এক নজরে দেখে নিন ২০২১ সালের সরস্বতী পুজোর দিন-ক্ষণ ও তিথি
পঞ্জিকা অনুসারে বসন্ত পঞ্চমীর উৎসব ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার পালিত হবে। এই দিন রেবতী নক্ষত্র এবং চন্দ্র মীন রাশিতে উপস্থিত থাকবে। বসন্ত পঞ্চমীর দিন শুভ যোগ হবে। এই কারণে, এই দিনে সরস্বতীর উপাসনা করার বিশেষ উপকার মেলে। মা সরস্বতীকে জ্ঞানের দেবী বলা হয়। জ্ঞান সব ধরণের অন্ধকার দূর করে। বিশ্বাস করা হয় যে বসন্ত পঞ্চমীতে শুভ সময়ে মা সরস্বতীর উপাসনা করলে জ্ঞান বৃদ্ধি পায় এবং দেবীর আশীর্বাদ লাভ হয়।
- FB
- TW
- Linkdin
মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমীতে বসন্ত পঞ্চমীর উৎসব হয়। মাঘ মাস শুরু হয়েছে ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে। বসন্ত পঞ্চমী মাগ মাসের অন্যতম এক প্রধান উৎসব। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম তিথিতে বসন্ত পঞ্চমীর উৎসব উদযাপিত হয়। সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও সরস্বতী পুজো বর্তমান রূপটি আধুনিক কালে প্রচলিত হয়েছে।
তবে প্রাচীন কালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী-সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পুজো করতেন বলে জানা যায়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পাঠশালায় প্রতি মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে ধোয়া চৌকির উপর তালপাতার তাড়ি ও দোয়াতকলম রেখে পুজো করার প্রথা ছিল।
শ্রীপঞ্চমী তিথিতে ছাত্রেরা বাড়িতে বাংলা বা সংস্কৃত গ্রন্থ, শ্লেট, দোয়াত ও কলমে সরস্বতী পুজো করত। গ্রামাঞ্চলে এই প্রথা বিংশ শতাব্দীতেও প্রচলিত ছিল। শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরাই সরস্বতীর প্রতিমা নির্মাণ করে পুজো করতেন। বর্ধমান মহারাজার পুজোয় বিশেষ সমারোহের আয়োজন করা হয়।
দূর দুরান্ত থেকে মানুষ এই পুজোর বিসর্জন দেখতে আসত। পুজো উপলক্ষে দুই ঘণ্টা আতসবাজিও পোড়ানো হত। আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজোর প্রচলন হয় বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে।
পঞ্জিকা এর মতে, সরস্বতী পুজোর তিথি ১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৬ টা বেজে ৫৯ মিনিট থেকে বেলা ১২ টা বেজে ৩৫ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। পুজোর স্থিতিকাল ৫ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট।
তবে বসন্ত পঞ্চমীর তিথি পড়ছে ১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভোর রাত ৩ টা বেজে ৩৬ মিনিট থেকে এবং তা থাকবে ১৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার ভোর ৫টা বেজে ৪৬ মিনিট পর্যন্ত।
শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, শ্রীপঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতী পুজো সম্পন্ন করা যায়। সরস্বতীর পুজো সাধারণ পুজোর নিয়মানুসারেই হয়। তবে এই পুজোয় কয়েকটি বিশেষ উপাচার বা সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। যথা: অভ্র-আবীর, আমের মুকুল, দোয়াত-কলম ও যবের শিষ।
পুজোর জন্য বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুলও প্রয়োজন হয়। লোকাঁচার অনুসারে, ছাত্রছাত্রীরা পুজোর পূর্বে কুল ভক্ষণ করেন না। পুজোর দিন কিছু লেখাও নিষিদ্ধ।