সংক্ষিপ্ত
- করোনার ভাইরাসের জেরে স্তব্ধ রাজ্যের সমস্ত স্পোর্টিং ইভেন্ট
- এবার করোনা জেরে চরম অনিশ্চিত কলকাতা লিগের ভবিষ্যৎ
- এই পরিস্থিতিতে ক্লাবগুলির মতামত জানতে চেয়ে চিঠি দিল আইএফএফ
- প্রয়োজনে দেরিতে হলেও কলকাতা ফুটবল লিগ করতে চায় আইএফএফ
যত দিন এগোচ্ছে ততই দেশ জুড়ে উদ্বেগজনক হচ্ছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি। দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও একই। লকডাউন করেও আটকানো যাচ্ছে না সংক্রমণের মাত্রা। আর এসব কিছুর মধ্যে পড়ে চরম অনিশ্চিতার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে ঘরোয়া সব খেলাগুলি। করোনা ভাইরাসের জেরে রাজ্যেও বন্ধ সমস্ত ধরনের স্পোর্টিং ইভেন্ট। পরিস্থিতি যা তা কবে ফের সবুজ গালিচায় বল গড়াবে সেই উত্তর অজানা সকলের। ঘরোয়া প্রতিযোগিতাগুলির মধ্যে যেগুলি আর কিছু দিনের মধ্যেই শুরুর কথা তাদেরমধ্যে অন্যতম প্রধান কলকাতা লিগ। কিন্তু পরিস্থিতি যা তাতে এই মুহুর্তে লিগ নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। চলতি বাংলা বছরের শুরুতে বাংলার ময়দানে হয়নি বার পুজো। ইষ্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ছাড়া সেভাবে দলও গোছাতে পারেনি কোনও দল। ফলে কলকাতা লিগের ভবিষ্যৎও যে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে তা মানছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুনঃবোর্ড নির্বাচকদের একযোগে আক্রমণ করলেন সুরেশ রায়না ও ইরফান পাঠান
আরও পড়ুনঃলকডাউনে বড় ঘোষণা, নিজের অবসরের সময় জানালেন রোহিত শর্মা
ময়দানের জনপ্রিয় ফুটবল লিগ কলকাতা ফুটবল লিগ নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে কিছুটা হলেও হাল ধরবার চেষ্টা করেছেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।আইএফএ এক্ষেত্রে সমস্ত ক্লাবগুলোকে চিঠি দিয়েছে। আইএফএ-এর দেওয়া চিঠিতে করোনা পরবর্তী সময়ে কিভাবে কলকাতা লিগ করা সম্ভব, সে ব্যপারে স্পষ্ট মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। তাঁদের উত্তর পাঠানোর শেষ তারিখ ধার্য করা হয়েছে ১৭ ই মে। লকডাউনের পরিসমাপ্তি ঘটলেই, কলকাতা লিগ শুরু করতে চাইছে আইএফএ। এমনকি এব্যপারে আইএফএ সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের। আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের ধারণা, লিগ হয়তো অনেক দেরিতে শুরু হতে পার।সেক্ষেত্রে, সেই সময়ে আইলিগ-আইএসএল এর কাছে কলকাতা ফুটবল লিগ কতটা ফুটবলপ্রেমীদের কাছে গুরুত্ব পাবে, সেই প্রশ্নটাও থেকেই যাচ্ছে। আইএফএ লিগ নিয়ে পরিকল্পনা চালালেও সব কিছুই নির্ভর করচে করোনা পরিস্থিতির উপর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে লিগ শুরুর কোনও আশাই নেই বলে মনে করছে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। কারণ সকলেরই মত একটাই খেলার থেকে প্লেয়ার, কোচ , সাপোর্টিং স্টাফদের জীবনের দাম অনেক বেশি। তাই পরপকল্পনা চালালেও কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ আইএফএ।
আরও পড়ুনঃশুরুর আগে ধাক্কা বুন্দেসলিগাতে, করোনার কবলে দ্বিতীয় ডিভিশনের দুই ফুটবলার