সংক্ষিপ্ত
লুকিয়ে যৌন কর্মীর (woman from escort service) সঙ্গে পরকীয় চালাচ্ছিলেন ইংল্য়ান্ডের ফুটবলার (England Footballer)। স্ত্রী (Wife) ধরলেন হাতে-নাতে। তারপর কী হল ওই ফুটবলারের। জানুন সেই কাহিনি।
স্ত্রীকে লুকিয়ে চলছিল এক লাস্যময়ী যৌনকর্মীর সঙ্গে মাখো মাখো প্রেম। ম্য়াসেঞ্জারে চলত অশ্লীল ছবির দেওয়া-নেওয়া। বউকে মিথ্যে বলে বাইরে হোটেলে চলত রাত্রিযাপন ও উদ্দাম যৌনতা। কিন্তু ওই যে কথায় বলে 'চোরের ১০ দিন আর গৃহস্থ্যের এক দিন'। আর সেই গৃহস্থ্য যদি স্ত্রী অর্থাৎ ঘরের 'হোম মিনিস্টার' হন তালে রক্ষে নয়। এক্ষেত্রেও হয়েছে ঠিক তাই। যৌনকর্মীর সঙ্গে পরকীয়া চালাতে গিয়ে হাতে নাতে ধরে পড়েছেন ওই ব্যক্তি। আর ওই ব্যক্তি হলেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার। স্ত্রীর কাছে রীতিমত পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় ওই ফুটবলারের পরিচয় সামনে আনা হয়নি। তার সম্মান রক্ষার খাতিরে। কিন্তু খবরটি 'হট কেক' হয়ে উঠেছে ইংল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যমে। চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। মাঠে তারকা ফুটবলরদের ড্রিবলিং করলেও স্ত্রীর ডিফেন্সকে যে বেশি দিন ড্রিবলিং করা যায় না তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ওই ফুটবলার।
ঘটনার সূত্রপাত সম্প্রতি বাড়িতে নিজের ,সন্তানকে নিয়ে খেলছিলেন ওই ফুটবলার। সেই সময় হঠাৎই এই ফুটবলারের ফোনে বাজতে থাকে একের পর এক ম্য়াসেজ টোন। যা দেখে মোবাইলটি লুকানোর চেষ্টা করেন ওই ফুটবলার। স্ত্রীর সন্দেহ হওয়ায় তৎক্ষনাৎ গিয়ে মোবাইলটি হাত থেকে কেড়ে নিয়ে নেন। দেখেন একজন মহিলা তার নানা ধরনের হট অবতারের ছবি পাঠাচ্ছে। এছাড়া ম্য়াসেঞ্জার চেক করে দেখেন প্রেমালাপ, রোমান্সে ভরপুর কথাবার্তা। এমনকি কয়েকদিন ধরে ওই ফুটবলার তার ফোন লুকিয়ে রাখতেন। কখনই হাতছাড়া করতেন না। এমনকী বাথরুমে গেলেও ফোন সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন। বিষয়টি দেখে আগেই সন্দেহ জেগেছিল স্ত্রীর। আর এবার হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে হাতে গরম কয়েক ঘা বসিয়ে দেন স্বামীর উপর। একের পর এক স্ত্রী প্রশ্নবাণে বিদ্ধস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত সব স্বীকার করে নিয়ে পুরো ঘটনা জানিয়ে দেন ওই ফুটবলার।
আরও পড়ুনঃএবার অভিনয় জগতে অভিষেক হতে চলেছে মেসির, প্রথম ঝলক ভাইরাল নেট দুনিয়ায়
সাত মাসের সম্পর্ক তাঁদের। এই সময়ে ওই যৌনকর্মীকে তিনি ভারতীয় মুদ্রায় দিয়েছেন প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা। শর্ত হল যখন ওই ফুটবলার ফাঁকা থাকবেন, তখন তাঁকে সঙ্গ দিতে হবে ওই যৌনকর্মীকে। তাছাড়া ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের ওই ফুটবলার প্রায় সাড়ে ১৯ লক্ষ টাকার উপহার দিয়েছেন ওই যৌনকর্মীকে। দু’লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের গয়না দিয়েছেন। বিলাসবহুল হোটেলে রাত কাটিয়েও খরচ করেছেন কয়েক লক্ষ টাকা। অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার নাম করে ওই যৌনকর্মীর সঙ্গে হোটেলে এবং তাঁর বাড়িতে কাটিয়েছেন একাধিক রাত। স্বামীর কাণ্ড শুনে স্ত্রী ভেঙে না পড়ে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললে শেষমেশ ক্ষমা চেয়ে নেন ও ভবিষ্যতে এমন ভুল ভুলেও না করার অঙ্গীকার বদ্ধ হন। ফলে এ যাত্রায় পরিচয় সামনে না এনে স্বামীর সম্মান বাঁচালেও ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে ভয়ানক শাস্তি অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছেন স্ত্রী। বর্তমানে বাধ্য স্বামী হয়ে স্ত্রী নজরদারিতে রয়েছেন ওই ফুটবলার।