সংক্ষিপ্ত

হল না ফাইনালে ওঠার স্বপ্নপূরণ। এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমি ফাইনালে লজ্জার হার এটিকে মোহনবাগানের। ৬-০ গোলে হার সবুজ মেরুণ ব্রিগেডের।
 

সুযোগ ছিল ইতিহাস তৈরি করার। এএফসি কাপ (AFC Cup) ইন্টার জোনালের ফাইনালে ওঠার। ম্য়াচের আগে আত্মবিশ্বাসের সুরও শোনা গিয়েছিল কোচ ও প্লেয়ারদের কন্ঠে। শক্তিশালী এফসি নাসাফকে রুখতে তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ রণনীতিও। কিন্তু আদতে ঐতিহাসিক লজ্জার হারের সম্মুখীন হতে হল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। হাফ ডজন গোল খেয়ে মাথা নীচু করে মাঠ ছাড়তে হল অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের (Antonio LopezHabas) দলকে। ম্যাচে এফসি নাসাফের (FC Nasaf) হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন হুসেইন নরচায়েভ (Husain Norchayev)। একটি করে গোল করেন বোজোরভ ও নারজুলায়েভ। অপর একটি গোল আত্মঘাতী। 

 

 

কথায় বলে দিনের শুরু বলে দেয় সারা দিনটা কেমন যাবে। এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমি ফাইনালে ম্য়াচ শুরুর ৪ মিনিটে প্রীতম কোটালর আত্মঘাতী গোলই বলে দিয়েছিল ম্য়াচে ভবিষ্যৎ কোন দিকে যেতে চলেছে। এরপর নাফাসের একের পর এক আক্রমণ সামলাতে রীতিমত হিমসিম খেতে হয় বাগান ডিফেন্সকে। ম্যাচের ১৮ থেকে ৩১ এই ১৩ মিনিটের ব্যবধানে পরপর তিনটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক করে ফেলেন হুসেইন  নরচায়েভ। একইসঙ্গে এটিকে মোহনবাগানের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন এই ১৩ মিনিটেই কফিন বন্দি করে দেন নর চায়েভ। ভারতে কোচিং করাতে আসার পর নরচায়েভই প্রথম ফুটবলার যিনি আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ম্যানেজ করা কোন দলের বিরুদ্ধে হ্যাট-ট্রিক করকে সক্ষম হয়েছেন।

 

 

৪ গোলে এগিয়ে গিয়েও আক্রমণের মাত্রা কমায়নি এফসি নাসাফ। ম্য়াচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ৪৬ মিনিটে গোল করে দলের পক্ষে ব্যবধান ৫-০ করেন ওয়েবেক বোজোরভ। প্রথমার্ধে ৫-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় উজবেকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন দল। দ্বিতীয়ার্ধে রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসনরা কয়েকটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। ম্য়াচের ৭১ মিনিটে ষষ্ঠ গোল পায় নাসাফ। দোনিয়ের নারজুলায়েভ গোল করে ৬-০ ব্যবধান করে নাসাফের পক্ষে। এরপর আর কোনও দল গোলের মুখ খুলতে পারেনি। ৬-০ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে হংকংয়ের লি মানের মুখোমুখি হবে নাসাফ। প্রিয় দল এটিকে মোহনবাগানের এমন লজ্জার হারে হতাশ বাগান সমর্থকরা।


YouTube video player