- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- 'ডিপ্রেশন থেকে আত্মহত্যার প্রচেষ্টা, টলিউডই একঘরে করেছিল আমাকে,' দাবি শ্রীলেখার
'ডিপ্রেশন থেকে আত্মহত্যার প্রচেষ্টা, টলিউডই একঘরে করেছিল আমাকে,' দাবি শ্রীলেখার
বলি অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে অনেকটাই নিজের মিল খুজে পেয়েছেলল শ্রীলেখা মিত্র। তার মৃত্যুর কারণ মানসিক অবসাদ। আর এই রোগটির সঙ্গেই দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছেন অভিনেত্রী। তবে শুধু বি-টাউনেই নয়, টলিপাড়াতেও এই যথেষ্ঠ প্রভাব রয়েছে। কিছুদিন আগেই ডিপ্রেশন নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে মুখ খুলেছিলেন টলি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। এবার তিনি অন্যরূপে। নিজের কেরিয়ার শুরু থেকে টলি ইন্ডাস্ট্রির কালো মুখোশ সকলের সামনে লাইভ ভিডিওতে তুলে ধরেছেন। তার বিস্ফোরক বয়ান এখন নেটদুনিয়ার 'হটকেক'।
- FB
- TW
- Linkdin
শ্রীলেখা মিত্র। নামটাই যেন যথেষ্ঠ। পুরুষদের আকৃষ্ঠ করতে তার জুড়ি মেলা ভার। এই বয়সে এও নেটদুনিয়ায় নিজের জায়গাটা বেশ জাকিয়ে ধরে রেখেছেন অভিনেত্রী। বাঙালি কন্যার শাড়ির ভাঁজে ক্লিভেজ উন্মুক্ত করেই হোক, কিংবা সমাজেসেবামূলক কাজ করেই হোক- সবেতেই সাবলীল শ্রীলেখা।
শ্রীলেখা মিত্র নিজেই একজন ডিপ্রেশনের শিকার। বহু দিন ধরে এই রোগটির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। একটা সময় আত্মহত্যাপ্রবণও ছিলেন শ্রীলেখা। তবে এখন আর নন। তিনি জানিয়েছেন, পেশাদার কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে যখন তিনি একা হয়ে পড়েছিলেন তখন তিনি আত্মহত্যাপ্রবণ ছিলেন।
এবার নিজের কেরিয়ার শুরুর কথা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে তার কেউ নেই, এমনকী আগেও ছিল না আর এখনও নেই। ইন্ডাস্ট্রির যখন তিনি প্রথম এসেছিলেন, তখন সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টাতেই এই জায়গাটি তৈরি করে নিয়েছিলেন। তাই সুশান্তের সঙ্গে নিজেকে আরও বেশি করে রিলেট করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলেখা।
টলি ইন্ডাস্ট্রিতে একটা পাওয়ার গেম চলে। বিখ্যাত নায়ক বা নায়িকা যাদের নাম, যশ, খ্যাতি রয়েছে তাদেরকেই ব্যবহার করে পরিচালক-প্রযোজকরা।
আমার সঙ্গে তেমনটাই হয়েছিল। প্রথমদিকে আমিও কোনও নায়িকার চরিত্র পাই নি। তখন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু আমি জানতাম আমি নায়িকা হওয়ার যোগ্য, বলে জানিয়েছেন শ্রীলেখা।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তখন প্রেম চলছে। সেই সময়টাতে বুম্বাদার কথাতেই সব কিছু চলত। এমনকী বুম্বাদার আলাদা একটি চেয়ার ছিল। সেই চেয়ারে বুম্বাদা বসে আছে, আর পরিচালকরা মাটিতে বসে আছে।
শ্রীলেখা আরও জানিয়েছেন, ঋতুপর্ণা দেরি করে শুটিংয়ে আসত দিনের পর দিন। কিন্তু সবাই তারপরও ওর জন্য অপেক্ষায় বসে থাকত। তার পরেও অন্য ছবিতে নেওয়া হতো ঋতুপর্ণাকে।
এইভাবেই আস্তে আস্তে কারোর সঙ্গে জুটি বাধতে পারেননি শ্রীলেখা। নায়ক থেকে প্রযোজক কারোর সঙ্গেই প্রেমটা করা হয়নি তাই আমায় কাজ দেবে কে, তার উপরে আমি আমার স্পষ্টবাদী, আলাদা সুবিধা মোটেই পছন্দ নয় আমার,জানিয়েছেন শ্রীলেখা।
শ্রীলেখা আরও জানিয়েছেন, অশোক ধানুকা থেকে প্রসেনজিৎ সকলেই এড়িয়ে গেছে আমায়। একবার সাগরবন্যা ছবির শুটিংয়ে একটি অ্যাক্সিডেট হয়েছিল। প্রসেনজিৎ আমায় একবার দেখতে আসার সময়ও পাননি। এমনকী প্রাপ্য টাকার বিনিময়ে একটা হরলিক্সের শিশি নিয়ে অশোক ধানুকা হাসপাতালে এসেছিলেন।
প্রসেনজিৎ নিজে আমার সঙ্গে ছবি করতে চান না বলে জানিয়েওছিলেন অশোক ধানুকা। কারণ প্রসেনজিৎ মনে করতেন আমি ছবির নায়িকা হলে কেউ নাকি সিনেমাহলে টাকা দিয়ে ছবি দেখতে যাবেন না। দাবি শ্রীলেখার।
প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা নন, কৌশিক থেকে সৃজিত, অঞ্জনা বসু থেকে গার্গী রায়চৌধুরী সকলকে নিয়েই নিজের রাগ-ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শ্রীলেখা। তিনি এও জানেন যে লাইভ ভিডিও দেখে তাকে আবারও একঘরে করে দেওয়া হবে, তাও তিনি মুখ খুলেছেন।
এরকম ভাবেই দিনের পর দিন ইন্ডাস্ট্রি আমায় এড়িয়ে চলেছে। সেকেন্ড লিডের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে শ্রীলেখাকে। সুতরাং বলি ইন্ডাস্ট্রিই নয়, টলি ইন্ডাস্ট্রিতেও নেপোটিজম ছিল আছে এবং থাকবে। এছাড়াও ধারাবাহিকেও রয়েছে এই সমস্যা। এমনকী তিনি এও জানিয়েছেন, সুইসাইড করে কি এবার প্রমাণ করতে হবে তিনি কষ্টে রয়েছেন, বিস্ফোরক বয়ান শ্রীলেখার।