- Home
- Entertainment
- Bollywood
- 'গডফাদার' হিসেবেই সলমনকেই মনেপ্রাণে মানতেন ওয়াজিদ, বড়সড় ভাঙন ভাইদের জুটিতে
'গডফাদার' হিসেবেই সলমনকেই মনেপ্রাণে মানতেন ওয়াজিদ, বড়সড় ভাঙন ভাইদের জুটিতে
সাতসকালেই সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন বিখ্যাত সুরকার ও গায়ক ওয়াজিদ খান। ফের ইন্দ্রপতন বলিউডে। বিখ্যাত দুই অভিনেতার মৃত্যুর একমাস যেতে না যেতে আবারও এক মৃত্যুসংবাদ। মাত্র ৪২ বছর বছরেই সকলকে আলবিদা জানিয়ে চলে গেলেন ওয়াজিদ খান। সত্যিই যেন মরক লেগেছে টিনসেল টাউনে। বলিউডের ভাইজান সলমনের হাত ধরেই বি-টাউনে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল সাজিদ-ওয়াজিদের। সালটা ১৯৯৮। 'প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া'- ছবিতে এই জনপ্রিয় জুটিকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন সলমন খান। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সাজিদ-ওয়াজিদকে। বাকিটা ইতিহাস।
| Published : Jun 01 2020, 12:18 PM IST / Updated: Jun 01 2020, 05:03 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সাতসকালেই সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন বিখ্যাত সুরকার ও গায়ক ওয়াজিদ খান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪২ বছর। গতকাল গভীর রাতেই মুম্বইতে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। তার এই অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা টিনসেল টাউনে।
বলিউডে একের পর এক অভিনেতার মৃত্যর খবর যেন লেগেই রয়েছে। বলি অভিনেতা ইরফান খান এবং ঋষি কাপুরের মৃত্যুর এক মাস কাটতে না কাটতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বিখ্যাত সুরকার ও গায়ক ওয়াজিদ খান।
ভাইজানের হাত ধরেই বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সাজিদ-ওয়াজিদ।সালটা ১৯৯৮। 'প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া'- ছবিতে এই জনপ্রিয় জুটিকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন সলমন খান। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সাজিদ-ওয়াজিদকে।
সুরকার হিসেবেও বলিউডে এই ছবি তাদের হাতেঘড়ি। তারপর থেকে সলমনের সবথেকে জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক জুটি হয়ে উঠেছিলেন সাজিদ-ওয়াজিদ। সলমনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের কথা সকলেরই জানা।
নিজের গডফাদার হিসেবেই সলমনকে মানতেন ওয়াজিদ খান। যে কোনও অনুষ্ঠান হোক বা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, সর্বদাই ওয়াজিদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিল তারা।
একটি সাক্ষাৎকারে ওয়াজিদ বলেছিলেন, সলমনের কাছ থেকে তিনি জীবনে অনেক কিছু শিখেছেন। সলমনের বেশিরভাগ ছবিতেই কাজ করেছেন সাজিদ-ওয়াজিদ জুটি।
সালটা ১৯৯৯। সাজিদ-ওয়াজিদের সুরে 'দিওয়ানা' অ্যালবাম-এরল তাদের গাওয়া গানগুলি সুপারহিটের তকমা পেয়েছিল। সুরকার হিসেবেই নয়, গায়ক হিসেবে তিনি সুপরিচিত। 'দাবাং', 'গর্ব', 'মুঝসে শাদি কারোগি', 'সাওয়ান', 'পার্টনার', 'বীর', 'নো প্রবলেম'-এর মতো বহু ছবিতে সাজিদ-ওয়াজিদ সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
সম্প্রতি লকডাউনের মধ্যেও ভাইজানের ইউটিউবে মুক্তিপ্রাপ্ত গানা 'প্যায়ার করোনা', 'ভাই ভাই' গানেও সুর দিয়েছিলেন এই হিট জুটি। আইপিএল ৪ -এর থিম সংও তৈরি করেছিলেন এই হিট জুটি। বলিউডের বিখ্যাত সুরকার সাজিদ-ওয়াজিদ প্রায় দুই দশকের ও বেশি সময় ধরে একের পর এক হিট গান দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ওয়াজিদ। কিছুদিন আগে কিডনি প্রতিস্থাপনও করা হয়েছিস। তারপরই তার লালারস পরীক্ষা করাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। এরপর থেকে শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। অবশেষে মুম্বইয়ের চেম্বুরের সুরানা হাসপাতালে মারা যান তিনি।
তার মৃত্যুতে বি-টাউনের সকল তারকারাই শোকাহত। অমিতাভ বচ্চন থেকে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, পরিণীতি চোপড়া, হিমেশ রেশমিয়া সকলেই তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। তার মুখের মলিন হাসি সারাজীবন সকলের মনে অমলিন হয়ে থেকে যাবে। সকলেই তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
বলিউডের বিখ্যাত গায়ক সোনু নিগম ওয়াজিদের মৃত্যুতে গভীর ভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি নিজের ইনস্টা প্রোফাইলে শোকজ্ঞাপন করেছেন। সোনু নিগম, সাজিদ-ওয়াজিদের সঙ্গে একটি গ্রুপ ফোটো শেয়ার করে লিখেছেন, 'আমার ভাই সবাইকে ছেড়ে চলে গেল'।
বলিউডের গায়কও সুরকার হিমেশ রেশমিয়া জানিয়েছেন, ওয়াজিদ ভাইয়ের কথা শুনে হতবাক হয়ে গেলাম। আপনার সঙ্গীত সর্বদা আমাদের সঙ্গে থাকবে। সারাজীবন আপনাকে মিস করব।