সংক্ষিপ্ত
- মেয়াদের একমাস আগেই ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি শেষ করল কোয়েস
- যার ফলে শেষ এক মাসের বেতন তেকে বঞ্চিত হতে চলেছে ফুটবলাররা
- করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণ দেখিয়েই এই সিদ্ধান্ত কোয়েসের
- ইষ্টবেঙ্গলের সঙ্গে কোয়েসের বিচ্ছেদ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা
সমস্যা অনকে দিন ধরেই চলছিল কোয়েস ও ইষ্টবেঙ্গলের মধ্যে। গত মরসুমে একাধিকবার কোয়েস ও ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন। ইষ্টবেঙ্গলের কোয়েস বিচ্ছেদ এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। শুধু অপেক্ষা ছিল সঠিক সময়ের। আর এই করোনা ভাইরাস মহামারীর থেকে ভাল সময় কী হতে পারে। করোনার জেরে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতিকেই কাজিয়ে লাগিয়ে ইষ্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি বিচ্ছেদের পথে হাঁটল কোয়েস। শুধু কোয়েস ও ইষ্টবেঙ্গলের দ্বন্দের মাঝে পড়ে একমাসের বেতন মার যেতে চলেছে ইষ্টবেঙ্গল কর্তাদের। করোনার জন্য জরুরি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, এই অজুহাত দেখিয়ে নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই ফুটবলারদের চুক্তি শেষ করে দিচ্ছে কোয়েস। ক্লাব কর্তাদের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি থাকলেও তাদের কিছু করার নেই। স্পনসর কোয়েসের সিদ্ধান্ত মেনেই চলতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে আগামী মে মাসে কোনও পারিশ্রমিক পাবেন না লাল-হলুদ ফুটবলাররা। কোয়েস কর্তা সঞ্জিত সেন নাকি ইমেলের মাধ্যমে ফুটবলারদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃকরোনা মোকাবিলায় নিজের শেষ টেস্টের জার্সি,ব্যাট, স্টাম্প নিলামে তুলছেন অ্যান্ডারসন
আরও পড়ুনঃহরভজনের তৈরি বিশ্বের সেরা অফ স্পিনারদের তালিকা থেকে বাদ অশ্বিনের নাম
এই পরিস্থিতিতে পড়ে ক্ষুব্ধ ইষ্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। সূত্রের খবর, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছে লাল-হলুদ ফুটবলাররা। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নিজেদের এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছেন ইষ্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। কোন পথে সমস্যার সমাধান তাও চলছে আলোচনায়। যদি কোয়েস মনে করছে কোনও পথেই গিয়েই খুব একটা লাভ হবে না ইষ্ট বেঙ্গল ফুটবলারদের। কোয়েসের মতে, ফুটবলাররা যদি ফিফাতেও যান, তাতেও কোনও লাভ হবে না। কারণ, এমনিতেই করোনার জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ফিফা ফুটবলারদের অনুরোধ করছে বেতন কম নিতে। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, সব দিক বিচার করেই এই সময়কে চুক্তি বিচ্ছেদের সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে কোয়েস। চুক্তি অনুযায়ী এ মরশুমের শেষ পর্যন্ত ফুটবলারদের বেতন দেওয়ার দায় কোয়েসের। ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের দাবি, কোয়েসের সঙ্গে মে মাসের শেষ পর্যন্ত চুক্তি আছে তাঁদের। যদিও কোয়েস কর্তারা তাঁর আগেই দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। ফলে অতটুকু স্পষ্ট ইষ্টবেঙ্গল ও কোয়েসের সরকারিভাবে বিচ্ছেদ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর এই মহামারী পরিস্থিতির মধ্যেই ইষ্টবেঙ্গল যে ফের স্পনসরবিহীন হতে চলেছে তাও একপ্রকার নিশ্চিত। নতুন মরসুম শুরু নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, নয়া মরসুম শুরুর আগে স্পনসরশিপ হারানো যে লাল-হলুদের ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা তা বুঝতে পারছেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুনঃবিশ্বকাপের মেডেল হারিয়ে ফেলেছেন জোফরা আর্চার, দিন-রাত খুঁজছেন পাগলের মত