং দক্ষতার জন্য পরিচিত ছিল না। আইএসএল-এ সেই অ্যাথলেটিকো দে কলকাতার সময় থেকে জমাট ডিফেন্স দিয়ে প্রতিপক্ষকে মাত করার জন্য বিখ্যাত হাবাস। এই কৌশলেই হাবাস বরাবর আইএসএল-এ সাফল্য পেয়েছেন। ২০১৪ সালে প্রথম বছরেই অ্যাটলেটিকো দে কলকাতার হয়ে ট্রফি জিতেছিলেন। পরের মরসুমে ক্লাবকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। মাঝে কয়েকদিন পুনে সিটি দলের কোচিং করানোর পর ২০১৯-এ আবার এটিকে-তে ফিরে এসেই ট্রফি জিতেছিলেন। গত মরসুমে এটিকে মোহনবাগান গঠিত হওয়ার পর, সেই দলেরও কোচ করা হয়েছিল তাঁকেই। ফাইনালে উঠেছিল সবুজ মেরুন। তবে, গত মরসুম থেকেই দেখা গিয়েছে, মুম্বই সিটি এফসির মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে হাবাসের রক্ষণাত্মক কৌশল ব্যর্থ হচ্ছে। 

এই মরসুমে আবার গতবারের মতো রক্ষণাত্মক দৃঢ়তাও দেখা যায়নি। রয় কৃষ্ণা, হুগো বউমাস, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাকো এবং জনি কাউকোর মতো আক্রমণাত্মক ফুটবলারদের উপস্থিতিতে, খেলার ধরণ অনেকটাই আক্রমণাত্মক করে তুলেছিলেন হাবাস। কিন্তু, আক্রমণ শক্তিশালী করতে গিয়ে, রক্ষণের ফাঁক বেরিয়ে এসেছে। গতবার গোটা মরসুমে যে দল মাত্র ১৫ গোল খেয়েছিল, তারাই এবার মাত্র ৬ ম্যাচেই ১৩ টি গোল খেয়ে বসে আছে। সন্দেশ ঝিংগনের দল ছাড়া এবং চোটের জন্য তিরি প্রথম কয়েকটি ম্যাচে খেলতে না পারায়, রক্ষণের ভারসাম্য একেবারেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। 

মোহনবাগান ছাড়ার পর আবার নতুন কোনও দলের কোচ হয়ে আইএসএল-এ ফিরে আসেন কিনা অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাস, সেটাই দেখার। অন্যদিকে এটিকে মোহনবাগান, হাবাস পরবর্তী জমানায়, আগামী মঙ্গলবার নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-এর মুখোমুখি হচ্ছে।