সংক্ষিপ্ত
দুবাই (Dubai) থেকে চুরি গিয়েছিল দিয়াগো মারাদোনার (Diego Maradona) ঘড়ি। সেই ঘড়ি উদ্ধার করা হল অসম (Assam) থেকে। ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস (Police)।
গত অগাস্ট মাসে দুবাই (Dubai) থেকে চুরি গিয়েছিল দিয়াগো মারাদোনার (Diego Maradona) মহামূল্যবান ঘড়ি (Expensive Watch)। বিগত কয়েক মাস ধরেই সেই ঘড়ি ও চোরের সন্ধান চালাচ্ছিল পুলিস। অবশেষে সেই ঘড়ি উদ্ধার হল। আর উদ্ধার হল তা ভারতের অসম (Assam) থেকে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। ধৃত ব্যক্তির নাম ওয়াজিদ হুসেন (Wajid Hossain)। দুবাইয়ের একটি কোম্পানি মারাদোনার সই করা বিভিন্ন জিনিস সংরক্ষণ করে। সেই সংস্থাতেই নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত ওয়াজিদ। লিমিটেড এডিশন এই ঘড়িটিও ছিল ওই কোম্পানির শোরুমেই। সেখান থেকেই ঘড়িটি চুরি করেন ওয়াজিদ। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল দুবাই পুলিস। অবশেষে কিমংবদন্তী ফুটবলারের ঘড়ি উদ্ধার করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল তদন্তকারীরা।
তদন্তে নেমে দুবাই পুলিস (Dubai Police) জানতে পারে যে ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা রক্ষী ওয়াজিদ হুসেন নিরুদ্দেশ রয়েছে। সেখান থেকেই তারা খোঁজ শুরু করে। জানা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ভারতের অসমে লুকিয়ে রয়েছে। পরে তদন্তের জন্য ভারত সরকারের (Indian Goverment) সহযোগিতা চাওয়া হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংস্থাগুলির সাহায্য নিয়ে দুবাই পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে অসম পুলিস। দুবাই পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর দেরি না করে তড়ঘড়ি ওয়াজিদকে গ্রেফতার করতে সফল হয় অসম পুলিস। শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ শিবসাগরের বাড়ি থেকেই ওয়াজিদকে গ্রেফতারর করা হয়। জানা গিয়েছে মারাদোনার এই ঘড়িটির দাম ২০ লক্ষ্য টাকারও বেশি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিষটির নিশ্চয়তা দেন।
এই ঘটনার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় অসম পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনার চুরি যাওয়া ঘড়ি উদ্ধার করেছে। ওয়াজিদ হুসেন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’ অসমের শিবসাগরের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাকেশ রৌশন জানান,'গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে আমরা তল্লাশি অভিযান শুরু করি। আজ ভোরে শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। উদ্ধার করা গিয়েছে সেই হাবলট ঘড়িটিও। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে জিজ্ঞসাবাদ চালাচ্ছে পুলিস। এই ঘটনায় ধৃত ব্যক্তি একা ছিল কিনা, না তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে।