সংক্ষিপ্ত
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে আর ইনভেস্ট করবে না শ্রী সিমেন্ট। বিনা শর্তে ফিরিয়ে দেবে ক্লাবের স্পোর্টিং রাইটস। শেষ মুহূর্তে শ্রী সিমেন্টের এমন ভাবনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা।
দীর্ঘ টানাপোড়েন, আলাপ-আলোচনার পরও ইস্টবেঙ্গল ও শ্রী সিমেন্টের মধ্যে চুক্তি জট এখনও কাটেনি। এরইমধ্যে সরকারি ঘোষণা না হলেও, হরিমোহন বাঙুরের সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে তারা আর ইস্টবেঙ্গলে কোনও ইনভেস্ট করবে না। যেখানে কোনও বিশ্বাস যোগ্যতা নেই সেখানে বিনিয়োগ করার কোনও মানে হয় না বলে জানানো হয়েছে শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে। এমনকী ক্ষতি মেনে নিয়েই ইস্টবেঙ্গলকে বিনা শর্তে স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে রাজি বিনিয়োগকারী সংস্থা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শ্রী সিমেন্টের পিছিয়ে আসায় বেজায় চটেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকের সময় তাকে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গ জিজ্ঞাসা করলে বিরক্তির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যারা (শ্রী সিমেন্ট) ছিল, তারা আমায় চিঠি দিয়ে জানাচ্ছে, তারা করতে পারবে না। একেবারে শেষ মুহূর্তে। এটা খুব খারাপ মনোভাব। একটা ক্লাবকে এতদিন ধরে ঝুলিয়ে শেষ মুহূর্তে বলছে, কিছু করতে পারব না। এর জন্য আমরা প্রত্যেক দুঃখিত। আমরা প্রত্যেকে বিরক্ত। তাহলে আপনারা ছ'মাস-এক বছর ধরে কথা চালালেন কেন? এমনকী আমার সঙ্গেও দেখা করে বলে গিয়েছিল, ১৬ তারিখে খুলে দেবে। তারপর এমন কী ঘটল, পিছনে কী রহস্য, যে রহস্যের জন্য ওরা বলে দিচ্ছে যে আমরা ছেড়ে চলে যাচ্ছি।' রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিরক্তির কথা শ্রী সিমেন্টকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩১ অগাস্ট পর্যন্ত শেষ সময় দিয়েছে আইএসএল কর্তৃপক্ষ। বন্ধ হয়ে যাবে ট্রান্সপার উইন্ডোও। ফলে হাতে বেশি সময় নেই লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষের কাছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্লাবে দফায় দফায় চলছে বৈঠক। এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পাশা যথাসাধ্য দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেছেন,'আমরা চাই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান সবাই খেলুক। সময় খুব কম। তবু আমরা চেষ্টা করব। ইস্টবেঙ্গলের পাশে আমাদের সবার দাঁড়ানো উচিত।' গতবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শেষ মুহূর্তে ইনভেস্টর পেয়েছিল লাল-হলুদ। এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই কোনও মীরাকেলের অপেক্ষায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।