সংক্ষিপ্ত
- করোনা মহামারীর জেরে পিছিয়ে গেল বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের ম্যাচ
- মার্চে হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ আমেরিকার কোয়ালিফাইংয়ের দুটি রাউন্ডের ম্যাচ
- ফিফার নির্দেশে যা পিছিয়ে সেপ্টেম্বরে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কনমেবল
- পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আরও পিছোতে পারে ম্যাচ আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ক্রীড়া বিশ্বও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে মারণ কোভিড ১৯ ভাইরাস। বিশেষ করে ফুটবল বিশ্বে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে এই মারণ ভাইরাসের। যার ফলে বন্ধ হয়েছে রয়েছে বিশ্বের বড় বড় ফুটবল লিগগুলি। শুধু ক্লাব ফুটবল নয়, আন্তর্জাতিক ফুটবলেও প্রভাব পড়েছে প্রাণপিপাসু ভাইরাসের। যার থেকে বাদ যায়নি বিশ্বকাপের মত ফুটবল বিশ্বের সবথেকে বড় ইভেন্টও। কারণ করোনা ভাইরাসের জেরে পিছিয়ে গিয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপের জন্য দক্ষিণ আমেরিকার বাঠাই পর্ব।
আরও পড়ুনঃকরোনা মোকবিলায় নিজের ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট নিলামে তুলছেন মুশফিকুর রহিম
মার্চ মাস থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২২ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকার বাছাই পর্ব। প্রথম দুটি রাউন্ডের খেলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামীরার জেরে স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচ। এরপর পরবর্তী তারিখ নিয়ে আলোচনা চলছিল কনমেবল ও ফিফার মধ্যে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে আগামি সেপ্টেম্বর মাসে হতে চলেছে স্থগিত থাকাগুলি। ফিফার সঙ্গে কথা বলে সেপ্টম্বরের মাসের ৪ থেকে ৮ তারিখ হতে চলেছে ম্যাচগুলি। রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে ১০টি দলই একে অপরের বিপক্ষে হোম এন্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলবে। ফলে একটি দল ১৮টি করে ম্যাচ খেলবে। অন্যান্য মহাদেশীয় ফেডারেশনগুলোর তুলনায় যা অনেক বেশি। প্রথম দুই রাউন্ডের সূচি পুনরায় করতে হবে বলে জানায় কনমেবল। নতুন যে কোন সুচির জন্য ফিফার অনুমোদন নিতে হবে বলে নিশ্চিত করেছে কনমেবলের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই কোপা আমেরিকা আগামী বছর পর্যন্ত স্থগিত হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত দুই রাউন্ড খেলার সুযোগ রয়েছে সেই সময়তেও। আগামী বছরের ৩ ও ৮ জুন থেকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের দু’টি রাউন্ড খেলা যাবে। আর কোপা শুরু হবে ১১ জুন থেকে।
আরও পড়ুনঃরোনাল্ডো কোনও দিনই মেসির উচ্চতার ফুটবলার নন,জানালেন ডেভিড বেকহ্যাম
আরও পড়ুনঃলকডাউনে নিজেই কাটলেন নিজের চুল,সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মাস্টার ব্লাস্টারের ছবি
করোনার থাবা কাতার বিশ্বকাপে এই প্রথম নয়। এর আগেও কাতারে বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ৮ শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে চিকৎসাধীন রয়েছেন তারা। কিন্তু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছেন অন্যান্য শ্রমিকরা। যদিও স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ এখনও বন্ধ করেনি কাতার। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বিশ্ব ফুটবের নিয়ামক সংস্থা ফিফাও। কিন্তু একের পর এক ঘটনায় করোনার কারমে কাতার বিশ্বকাপের আকাশেও ঘনাতে শুরু করেছে কালো মেঘ।