সংক্ষিপ্ত
আইএসএলের (ISL) তৃতীয় ম্যাচে ওড়িশা এফসির (Odisha FC) বিরুদ্ধে ৬-৪ গোলে হার এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal)। পরপর দুই ম্য়াচ হেরে লিগ টেবিলের দশম স্থানে ম্যানুয়েল দিয়াজের (Manuel Diaz) দল।
এক ম্যাচে ১০ গোল। আইএলএল ২০২১-২২ (ISL 2021-22) মরসুমর এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক স্কোরের ম্যাচ দেখল ফুটবল প্রেমিরা। কিন্তু দিনের শেষে হতাশাই সাঙ্গ হল এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) সমর্থকদের। এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) পর ওড়িশা এফসির (Odisha FC) বিরুদ্ধে হারের মুখ দেখতে হল ম্যানুয়েল দিয়াজের (Manuel Diaz) দলকে। শুধু হারই নয় ম্যাচে হাফডজন গোল হজমকরতে হল তার দলকে। পাল্টা লাল-হলুদ ব্রিগেড গোলে ফিরলেও তা কোনও কাজে লাগল না। খেলার ফল ওড়িশা এফসি ৬ ও এসসি ইস্টবেঙ্গল ৪। কিন্তু ম্যাচের গোলের দরজা প্রথম খুলেছিল কলকাতার বড় ক্লাবই। কিন্তু তারপর গোলের বন্যায় পুরো ম্যাচ ভাসলেও শেষ হাসি হাসল কিকো রামিরেজের (Kiko Ramirez) দল। ম্যাচে ওড়িশার হয়ে দুটি করে গোল করলেন হেক্টর রোডাস ও আরিদাই ক্যাবরেরা। একটি করে গোল করেন জাভি হার্নান্ডেজ ও ইসাক। এসসি ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে জোড়া গোল করেন ড্যানিয়েল চিমা ও একটি করে গোল করে ড্যারেন সিডোয়েল ও হাওকিপ।
এদিন ম্যাচের শুরুটা খুব একটা খারাপ করে এসসি ইস্টবেঙ্গল। শুরুতে কিছুটা সঙ্ঘবদ্ধ মনে হয়েছিল ম্যানুয়েল দিয়াজের দলকে। যার ফল মেলে ম্য়াচের ১৩ মিনিটেই। ড্যারেন সিডোয়েল গোল করে এগিয়ে দেয় লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু প্রথম গোল করার পরই ম্যাচের রাশ হারাতে শুরু করে দিয়াজের দলের। একের পর এক আক্রমণ গড়ে তুলতে শুরু করে কিকো রামিরেজের দল। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোলের মুখ খুলে ফেলে ওড়িশা। হেক্টর রোডাস প্রথম গোল করে সমতায় ফেরায় ওড়িশা এফসিকে। এরপর ম্যাচের দখল পুরোপুরি চলে যায় ওড়িশার হাতে। একের পর এক ওড়িশার আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে লাল-হলুদ ডিফেন্সে। যা সামলাতে রীতিমত হিমসিম খেতে হয় দিয়াজে দলকে। দ্বিতীয় গোল পেতে তাই বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ৪০ মিনিটেই ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল। নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন হেক্টর রোডাস। ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েও দমে যায়নি ওড়িশা এফসি। ম্যাচের ৪৫ মিনিটে জাভি হার্নান্ডেজের গোল করে দলের পক্ষে ব্যবধান ৩-১ করেন। প্রথমার্ধের বাঁশি বাজা পর্যন্ত ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ওড়িশা।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই অল আউট ফুটবল খেলতে শুরু করে। একে অপরের বক্সে বারবার হানা দেয়। ৭২ মিনিটে চতুর্থ গোল আসে ওড়িশা এফসির। আরিদাই ক্যাবরেরা নিজের প্রথম গোল করেন। ম্য়াচের ৮১ মিনিটে এসসি ইস্টবেঙ্গলও ফের জালে বল জড়াই। হাওকিপ গোল করে দলের ব্যবধানকমিয়ে ৪-২ করে। কিন্তু তার ২ মিনিটেপ মধ্যেই পঞ্চম গোল হজম করতে হয় লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। ইসাকের গোলে ওড়িশা ব্যবধান ৫-২ করে। এদিন পরিবর্ত প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন লাল-হলুদের ড্যানিয়েল চিমা। প্রথম দুই ম্য়াচে গোল না পাওয়ার সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে। এদিন দল হারলেও নিজের নামের প্রতি কিছুটা সুবিচার করেন চিমা। ম্য়াচের ৯০ ও ৯২ মিনিটে পরপর দুটি গোল করেন তিনি। ৫-৪ ব্যবধান হওয়ার পর শেষ মুহূর্তে ম্যাচ ড্র করার চেষ্টা করতে গিয়ে ষষ্ঠ গোল খেতে হয় দিয়াজের দলকে। ৯৩ মিনিটে আরিদাই ক্যাবরেরা নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলের পক্ষে ব্যবধান ৬-৪ করেন। পরপর দুই ম্য়াচ হার তারউপর হাফ ডজন গোল হজম। হতাশ লাল-হলুদ সমর্থকরা।