- Home
- Entertainment
- Bollywood
- যৌনপল্লী থেকে একাধিক তরুণীকে উদ্ধার, 'রিয়েল হিরো'র দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলিউডের এই অভিনেতা
যৌনপল্লী থেকে একাধিক তরুণীকে উদ্ধার, 'রিয়েল হিরো'র দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলিউডের এই অভিনেতা
বলিউডের একসময়কার জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন সুনীল শেট্টি। বিশেষত অ্যাকশন হিরো হিসেবেই তিনি বি-টাউনে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। অ্যাকশন ছাড়াও ভিলেনের চরিত্রেও নজর কেড়েছিলেন সুনীল। তবে শুধু রিল লাইফে নয়, রিয়েল লাইফেও তিনি সুপার হিরোর তকমা পেয়েছিলেন। যা হয়তো অনেকেরই অজানা। শতাধিক তরুণীকে যৌনপল্লী থেকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলিউডের এই অভিনেতা। জেনে নিন সেই অজানা গল্প।
- FB
- TW
- Linkdin
সালটা ১৯৯৬। প্রায় ২৪ বছর আগের কথা। মহারাষ্ট্রের কামাঠিপুরা যৌনপল্লীতে হঠাৎই হানা দেয় মহারাষ্ট্র পুলিশ। উদ্ধার হয় শতাধিকের বেশি মহিলা।
১৪-৩০ বছরের মধ্যেই প্রত্যেকেরই বয়স। এদের বেশিরভাগকেই জোর করে নামানো হয়েছিল দেহব্যবসায়। অনেকে আবার নাবালিকাও ছিলেন।
মোট ৪৫৬ জনের মধ্যে ১২৮ জনই ছিলেন নেপালের বাসিন্দা। যাদেরকে অবৈধভাবে এই দেহব্যবসায় নামানো হয়েছিল। এদের কারোর কাছেই বয়সের প্রমাণ, পাসপোর্ট কিছুই ছিল না।
কিন্তু নেপাল সরকার তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কোনও পয়সা খরচ করতে নারাজ ছিল। ঠিক সেইসময়েই অসহায় মানুষদের পাশে দূতের মতোন গিয়ে দাড়ায় সুনীল শেট্টি।
সকলেই প্রায় বাড়ি যাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখনই ত্রাতার ভূমিকায় সুনীলের আবির্ভাব। সকলকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিমানের ব্যবস্থা করেন এই অভিনেতাই। সকলের সুরক্ষার দায়িত্ব এক হাতে নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন সুনীল।
সূত্র থেকে আরও জানা যায়, সুনীল শেট্টির শাশুড়ির একটি এনজিও চালাতেন। তিনি নিজে পুরো দায়িত্বভার বহন করলেও তার সম্পূর্ণ ক্রেডিট তিনি শাশুড়ি এবং মুম্বই পুলিশেকে দিয়েছিলেন।
এতদিন পর্যন্ত পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন সুনীল। সম্প্রতি ভয়াবহ ঘটনার শিকার চারিমায়া তামাং নামের এক মহিলা প্রকাশ্যে এনেছে। তার দৌলতেই সুনীলের এই মহৎ গুনের কথা সকলের প্রকাশ্যে এসেছে।
নেপালের বাসিন্দা চারিমায়াা সুনীলের এই উপকার ভোলেননি। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সরকার তাদের যাওয়া নিয়ে দ্বন্ধে থাকলেও সুনীল শেট্টির উদ্যোগেই তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছিলেন।
তবে কেন এতদিন এই কথা প্রকাশ্যে আনেননি সুনীল। অভিনেতা জানিয়েছেন, মহিলাদের নিরাপত্তা অনেক বেশি ছিল তার কাছে। মিডিয়াকে নিজের কথা বললে মহিলাদের পরিচয় তখন ফাঁস হয়ে যেত, ফলে তারা জনসমক্ষে আসতে অনেক বিপত্তির মুখে পড়তে হতো।
চারিমায়া বর্তমানে একটি এনজিও চালান। পাচার হওয়া মেয়েদের অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরিয়ে নিয়ে আসাই তার লক্ষ্য। বর্তমানে সুনীলের সঙ্গে এখনও তার যোগাযোগ রয়েছে। সুনীলের এই মহান উদ্যোগের কথা প্রকাশ্যে আসতেই তার প্রশংসা পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। তিনি শুধু রিল লাইফেই নয়, রিয়েল লাইফেও তিনিই প্রকৃত হিরো।