টিকটক কিংবা মেকআপ ভিডিও নয়, কোয়ারেন্টাইনে এ যেন ভিন্ন শ্রীমা
লকডাউনে অতিষ্ট হয়ে উঠলেও কারও কারও বেশ সুবিধা হয়েছে। অজান্তেই আনন্দের মুহূর্ত চলে এসেছে তাঁদের জীবনে। যেমন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এখন শ্যুটিং ছেড়ে বাড়িতে বসে সাধারণ মানুষের মতই। এই ফাঁকে পরিবারের সঙ্গে কোয়্যালিটি টাইম কাটানোর সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন সকলে। অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য এখন তাঁর মা-বাবার সঙ্গে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন বাড়িতে। কখনও বৃষ্টিতে ভিজে তো কখনও মায়ের সাহায্যে রান্না শিখে, লকডাউনে বেশ সুবিধাই হয়েছে শ্রীমার।
- FB
- TW
- Linkdin
তবে লকডাউনের জেরে একটু অসুবিধা হয়েছে বইকি। মিস করছেন প্রেমিককে। গৌরব রায় চৌধুরি, তৃনয়নী ধারাবাহিকের হিরো গৌরব। শ্রীমার সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরেই সম্পর্ক তাঁর।
হোলির সময় একসঙ্গে ভিডিও পোস্ট করে তাক লাগিয়েছিলেন তাঁরা। লকডাউনের কারণে গৌরবের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না শ্রীমার। এই কারণে একটি বড়ো চিঠি লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন শ্রীমা।
এছাড়া তিনি এখন সর্বক্ষণ মা-বাবার আদরেই দিন কাটাচ্ছেন। শ্যুটিংয়ের চাপে যা প্রায় হারাতে বসেছিল তাঁর জীবন থেকে।
বাবার সঙ্গে বৃষ্টিভেজা বিকেলে ছাদে উঠে মজা করা। আবার পোজ দিয়ে সেলফি তোলা সবই চলছে।
অন্যদিকে কবিতা ও গল্প বলতে ভালবাসেন। লকডাউনে টিকটক ভিডিও করা, রান্না করা ছাডা়ও নিজের অন্যরূপ তুলে ধরলেন শ্রীমা।
কবিতা আবৃত্তি করে শুনিয়েছেন নিজেদের ভক্তদের। শ্রীমার এই গুণে মুগ্ধ নেটিজেনরা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা শিশু ভোলানাথ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ইচ্ছামতী কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন অভিনেত্রী।
বই পড়া, গল্প লেখা এগুলোও রয়েছে শ্রীমার প্রতিভার তালিকায়। সম্প্রতি বিশ্ব বই দিবসে পোস্ট করেছিলেন একটি ছবি।
পাশাপাশি নিজের ফলোয়াড়দের জিজ্ঞেসও করেছেন যে এই মুহূর্তে কী কী গল্পের বই পড়ছে। এমন অনেক মানুষই আছেন যারা বই তেমন পড়েন না। তাদের জন্য শ্রীমার রয়েছে ভিন্ন পন্থা।
বই পড়া হয় না ঠিকাছে, তাই বলে গল্প শোনালে কেউ কি আর না করতে পারে। শ্রীমা সে সকল মানুষদের জন্য গল্প নিজে পড়ে শোনান। কখনও আনন্দমেলা থেকে বা কখনও শুকতারা থেকে।