- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কিংবদন্তী অভিনেতার স্মরণে সভা, সংস্কৃতি জগতের ঐতিহাসিক নাম
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কিংবদন্তী অভিনেতার স্মরণে সভা, সংস্কৃতি জগতের ঐতিহাসিক নাম
- FB
- TW
- Linkdin
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর খুব কাছের মানুষ যারা ওনাকে অনেক কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে ওনার সঙ্গে কাজ করছেন তরুণ মজুমদার, পরিচালক অনীক দত্ত, তার থিয়েটারের আলোকসজ্জায় যিনি তার সঙ্গে সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন বাদল দাস , পবিত্র সরকার এবং ছিলেন তার ছেলে সৌগত চট্টোপাধ্যায় ও মেয়ে পৌলমী বসু এবং আত্মীয় -বিশিষ্ট পরিজনেরা।
তাঁর সম্পর্কে কথা বলতে গেলে শেষ হয় না, সন্ধ্যের পর রাত শেষ হয়ে যাবে তার সম্পর্কে বলতে গেলে বললেন পরিচালক অনীক দত্ত।
এদিন অনুষ্ঠানে এসে মেয়ে পৌলোমী বসু বললেন বাবাকে নিয়ে আর কি বলব সকলেরই জানা, তাঁর পিতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে বহু শিক্ষা পেয়ে ছোট থেকে বড় হয়েছেন জীবনটা একটা বড় শিক্ষার, যদিও তাদের ভাই-বোনকে হাতে ধরে কিছু শেখাননি। ওনাকে দেখেই ছোট থেকে বড় হয়েছেন এবং শিক্ষা-সংস্কৃতি শিল্প নাটক সকল কিছু আয়ত্ত করেছেন।
চিনি সৌগত চট্টোপাধ্যায় জানান আলাদা করে কিছুই বলার নেই কিন্ত বাবাকে স্মরণ করে লেখা একটি কবিতা পড়ে শোনান।
রবিবারের সন্ধ্যের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেছেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র ও স্যেজুতি। অনুষ্ঠানের সূচনায় তার সিনেমার উল্লেখযোগ্য অংশগুলির ভিডিও ক্লিপ ও তাঁর কথার কিছু অডিও ক্লিপ সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। তারপরই তার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছবিতে পুষ্প দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন মেয়ে পৌলোমী বসু , ছেলে সৌগত চট্টোপাধ্যায়, পবিত্র সরকার ,পরিচালক অনিক দত্ত বিশ্বনাথ দাস ,তরুণ মজুমদার আরও অনেকে।
দেবজ্যোতি মিশ্র এর আয়োজনে ইমন চক্রবর্তী , দুর্নিবার সাহা , রূপঙ্কর বাগচী সকলে একসঙ্গে সমবেত হয়ে সর্বশেষ গানে গানে অনুষ্ঠানটি শেষ হলো।
করোনার জন্য এই স্মরণ সন্ধ্যায় উপস্থিত হতে পারেননি অনেকেই। তারা ভিডিও ও অডিও এর মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বার্তা জানিয়েছেন । তার সঙ্গে বহু সিনেমায় কাজ করেছেন । অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অভিনেতা বিভাস চক্রবর্তী, অভিনেতা পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, চিত্রপরিচালক রাজা মিত্র, নৃত্যশিল্পী মমতা শংকর, গৌতম ঘোষ , বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, মেঘনাথ ভট্টাচার্য্য।
আলাদা করে কিছুই বলার নেই, তিনি ছিলেন অত্যন্ত ভালো একটি মনের মানুষ। এবং মেনে নিতে পারছেন না কেউ তিনি আর নেই। তাকে নিয়ে বলার ভাষা ও কারণ নেই। কিন্তু মেনে নিতে হয়।