সংক্ষিপ্ত

  • বুধবার মাঝরাতে স্পেন ফুটবলে মহারণ
  • মরসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি রিয়াল ও বার্সা
  • এল ক্লাসিকোতে অভিষেকের জন্য মুখিয়ে গ্রিজম্যান
  • ফুটবল উন্মাদনের পাশাপাশি থাকছে বিক্ষোভের কাঁটাও

বুধবার মধ্যরাতে ভারতীয় ফুটবল প্রেমীদের চোখ থাকবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ রাত সাড়ে বারোটায় শুরু হতে চলেছে, আর ফেসবুকে দেখা যাবে এই ম্যাচ।  মরসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো। তাই দুই দলের সমর্থদের কাছে উন্মাদনা একটা চরম মাত্রায়। চলছে নানান হিসেবে নিকেশ। বর্তমানে লা-লিগার টেবলি বলছে পয়েন্টে বিচারে এক জায়গায় দাঁড়ায়ে দুই দল। ১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে শীর্ষে রয়েছে মেসির দল। তবে বুধবার রাতের অনেক হিসেব উল্টে যেতে পারে। কারণ এই ম্যাচে কোনও পরিসংখ্যান কজা করে না। বর্তমান ফুটবলের বিচারে ফুটবল পন্ডিতদের মতে কিছুটা হলেও এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। কারণ মেসিদের দল অনেক বেশি সংঘবদ্ধ ফুটবল খেলছে। 

 

 

মেসিদের এগিয়ে থাকার সব থেকে বড় কারণ, তাঁদের আক্রমণ ভাগ। মেসি, সুয়ারেজ ফর্মে রয়েছেন। এল ক্লাসিকোর আগে ছন্দ পেয়ে গেছেন ফরাসি স্ট্রাইকার গ্রিজম্যান। অ্যাটলেটিকোর জার্সি গায়ে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদ্রিদ ডার্বি খেলেছেন গ্রিসম্যান। বলছেন ডার্বি থেকে ক্লাসিকো, এটাই যা বদলে গেছে। বাকিটা একই রকম আছে। তবে এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে নিজের নামটা লেখাতে মরিয়া ফরাসি স্ট্রাইকার। শেষ পাঁচটি ম্যাচের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে একটাও ক্লাসিকো জিততে পারেনি রিয়াল। তিনটি ম্যাচে জিতেছে বার্সেলোনা। দুটি ম্যাচ ড্র। যার মধ্যে ২০১৯ সালের লা-লিগা ও কোপা দেল’রে মিলিয়ে হয়েছে তিনটি ম্যাচে।  দুই দলের আক্রমণ ভাগের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে ১২টি করে গোল করেছেন মেসি ও বেঞ্জেমা। কিন্তু বার্সেলোনার হয়ে যেখানে সুয়ারেজ ৬টি গোল করেছেন, সেখানে রিয়ালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ডিফেন্ডার সার্জিও ব়্যামস। তিনি করেছেন ৩টি গোল। স্ট্রাইকারদের অফ ফর্ম সব থেকে বড় চিন্তা জিদানের কাছে। আর গোল করার জায়গাতেই সব থেকে ভালও জায়গায় দাঁড়িয়ে ভালভারদে। 

আরও পড়ুন - চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে সিটির সামনে রিয়াল, লিভারপুলের সামনে অ্যাটলেটিকো

ফুটবল নিয়ে যেমন উন্মাদনা আছে। তেমনই চাপা একটা আতঙ্কও আছে। কারণ এল ক্লাসিকোর মঞ্চে বিক্ষোভের হুঁশিয়ার দিয়ে রেখেছে  স্বাধীন কাতালুনিয়া দাবিতে আন্দোলনকারীরে। ক্যাম্প নৌউয়ের বাইরে চারটি জায়গা থেকে হাজার হাজার মানুষ নিয়ে আন্দোলনের কথা বলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সহ প্রায় তিন হাজার নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাঠের ভেতরের অবস্থা নিয়েও চিন্তায় রয়েছে বার্সেলোনা কতৃপক্ষ। কারণ মাঠের ভেতর যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে তার দায় নিতে হবে মেসিদের ক্লাবকে। পরিস্থিতি খারাপ হলে নির্বাসনের মুখেও পরতে হতে পারে। তাই ফুটবলের লড়াইতে এগিয়ে থাকলেও ফুটবলের বাইরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা হলেও চাপে আছে বার্সোলোনা।