সংক্ষিপ্ত
- আই লিগ-এ ড্র ইস্টবেঙ্গলের
- কল্যাণীতে পঞ্জাব এফসি-র সঙ্গে ১-১ ড্র
- ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোল ক্রোমার
- অবনমনের আশঙ্কা থেকেই গেল ইস্টবেঙ্গলে
তিন পয়েন্ট এলো না। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে এক পয়েন্টই এখন যেন তিন পয়েন্টের সমান। পঞ্জাব এফসি-র সঙ্গে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত কল্যাণীতে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো লাল হলুদ শিবিরকে। কিন্তু এ দিনও মাঠে কোলা়ডোদের যা পারফরম্যান্স ছিল, তাতে এক পয়েন্ট পেয়ে ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিতে পারেন ইস্টবেঙ্ল কোচ মারিও রিভেরা।
দলে না রাখায় এমনিতেই এ দিন ডিফেন্স-এ ছিলেন না মার্তি ক্রেসপি। ফলে মেহতাব- আশিকদের মতো ভারতীয় ডিফেন্ডারদের উপরই এ দিন ডিকাদের আটকানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন মারিও। তাঁদের সামনে ছিলেন কাশিম। যদিও ম্যাচ শুরু হওয়ার ৯ মিনিটের মাথায় গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন আনসুমানা ক্রোমা। মাঠে উপস্থিত লাল হলুদ সমর্থকরা ভেবেছিলেন, পর পর দুই ম্যাচে হারের পর হয়তো অবশেষে তিন পয়েন্ট আসছে। কিন্তু তাদের হতাশ করে ৪০ মিনিটের মাথায় গোল করে যান পঞ্জাবে গিরিক খোসলা।
দ্বিতীয়ার্ধে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ক্রোমা, জুয়ান মেরারা। কিন্তু প্রায় গোল পেয়েও জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন ক্রোমা। আবার প্রথমার্ধের শেষ দিকে ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার মির্শাদের শিক্ষানবিশের মতো ভুলে গোলের সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল পঞ্জাব। যদিও আশিক কুরিয়ানের তৎপরতায় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়।
গোল করে ম্যাচের সেরা হন ক্রোমাই। লাল হলুদে ফেরার পর এটাই তাঁর প্রথম গোল। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়ে লিগের দু' নম্বরেই থেকে গেল মিনার্ভা। আর দশ নম্বর থেকে এক ধাপ উঠে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে ৯ নম্বরে থাকল লাল- হলুদ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সমর্থকরা যখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অঙ্ক কষছেন তখন বৃহস্পতিবারের পরও অবনমনের আশঙ্কা থেকেই গেল লাল হলুদ সমর্থকদের মনে।