সংক্ষিপ্ত
- কলকাতা লিগে কাস্টমসের সঙ্গে ড্র পিয়ারলেসের
- ঘরের মাঠে বিএসএসকে হারাল মহমেডান
- গোলশুন্য ড্র জর্জ সাদার্ন ম্যাচ
- রবিবার সৌমিকের রেনবোর সামনে মোহনবাগান
ক্রমশ জমে উঠছে লড়াই। এবারের কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন কে হবে সেটা এখনই কারও পক্ষে বলা সম্ভাব নয়। কারণ প্রতিদিনই যে চমক অপেক্ষা করছে লিগে। একাধিক দল চ্যাম্পিয়নশিপের দাবিদার। ছোট দল বা যে কোনও একটি বড় দলের ঘরে যেতে পারে লিগের খেতাব। শনিবার লিগে ছিল তিনটি ম্যাচ। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণঁ ম্যাচ ছিল লিগ শীর্ষে থাকা পিয়ারলেস ও কলকাতা কাস্টমসের মধ্যে। অবনমনের আওতায় থাকা কাস্টমস এদিন এগিয়ে থেকেও হারাতে পারল না পিয়ারলেসকে। জহর দাসের দলকে বাঁচালেন সেই ক্রোমা। ১৭ মিনিটে স্ট্যানলির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল কাস্টমস। ৬৭ মিনিটে সেই গোল শোধ করেন ক্রোমা। কিন্তু এক মিটিনের মধ্যেই আবার কাস্টমসকে এগিয়ে দেন ক্রোমা। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এক পয়েন্ট এনে দেন ক্রোমা। এদিন ড্র করে লিগের শীর্ষেই থাকল জহর দাসের দল। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৪।
আরও পড়ুন - ‘তিন বছর পর সেদিন মিষ্টি খেয়েছিলাম’ বলছেন ভারত অধিনায়ক সুনীল
আগের ম্যাচে ভাবানীপুরের কাছে হারের পর আবার জয়ের রাস্তায় ফিরে এল দীপেন্দু বিশ্বাসের মহমেডান। ঘরের মাঠে এক শুন্য গোলে জয় তুলে নিল সাদাকোলা ব্রিগেড। মহমেডানের হয়ে গোল করলেন আর্থার কোয়েসি। ঘরের মাঠে এই ম্যাচ জিতে আট ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট উঠে এল মহমেডান স্পোর্টিং। অন্যদিকে গোল শুন্য ড্র সাদার্ন সমিতি ও জর্জ টেলিগ্রাফ ম্যাচ।
আরও পড়ুন - ভারত-কাতার ম্যাচ হবে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে, জানাল এআইএফএফ
লিগ খেতাব ধরে রাখার ম্যাচে রবিবার কল্যাণীর মাঠে নামছে মোহনবাগান। কিভুর দলের প্রতিপক্ষ নিউব্যারাকপুর রেনবো এফসি। গতবারের লিগে এই দল চমক দিলেও এবার সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি রেনবো। তাই মাঝপথেই কোচ বদল হয়েছে তাদের। সরে যেতে হয়েছে প্রশান্ত চক্রবর্তীকে। কোচিং জীবনে পা দিয়ে রবিবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে সৌমিক দে। তিনিই এখন রেনবোর দায়িত্বে। খেলোয়াড় জীবনে অনেক বড় ম্যাচ খেলা সৌমিকের কাছে প্রথম ম্যাচেই কঠিন লড়াই। কারণ মোহনাবাগান আগের ম্যাচেই এরিয়ানের কাছে হেরেছে। লিগের লড়াইটে টিকে থাককে মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে কিভু ভিকুনার দল। তাই প্রথমবার কলকাতা লিগে কোচিং কারাতে এসে মেপে পা ফেলতে চান সৌমিক। অন্যদিকে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সবুজ মেরুন শিবিরের। আর একটা হার বা ড্র মানেই লিখ খেতাব হাতছাড়া করতে হবে তাদের। তাই প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর চেপে বসা ছাড়া আরা রাস্তা নেই কিভুর কাছে।