Happy Birthday Jeet: টলিউড নয়, বলিউডের সুপারস্টার হতে চেয়েছিলেন জিৎ
- FB
- TW
- Linkdin
১৯৯৫ সালে তিনি (Jeet) মুম্বই (Mumbai)চলে যান এবং সেখানে গিয়ে অনেক জায়গায় তিনি অডিশন দিতে থাকেন, কিন্তু তাতে তাঁর কোনও লাভ হয়নি। টানা ২ বছর চেষ্টা করার পর অবশেষে ১৯৯৭ সালে একটি হিন্দি মিউজিক অ্যালবামে সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর নাম ছিল ‘বেবাফা তেরা মাসুম চেহেরা’।
এরপর ওই বছরেই তিনি আরেকটি মিউজিক অ্যালবামে (Music Album) সুযোগ পান। তবে এতে তাঁর বিশেষ সুবিধা হল না। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি হিন্দি ছবির জন্য অডিশন দেন। কিন্তু কোন ভাবেই কিছু হয়নি। বার বারই নিরাশ হতে হয়েছে তাঁকে।
এর পরবর্তী সময় তিনি বলিউড (Bollywood) ছেড়ে দক্ষিণী ছবিতে (South Movie) আসেন তার ভাগ্য পরীক্ষা করতে। তেলেগু ও তামিল বেশ কিছু সিনেমার জন্য অডিশন দেন, এবং এবারেও তিনি ফেল হন। কেউ তাকে নেয়নি।
তবে ২০০১ সালে জিৎ (Jeet) একটি তেলেগু সিনেমাতে সুযোগ পেয়েছিলেন। সিনেমাটির নাম ছিল ‘চান্দু’। খুবই কম বাজেটের ওই সিনেমাটি ফ্লপ হয়, এবং বক্স-অফিসে (Box Office) মুখথুবড়ে পড়ে। ওই সময় মানসিক ভাবে তিনি খুবই ভেঁগে পড়েছিলেন। তবে তিনি হাল ছাড়েননি।
এর পর ২০০১ সালেই জিৎ আবার নিজের শহর কলকাতায় ফিরে আসেন। এবার তিনি বাংলা সিনেমার জন্য অডিশন দিতে থাকেন। ওই সময় পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী তার পরবর্তী সিনেমা সাথীর জন্য একটি নতুন মুখ খুঁজছিলেন।
শোনা যায় হরনাথ চক্রবর্তী প্রথমে প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়কে রোলটি অফার করেন। তবে প্রসেনজিত কলেজ ছাত্রের ভূমিকায় অভিনয় করবেন না বলে না করে দেন।
সেই সময় পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী নতুন মুখ হিসেবে জিৎ-কে বেছে নেন। এরপর ২০০২ সালে সাথী মুক্তি পায়। এই সিনেমাটি বক্স-অফিসে ব্যাপক ভাবে সাড়া ফেলে। বহু দিন ধরে সিনেমা হলগুলি একেবারে পূর্ণ ছিল।
এই ছবিতে জিৎ-এর অভিনয় সমস্ত দর্শকদের মন জয় করে নেয়। এছাড়াও এই ছবির একটি গান ‘ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও’ খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
বর্তমানে সেই জিৎ ঝড় তুলেছেন সিনে দুনিয়ায়। একের পর এক ভালো ছবি দর্শকদের উপহার দিয়ে তিনি এখন টলিউডের সুপারস্টার জিৎ। তাংর ছবি মুক্তি মানেই বক্স অফিসে ঝড়।