সংক্ষিপ্ত

চলে গেলেন কিংবদন্তি জার্মান তথা বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার গার্ড মুলার। এখনও কেউ ভাঙতে পারেনি তাঁর অবিশ্বাস্য রেকর্ড।
 

চলে গেলেন কিংবদন্তি জার্মান তথা বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার গার্ড মুলার। তাঁর প্রাক্তন ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। গত কয়েক বছর ধরেই মুলার স্মৃতিভ্রংশের অসুখে ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বায়ার্ন প্রেসিডেন্ট হারবার্ট হেইনার বলেছেন, 'আজ এফসি বায়ার্ন এবং এর ভক্তদের জন্য একটি দুঃখজনক, কালো দিন।"

স্টাইকার হিসাবে তাঁর গোল করার অদ্ভূত ক্ষমতা ছিল। বায়ার্ন মিউনিখ এবং পশ্চিম জার্মানি - দুই দলের হয়েই ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। তিনি এফসি বায়ার্নের হয়ে ৬০৭টি প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অবিশ্বাস্য ৫৬৬টি গোল করেছিলেন মুলার। যার মধ্যে বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের জার্সিতে তাঁর ৩৬৫ গোল আছে, যে রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙতে পারেননি। তাঁর সময়ে বায়ার্ন মিউনিখ চারটি বুন্দেসলিগা শিরোপা জিতেছিল। 

"

পাশাপাশি, পূর্ব ইউরোপীয় কাপ, যা এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামে পরিচিত সেই ট্রফি জিতেছিলেন ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৬ - একটানা তিন মরসুম ধরে। শুধু তাই নয়, বুন্দেসলিগায় মুলার ১৯৭১-৭২ মরসুমে ৪০টি গোল করেছিলেন। যা, আগের বছর পর্যন্ত বুন্দেশলিয়ায় এক মরসুমে করা সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছিল। ২০২০-২১ মরসুমে ৪১টি গোল করে সেই রেকর্ড ভাঙেন বর্তমান বায়ার্ন স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ানডোস্কি। ফুটবলার হিসাবে কেরিয়ার শেষের পর দীর্ঘদিন তিনি যুব দলের কোচ হিসেবে ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন - একই হোটেলে হঠাৎ দেখা মেসির সঙ্গে, কী প্রতিক্রিয়া হল দুই ভারতীয়ের, দেখুন ভিডিও

আরও পড়ুন - 'ভয়ঙ্কর সুন্দর' স্বপ্নের ত্রয়ী, একই দলে দেখা যেতে পারে মেসি-নেইমার-রোনাল্ডোকে

আরও পড়ুন - ম্যাচ চলাকালীন ফুটবল মাঠে দুরন্ত গতিতে ছুটছে মা ও ছেলে, কিন্তু কারণটা কী

এদিন মুলারের মৃত্যুর খবর দিয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'গার্ড মুলার ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ স্ট্রাইকার - এবং একজন ভাল ব্যক্তি, বিশ্ব ফুটবলে একজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। গার্ড মুলার না থাকলে এফসি বায়ার্ন আজকের ক্লাব হয়ে উঠতে পারত না। তাঁর নাম এবং তাঁর স্মৃতি চিরকাল থেকে যাবে।'

ক্লাবের হয়ে এই উজ্জ্বল রেকর্ডের সঙ্গে সঙ্গে ৬২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পশ্চিম জার্মানির হয়ে ৬৮ বার গোলে বল ঢুকিয়েছিলেন তিনি। পশ্চিম জার্মানি জাতীয় দলের হয়ে ১৯৭২ সালে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ১৯৭৪ সালে ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপও জিতেছিলেন তিনি। মিউনিখে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ফাইনালে জয়ের গোলটিও এসেছিল তাঁর পা থেকেই। 

 

YouTube video player