- Home
- Entertainment
- Bollywood
- 'একাধিক সিমবদল, নতুন নম্বরও ছিল না সুশান্তের বাবার কাছে', ফাঁস করলেন অঙ্কিতা
'একাধিক সিমবদল, নতুন নম্বরও ছিল না সুশান্তের বাবার কাছে', ফাঁস করলেন অঙ্কিতা
সুশান্তের মৃত্যুর পর নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন অঙ্কিতা। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর দেড় মাস কেটে গেলেও কোনভাবেই যেন মেনে নিতে পারছেন না অভিনেতার প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা । এখনও গভীর শোকের মধ্যেই রয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু অনেক হয়েছে আর সহ্য করা যাচ্ছে না। এবার প্রকাশ্যেই মুখ খুললেন সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডে। গত কয়েকবার ধরেই একাধিক সিমবদল করেছিলেন সুশান্ত। আসলে রিয়ার কারণেই এমনটা করতেন সুশান্ত। নিজের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে দিতেন না সুশান্তকে। সুশান্তের নতুন সিমের নম্বরও তার বাবার কাছে ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডে।
- FB
- TW
- Linkdin
এবার অভিনেতার মৃত্যুর দেড়মাস পরে নীরবতা ভেঙে প্রথমবার মুখ খুলেছেন সুশান্তর প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা লোখান্ডে। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তিনি করেই চলেছেন।
সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে একের পর এক নয়া মোড় বেরিয়ে আসছে। সুশান্তের মৃত্যুতে একাধিক অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রেমিকা রিয়ার দিকে। সুশান্তের বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে বিহার পুলিশের তদন্তেই উঠে আসছে একাধিক তথ্য।
রিয়ার বিরুদ্ধে ১৬ দফা অভিযোগের মধ্যে একটি গুরুতর অভিযোগ হল সুশান্তকে তার পরিবার থেকে আলাদা করে রাখা। পুরো পরিবারের থেকে সরিয়ে নিজের কাছেউই সবসময়েই সুশান্তকে রাখতেন রিয়া।
সুশান্তকে নতুন বাড়িতে নিয়ে আসা থেকে, স্টাফদের ছাঁটাই করা,ফোন ডিটেলস নিজের কাছে রাখা, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা , একাধিক অভিযোগ উঠেছে রিয়ার বিরুদ্ধে।
অঙ্কিতা জানিয়েছেন, সুশান্তের বাবার সঙ্গে তার বরাবরই যোগাযোগ ছিল। এমনকী সম্পর্ক ভাঙার পরে তিনি যোগাযোগ রাখতেন সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে।
জোর গলায় অঙ্কিতার সাফ জানিয়েছেন, সুশান্ত কোনওদিনই মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছিল না। ওর সঙ্গে এমন কিছু হয়েছে যা সত্যিটা এবার জানা দরকার।
অঙ্কিতা আরও জানান, সুশান্তের বাবা তাকে জানিয়েছন সুশান্ত ফোন নম্বর বদলে দিয়েছে। বাড়ির লোকের সঙ্গে ও আর যোগাযোগ রাখছে না। এমনকী মা মারা যাবার পর যে দিদি যত্নে রেখেছিল তার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখেনি সুশান্ত।
সাক্ষাৎকারে অঙ্কিতা জানিয়েছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং অঙ্কিতাকে অনুরোধও করেছিল সুশান্তের সঙ্গে একবার কথা বলিয়ে দেওয়ার জন্য।
তারপরই সুশান্তের রানি দিদির সঙ্গে কথা হয় অঙ্কিতার। সুশান্তের দিদি জানিয়েছেন, সুশান্ত তার চন্ডীগড়ের বাড়িতে প্রায় ১ বছর পর দেখা করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তারপর আবারও যোগাযোগ নষ্ট হয়ে যায়।
অঙ্কিতাকে লাইভে এসে উচু গলায় বলতে শোনা গেছে,সুশান্ত কোনওদিনই মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছিল না। কোনও এক ঘটনায় সুশান্তের সময়চা খারাপ ছিল হয়তো। কিন্তু ওকে কোনদিনই সেটাকে মানসিক অবসাদ বলে ব্যাখা দেওয়া যায় না। মানসিক অবসাদ কথাটির অর্থ অনেক বড়। কোনও কারণ ছাড়া কীভাবে কেউ কাউকে মানসিক অবসাদগ্রস্ত বলতে পারে। এই বিষয়টা নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন অঙ্কিতা।