সংক্ষিপ্ত
ফিনালিসিমা জয়ের পর প্রদর্শনী ম্য়াচে এস্তোনিয়াকে ৫-০ গোলে হারাল আর্জেন্টিনা (Argentina vs Estonia)। ম্য়াচে একাই ৫ গোল করলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। একইসঙ্গে গড়লেন একাধিক রেকর্ডও।
বিশ্বকাপের আগে দুরন্ত ফর্মে আর্জেন্টিনা দল। প্রদর্শনী ম্যাচে এস্তোনিয়াকে ৫-০ গোলে হারাল আর্জেন্টিনা। ম্য়াচে ৫ গোল করে জয়ের নায়ক লিওনেল মেসি। দিন কয়েক আগেই ইতালিরর বিরুদ্ধে ফিনালিসিমা জিতেছিল নীল-সাদা ব্রিগেড। সেই ম্য়াচে গোল না পেলেও দুরন্তত ফুটবল খেলেছিলেন মেসি। তার ডিফেন্স চেরা পাস থেকেই এসেছিল দুটি গোল। তবে মেসির পায়ে গোল দেখার জন্য বেশি অপেক্ষা করতে হল না। তাও আবার একটি-দুটি নয় একাই পাঁচ-পাঁচটি গোল করলেন আধুনিক ফুটবলের ম্যাজিশিয়ান। এস্তোনিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ গোল করায় আর্জেন্টিনার তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে ৫ গোল করলেন মেসি। ১৯২৫ সালে ম্যানুয়েল সিওয়ানে পাঁচ গোল করেছিলেন। সেটাই ছিল প্রথম। ১৯৪১ সালে হুয়ান মারভেজ্জি আর এই ২০২২ সালে লিওনেল মেসি।
ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে আর্জেন্টিনার থেকে অনেক পিছিয়ে থাকা এস্তোনিয়া যে লড়াইয়ের ময়দানেও অঘটন ঘটাবে এমন আশা করেনি কেউই। ম্যাচের মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুও ছিল মেসি। এদিন আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশে একাধিক প্লেয়ারকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। খেলা শুরুর ৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। এছাড়া শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করে এস্তোনিয়ার ডিফেন্সকে ব্যস্ত রেখেছিল আর্জেন্টিনার অ্যাটাকিং লাইঅন প্রথমার্ধে আরও বেশ গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা তবে সব সুযোগ কাজে আসেনি। ম্য়াচের প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার ঠিক আগে দলের ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লিওনেল মেসি। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণর আরও বাড়ায় আর্জেন্টিনা। শুরুতেই তৃতীয় গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মেসি। তারপরও জারি থাকে একের পর এক আক্রমণ। ম্য়াচের ৭১ মিনিটে গোল দলের ব্যবধান ৪-০ করেন মেসি। তার ঠিক ৫ মিনিটের মধ্যে নিজের ও দলের পঞ্চম গোলও দেন লিও। শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে আর্জেন্টিনার তৃতীয় প্লেয়ার হিসেব ৫ গোল করা ছাড়়াও একাধিক রেকর্ড গড়নে লিওনেল মেসি। এস্তোনিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলেকে টপকালেন মেসি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পরেই এখন তিনি। ক্লাব এবং দেশের হয়ে ৭৬৯টি গোল ‘এলএম ১০’-এর। রোনাল্ডোর মোট গোল ৮১৫। পেলের গোলসংখ্যা ৭৬৭। পাঁচ-পাঁচটি গোল করায় দেশের জার্সিতে মেসির গোলসংখ্যা হল ৮৬। মেসি ছাপিয়ে যান হাঙ্গেরির কিংবদন্তি পুসকাসকেও। বিশ্বকাপেও মেসি ও আর্জেন্টিনার কাছে একইরকম পারফরম্যান্স দেখার অপেক্ষায় সমর্থকরা।