- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- বং গাই বনাম অঙ্কুশ, ইউটিউবার ও টলিউডের ঠান্ডা লড়াই নিয়ে আজও চলে তর্ক
বং গাই বনাম অঙ্কুশ, ইউটিউবার ও টলিউডের ঠান্ডা লড়াই নিয়ে আজও চলে তর্ক
অঙ্কুশ হাজরা বনাম বং গাই, অর্থাৎ কিরণ দত্ত। গত বছর প্রায় এই সময় হঠাৎই শুরু হয় তাঁদের মধ্যে অনলাইন ভার্বাল স্প্যাট। টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ভরে যায় তর্ক-বিতর্কে। অঙ্কুশ নিজের কিছু সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে নানা মন্তব্য করেছিলেন। কখনও জয়েন্ট পরীক্ষায় একশো ব়্যাঙ্ক হওয়ার দাবি তো কখন বলিউডের বিগ বাজেট ছবি আমির খানের লাল সিং চাড্ডায় অভিনয় করার দাবি। এ নিয়ে সাংঘাতিক ট্রোলের মুখে পড়েন অঙ্কুশ। তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে শুরু হয় রোস্টিং। তবে অঙ্কুশের সবচেয়ে বেশি সমস্যা ছিল বং গাই-র রোস্টিং ভিডিও নিয়ে।
- FB
- TW
- Linkdin
সাক্ষাৎকারগুলিত অঙ্কুশের মন্তব্য ছিল, অ্যাভেঞ্জার্স সিরিজের গল্পের সঙ্গে দেব এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছবির মিল রয়েছে। তাই এই হলিউড ছবির চিত্রনাট্যে তেমন নতুন কিছুই নেই।
এছাড়া তিনি আল্লু অর্জুনের ছবি নিয়ে বলেন, তাঁর ছবি বসে দেখার যোগ্য নয়। দশ মিনিট পরই উঠে যেতে বাধ্য হবে দর্শক। এমনকি তিনি এও বলেন আল্লু অর্জুনের কেরিয়ারে ৩০ থেকে ৪০ টি ছবি নাকি একই রকম।
অথচ আল্লু অর্জুন এতগুলি ছবি করেননি। এরপর তিনি বলে বসেন, বলিউডে লাল সিং চাড্ডা ছবিতে আমির খানের প্রিয় বন্ধুর চরিত্রটির প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন।
ছবি এবং স্টারকাস্টের নাম না নিয়েই এই মন্তব্যগুলি করে বসেন অঙ্কুশ। এই ছবিতে অভিনয় করতে অঙ্কুশ রাজি হননি একটাই কারণে। কারণ ১৯৯৪ সালে জনপ্রিয় ছবি ফরেস্ট গাম্পের রিমেক হল এই ছবি।
অঙ্কুশ বলিউডে ডেবিউ কোনও রিমেকের হাত ধরে করতে চান না বলেই ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। অন্যদিক আমির খান নিজের টিমকে দিয়ে অঙ্কুশকে হাজারও অনুরোধ করে তাঁকে রাজি করাতে পারেননি।
এই নিয়ে বং গাই অর্থাৎ কিরণ দত্ত ফেসবুকে রোস্টিং ভিডিও করে পোস্ট করেন। তাতেই একেবারে রে রে করে ওঠেন অঙ্কুশ। কিরণ ভিডিওতে বলেছিলেন, "কোথাকার মাল, দাদা?"
তিনি ঠাট্টার ছলে গাঁজার বিষয় প্রশ্ন করেছিলেন। এবং অঙ্কুশ সেই মন্তব্যটি নিয়েও পাল্টা টুইট করেন। এই পাল্টা জবাবের লড়াই রীতিমত জোর কদমে শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অঙ্কুশ এরপর আরও এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে খোলসা করেন, যে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করার জন্য কাউকে কিংবা কারও পেশাকে ছোট করার প্রয়োজন পরে না।
অন্যদিকে কিরণের দাবি, তিনি কাউকে ছোট করেননি। অঙ্কুশের মন্তব্যগুলি নিয়ে রোস্ট করাই ছিল তার একমাত্র উদ্দেশ্য। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় তর্ক-বিতর্ক চলতে চলতে বিষয়টি থিতিয়ে যায়।
এছাড়া তিনি একের পর এক বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বরুণ ধাওয়ানকে নিয়ে মন্তব্য করেও ফের ট্রোলের মুখে পড়েন অঙ্কুশ হাজরা। যা নিয়ে তিনি পরে তেমন বিস্ফোরক হয়ে ওঠেননি।