সংক্ষিপ্ত
- গোয়ায় গোটা দলের একসাথে প্র্যাকটিসে নামা সময়ের অপেক্ষা
- এর মধ্যে নতুন সমস্যা দানা বাঁধলো লাল হলুদ ক্লাবে
- ইনভেস্টর গোষ্ঠীর কিছু প্রস্তাব এনেছে ক্লাব তাঁবু সম্পর্কে
- সেই সমস্ত প্রস্তাব মানতে নারাজ কিছু ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তা
গোয়ায় পৌঁছে গিয়েছে পুরো দল, অনুশীলনে নামার জন্য প্রায় তৈরি বিদেশি খেলোয়াড়রাও। সকল দেশীয় খেলোয়াড়রা অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। এরই মধ্যে লাল-হলুদ শিবিরে নতুন করে শুরু হল ক্লাব বনাম ইনভেস্টর জট। সমস্ত জট কাটিয়ে আইএসএল খেলার ঘোষণা করে ক্লাব পৌঁছেছে গোয়াতে, তাও এই ক্লাব-ইনভেস্টর জট নতুন করে ভোগাতে পারে লাল হলুদ ক্লাবকে এমন কথাই শোনা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, ইনভেস্টর বাঙুর গোষ্ঠী ক্লাব তাঁবুর আভ্যন্তরীণ সজ্জায় কিছু বদল আনতে চাইছে যা নিয়ে খুশি নন ইস্টবেঙ্গলের কিছু কর্মকর্তা।
ক্লাব তাঁবুর ভিতরেই রয়েছে সচিব কল্যাণ মজুমদার, শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের ঘর। শোনা যাচ্ছে ইনভেস্টর কর্তারা চাইছেন প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড মূল তাঁবুর বাইরে নিয়ে এসে ক্লাবকে কেবল খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে। এছাড়া ভবিষ্যতে ড্রেসিংরুমে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলেও শোনা যাচ্ছে। সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে যে বাঙ্গুর গোষ্ঠীর প্রস্তাবিত এই সব বিষয়ে বেশ আপত্তি রয়েছে ক্লাব কর্তাদের। তারা চাইছেন ক্লাবের নকশায় যেন বিশাল কিছু পরিবর্তন না ঘটে।
চুক্তির অনুযায়ী শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের অংশীদার ৭৬% এবং বাকি ২৪% শতাংশ রয়েছে ক্লাবের হাতে। ১০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত বোর্ড অব ডিরেক্টরে ক্লাবের প্রতিনিধি সংখ্যা দুই। ক্লাবের এজিএম এবং এক্সট্রা অর্ডিনারি মিটিংয়ের পর শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছিলেন যে ক্লাব প্রেসিডেন্ট এবং সচিব, বোর্ড অফ ডিরেক্টরে সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রতিনিধিত্ব করতে অনুরোধ করেছেন তারা। দ্বিতীয় জন হিসেবে নিজের নাম বললেও তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন তিনি। এই ঘটনার পর সেই প্রতিনিধিত্ব তিনি করবেন কিনা সেই নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে।