সংক্ষিপ্ত

দীর্ঘ দিন পর মেঠে নেমে জয় আইএসএলে (ISL) জয় অধরা থেকে গেল এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan)। ওড়িশা এফসির (Odisha FC)বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করল জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) দল। ২৯ তারিখ এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal)বিরুদ্ধে ডার্বির (Derby)আগে কিছুটা চাপে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড।

দলে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) থাবা। একাধিক প্রথম দলের ফুটবলার আক্রান্ত কোভিড ১৯ (Covid 19) -এ। বাতিল একের পর এক  টানা ৩টি ম্য়াচ। ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মাঠের বাইরে দল। অবশেষে রবিবার রাতে ১৮ দিন পর আইএসএলের ম্য়াচ খেলতে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান  (ATK Mohun Bagan)। ওড়িশা এফসির (Odisha FC) বিরুদ্ধে স্থগিত হয়ে যাওয়া ম্য়াচ খেলতে নেমেছিল জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) দল। দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমে দুরন্ত ফুটবল খেললেও জয় অধরাই থেকে গেল এটিকে মোহনবাগানের। একাধিক সুযোগ নষ্টের খেসারত ও ওড়িশা এফসির অনবদ্য ডিফেন্সের ফলে শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সবুজ-মেরুণ ব্রিগেডকে। এটিকে মোহনবাগান ও ওড়িশা এফসির খেলার ফল গোলশূন্য। ভালো খেলেও ম্য়াচ ড্র হওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসরা। 

ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। সেই মতই আক্রমণ শক্তিশালী করে দল সাজিয়েছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। ডেভিড উইলিয়ামস, রয় কৃষ্ণা, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংদের রেখে দল সাজিয়ছিলেন কোচ। ম্য়াচের ৭ মিনিটে ও ১৪ মিনিটে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা ও লিস্টন কোলাসো। কিন্তু তাদের শট সরাসরি ধরে ফেলেন ওড়িশা গোলরক্ষক। এরপরও কোলাসোর ফ্রি-কিক থেকে সবুজ মেরুন আরও একটি ভাল সুযোগ পেলেও তাঁর শট ওড়িশা গোলরক্ষক অর্শদীপ সেই শটও বাঁচিয়ে দেন। প্রথমার্ধে কয়েকবার এটিকেএমবির গোলের কাছে পৌছে গিয়েছিল ওড়িশাও কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। ফলে প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেলেও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় এটিকে মোহনবাগানের অ্য়াটাকিং লাইন। 

 

 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ফের গোলের লক্ষ্যে আক্রমণ শানানো শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও ওড়িশার জমাটি রক্ষণ ও গোলরক্ষক অর্শদীপ কার্যত দুর্গে পরিণত হওয়ায় তা ভেদ করতে পারেনি ডেভিড উইলিয়ামস, রয় কৃষ্ণা, লিস্টন কোলাসোরা। হনবাগানের রক্ষণের ভুলে ওড়িশাকে ম্যাচে এগিয়ে দেওয়ার দারুণ এক সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন জেরি। তবে তিনি সোজা গোলকিপারের হাতে বল জমা দেন। ৮৩ মিনিটে অফসাইডের জন্য হাভিয়ের হার্নান্ডেজের গোল বাতিল হয়।  ম্য়াচের শেষের দিকে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন প্রবীর দাস। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় ম্য়াচ। এই ড্রয়ের ফলে ১০ ম্য়াচে ১৬ পয়েন্ট লিগ টেবিলের সপ্তম স্থানে রইল জুয়ান ফেরান্দোর দল। ২৯ তারিখ ডার্বির আগে জয় না পাওয়ার কিছুটা চাপ বাড়ল সবুজ-মেরুণ কোচ ও দলের উপর।