সন্তোষ ট্রফি (Santosh trophy 2022) ফাইনালে হার বাংলার। অতিরিক্ত সময়ে এগিয়ে গিয়েও হল না শেষ রক্ষা। টাই ব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে ট্রফি জিতল কেরালা (Bengal vs Kerala)।  

এবারের মতো সন্তোষ ট্রফি জয় অধরা রয়ে গেল বাংলা ফুটবল দলের। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ১১৭ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত গোল হজম করতে হয় বাংলাকে। অবশেষে টাই ব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে হারতে হয় দিলীপ ওঁরাও, সূর্য পন্ডিতদের। আর ঘরে মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজির গড়ল কেরল। প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্ব পঞ্জাবকে হারিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বামলা। তবে দ্বিতীয় ম্য়াচেই কেরলের কাছে দেখতে হয়েছিল হারের মুখ। তারপর মেঘালয় এবং রাজস্থানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে দল। সেমিফাইনালে যেখানে কর্ণাটককে ৭-৩ মাত দিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল কেরল, সেখানে বাংলা মণিপুরকে হারিয়েছিল ৩-০ গোলে। ফাইনাল ছিল বাংলার কাছে গ্রুপ পর্বে কেরলের কাছে হারের বদলারও ম্যাচ। তবে লড়াইটা যে হাড্ডাহাড্ডি হবে তা আগে থেকেই বোঝা গিয়েছিল। অবশেষে টাই ব্রেকারে ভাগ্য সাথ দিল না বাংলার।

Scroll to load tweet…

এদিন ঘরের মাঠে ২৫ হাজার দর্শকের সামনে খেলতে নেমেছিল কেরালা। ম্য়াচের প্রথম থেকে হাড্ডাহাড্ডিভাবে শুরু হয় ম্য়াচ। প্রথম মিনিটেই বাংলার হয়ে সেমিতে গোল করা ফার্দিন আলি মোল্লা বক্সের মধ্যে একটি ভাল ক্রস পেয়েছিলেন বটে, তবে তিনি তা দখলে আনতে পারেননি। প্রতিআক্রমণে বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল কেরালা। তবে গোলের মুখ খুলতে সমর্থ হয়নি কেরালাও। বাংলার গোলরক্ষক প্রিয়ন্ত সিং বেশ কয়েকটি ভালো সেভ করে এদিনও বাংলার তেকাঠির নীচে ত্রাতার ভূমিকায় ছিলেন। ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষের দিকেও কেরের জেসিন ও বামলার ফার্দিন গোল করা সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন তারা। ফাইনালের প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। 

Scroll to load tweet…

ম্য়চের দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য ঝাপায় দুই দলই। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনছিল বাংলা ও কেরলের অ্যাটাকিং লাইন। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছিল রক্ষমও। ৯০ মিনিটে নির্ধারিত টাইমের খেলাও শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। এরপর খেলা গড়া গড়া অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। অবশেষে অতিরিক্ত সময়ে খলে ফাইনালে গোলের মুখ। ম্যাচের ৯৭ মিনিটে, গত ম্যাচে বাংলার হয়ে গোল করা দিলীপ ওঁরাও, সূর্য পন্ডিতের ক্রস থেকে সুন্দর হেডারে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কেরল। ১১৭ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রেখেছিল বাংলা। অনেকে ধরেই নিয়েছিল আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা তারপর ট্রফি আসছে বাংলাতে। কিন্তু ১১৭ মিনিটে নাটকীয়ভাবে এক দুর্ধর্ষ হেডারে কেরলের হয়ে সমতা ফেরান বিবিন অজয়ন। এক্সট্রা টাইমও শেষ হয় ১-১ সমতায়। শেষে টাই ব্রেকারে বাংলার সজল বাগ শট বাইরে মারেন। বাকি সব শটেই গোল করে দুই দল। ৫-৪ ব্যবধানে সন্তোষ ট্রফি ফাইনাল জেতে কেরল।