কখনও মেয়ে-কখনও বন্ধুরা, সব সময় পার্টি মুডে 'সুইট সিক্সটিন' স্বস্তিকা
- FB
- TW
- Linkdin
স্বস্তিকার (Swastika Mukherjee) ইনস্টাগ্রাম খুললেই একটা আলাদা ঝলক পাওয়া যায়। মনই যেন খুশি হয়ে যায়। প্রায় সব সময়ই হাসিখুশি থাকা পছন্দ করেন অভিনেত্রী। আর সেই ঝলক পাওয়া যায় তাঁর প্রোফাইল থেকেই।
বিভিন্ন মুডে (Mood) বিভিন্ন সময় ধরা দেন তিনি। কখনও নিত্য নতুন পোশাক পরে নিজের নয়া লুক (New Look) তুলে ধরেন। আবার কখনও সাহসী চুল কেটে পোজ দিতেও দেখা যায় তাঁকে। প্রায় সব ফটোতেই তিনি যেন অনবদ্য হয়ে ওঠেন।
৪১ বছর বয়স হলেও তা বোঝার উপায় নেই। সব সময় তিনি থাকেন সুইট সিক্সটিনের (Sweet Sixteen) মতোই। একেবারে হাসিখুশি। মেয়েকে নিয়েই তাঁর সংসার। আর তার পাশাপাশি সমান তালে চলে তাঁর সিনেমা ক্যারিয়ারও। দুই হাতেই সবটুকু সামলাতে হয় তাঁকে।
আর হাসিখুশি থাকেন বলেই নিজের বয়সকে এখনও পর্যন্ত ছাপ ফেলতে দেননি শরীরে। বয়স তাঁর কাছে যেন একটা সংখ্যা মাত্র। আর তাই নিজের মতো করেই বাঁচার চেষ্টা করেন তিনি। একেবারে নিজের ইচ্ছেতে। নিজের ইচ্ছেডানার উপর ভর করে যা খুশি হয় তাই করে থাকেন তিনি।
বন্ধুদের সঙ্গে হোক বা মেয়ের সঙ্গে সব সময় পার্টি মুডে থাকেন অভিনেত্রী। আর সেই ঝলক পাওয়া যায় তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট থেকেই। এক ঝলককে দেখলে মনে হবে ওই প্রোফাইল যেন কোনও টিনেজারের।
লেট নাইট পার্টি (Late Night Party) হোক বা মেয়ের জন্মদিন সব সময় নিজের মতো করেই পার্টি করেন তিনি। এমনকী, পুজোর সময়ও বন্ধুদের সঙ্গে লেট নাইট পার্টি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বাড়ির ছাদেই তার আয়োজন করা হয়েছিল।
আবার কখনও মেয়ের সঙ্গে পার্টি করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। মেয়ের জন্মদিনের (Daughter's Birthday) পোস্টে স্বস্তিকা লেখেন, "যা মনে হচ্ছে দুপুরের মধ্যেই আমি মাতাল হয়ে যাব। এই করোনা ভরা বছরে আর কি বা করার থাকতে পারে। আপাতত এটাই আমার পরিকল্পনা। সুতরাং আমাদের জন্য চিয়ার্স!"
হ্যাঁ স্বস্তিকা এই রকমই। যাঁর কোনও রাখঢাক নেই। মেয়ের সঙ্গেও একেবারেই বন্ধুর মতোও মেশেন তিনি। তাই তো কখনও মেয়েকে তিনি সারপ্রাইজ দেন আবার কখনও মেয়ে তাঁকে সারপ্রাইজ দেন। মা-মেয়ের থেকেও বেশি তাঁর সম্পর্ক বন্ধুর মতোই। ঠিক যেমনটা চান আর পাঁচটা মেয়ে।
তাই মেয়ের উদ্দেশ্যে স্বস্তিকা আরও লেখেন, "জীবনে যতই বিপর্যয় আসুক না কেন কখনও খারাপ লাগে না সেটা শুধু তোর জন্য। আমার জীবনে খুব কম না পাওয়ার কষ্ট আছে, কেননা আমি ভগবানকে ধন্যবাদ জানাই তোকে দেওয়ার জন্য। আমার ছোট্ট বেবি, যে আমাকে পথ দেখায় লড়াই করার, লড়াই করে জিতে আসার। তুই আমাকে সাহসী বানিয়েছিস।"
এক কথায় মেয়ে আর মা দু'জনেই দু'জনের পরিপূরক। কেউই কাউকে ছাড়া থাকতে পারেন। বারে বারে সমাজের মুখ ভোঁতা করে দিয়ে তাঁরা প্রমাণ করে দেন, বয়স! সেটা আবার কি? সেটা তো শুধুই একটা সংখ্যা।