সংক্ষিপ্ত
আইএসএলের (ISL) ফিরতি ডার্বিতেও জয় পেল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। এসসি ইস্টবেঙ্গলকে (SC East Bengal) হারাল ৩-১ গোলে। জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) দলের হয়ে হ্যাটট্রিক করলে কিয়ান নাসিরি (Kiyan Nassiri)।
প্রথমার্ধে দুরন্ত লড়াই, দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে লিড, কিন্তু তারপর শেষ রক্ষা হল না এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal)। আইএসএলের (ISL)ফিরতে লিগেও ডার্বির (Derby) রং সবুজ-মেরুণ। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলা জামশেদ নাসিরির কিয়ান নাসিরির (Kiyan Nassiri)হ্যাটট্রিকের সৌজন্য ৩-১ গোলে ম্য়াচ জিতল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে কণিষ্ঠতম গোলস্কোরারের নজির গড়লেন কিয়ান নাসিরি। এদিন ম্য়াচের প্রথমার্ধের খেলার ফল ছিল গোল শূন্য। বল পজিশন বেশি জুয়ান ফেরান্দোর (Juna Ferrando)দলের কাছে থাকলেও, রক্ষণ মজবুত রেখে লড়াই চালিয়ে যায় নারিও রিভেরার (Mario Rivera)দল। প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম গোল করে এগিয়ে দেন ড্যারেন সিডোয়েল। কিন্তু ৬৪ মিনিটেই দলকে সমতায় ফেরান কিয়ান নাসিরি। এরপর খেলা শেষের ইনজুরি টাইমে যখন খেলার ফল ১-১, সকলেই ধরে নিয়েছেন ড্র হতে চলেছে ম্য়াচ, তখনও ৯৩ ও ৯৪ মিনিটে পরপর দুটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করাই নয়, দলের জয়ও নিশ্চিৎ করেন কিয়ান নাসিরি।
এদিন ম্য়াচের প্রথম থেকে এটিকে মোহনবাগান নিজেদের বল পজিশন ধরে রেখে আক্রমণাত্মক ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যায়। অপরদিকে, সনম্পূর্ণ অন্য এসসি ইস্টবেঙ্গলকে দেখা যায় ম্য়াচের প্রথমার্ধে। রক্ষণ মজবুত রাখার পাশাপাশি সুযোগ বুঝে আক্রমমও শানাচ্ছিল মারিও রিভেরার দল। ১২ মিনিটের মাথায় ধাক্কা খেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। চোট পেয়ে উঠে গিয়েছিলেন অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু অমরজিৎ সিংহ কিয়াম নেমে দ্রুত মানিয়ে নেন। প্রথমার্ধে লাল-হলুদের রক্ষণ ভাঙতে রীতিমত হিমসিম খেতে হয় এ ডেভিড উইলিয়ামস, হুগো বুমোস, লিস্টন কোলাসোদের। পাল্টা গোল করার মত হাফ চান্স তৈরি করে ফেলেছিল পেরোসেভিচও। কিন্তু তা সফল হয়নি। আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে যেখানে প্রথম ২২ মিনিটেই ৩ গোল হজম করতে হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে, সেখানে দ্বিতীয় ডার্বিতে প্রথমার্ধে এটিকে মোহনবাগনকে বেধে রাখতে সমর্থ হয় মারিও রিভেরার দল।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই কোচই খেলার ধরন কিছুটা পাল্টায়। আক্রমণের মাত্রা বাড়ায় এটিকেএমবি ও এসসিইবি। ম্য়াচের ৫৬ মিনিটে কর্ণার থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিলেন সিডোয়েল। একগুচ্ছ খেলোয়াড়ের মাঝে সিডোয়েল বলকে আক্রমণ করে এবং তাঁর ডান পায়ের শট মনবীরের গায়ে লেগে মোহনবাগান জালে জড়িয়ে যায়। তার পরই পরিবর্ত হিসেবে নামেন কিয়ান নাসির। নামতে না নামতেই গোল করে দলকে সমতায় ফেরান জামশেদ নাসিরি পুত্র। ম্য়াচের ৬৪ মিনিটে বাঁ-দিক থেকে প্রবীর দাসের ক্রস ক্লিয়ার করতে একেবারে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। বল চলে যায় নাসিরির পায়ে। দুর্দান্ত বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করে মোহনবাগানকে সমতায় ফেরালেন নাসিরি। এরপর আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা চললেও নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনও গোল আসেনি। ইনজুরি টাইমের ৯৩ মিনিটে কোলাসোর ক্রস থেকে ডেভিড উইলিয়ামসের হেডার পোস্টে লেগে ফিরে আসলেও, ফিরতি বল জালে জড়িয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করলেন নাসিরি। তার এক মিনিটের মধ্যেই নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন নাসিরি ও দলের জয় ৩-১ গোলে নিশ্চিৎ করেন। এই নিয়ে আইএসএলে টানা চারটি ডার্বি হারতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। অপরদিকে, ডার্বি জিতে লিগ টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এল এটিকে মোহনবাগান।