- Home
- Entertainment
- Bollywood
- ফাজের বেল্ট দিয়ে সুশান্তের গলায় ফাঁস দেওয়া হয়েছে, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রাক্তন অ্যাসিস্টেন্টের
ফাজের বেল্ট দিয়ে সুশান্তের গলায় ফাঁস দেওয়া হয়েছে, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রাক্তন অ্যাসিস্টেন্টের
- FB
- TW
- Linkdin
ফাজ বেশ ভারি সারমেয় জাতের ছিল। তাই তার গলার বেল্টও বেশ মোটা ছিল। সবুজ, কালো, লাল বিভিন্ন বেল্ট ছিল ফাজের। সেই লাল বেল্ট দিয়েই নাকি ফাঁস দেওয়া হয়েছে সুশান্তকে।
সেই লাল বেল্টটি মাঝেমধ্যে অঙ্কিত ধোয়া-মোছা করতেন। বাড়ির পরিচারকের কাজ হলেও এই কাজটি অঙ্কিতও করতেন প্রায়সই। ফাজকে হাঁটতে নিয়ে যাওয়াও ছিল তাঁর পছন্দের কাজের মধ্যে একটি।
সুশান্তের সঙ্গে মাঝে মাঝে তাঁর বাড়িতেই থেকে যেতেন অঙ্কিত। সুশান্ত, তাঁর বাড়ির জিনিসপত্র এমনকি ফাজের বেল্টও তিনি অত্যন্ত ভাল ভাবে চেনেন বলেই একরকম নিশ্চিত করে কথাগুলি বলছেন।
ফাজের লাল বেল্টটি থেকে রঙ উঠত। সেই রঙ সুশান্তের গলায় লেগে ছিল। এমনকি সুশান্তের মরদেহের ছবি যখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ভাইরাল হওয়া ছবিতে গলার দাগ দেখেই চিনতে পেরেছিলেন অঙ্কিত।
তিনি বলেন, "আমি নিজের মত তদন্ত চালিয়েছি। যে সবুজ কুর্তা ফ্যান থেকে ঝুলছিল সেই কাপড় দিয়ে নিজেকে ফাঁস দিলে এমন গলার দাগ হওয়ারই কথা নয়। ফাজের বেল্ট বেশ মোটা এবং শক্ত। সেটা দিয়েই মারা হয়েছে দাদাকে।"
দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকা নিয়েও অঙ্কিত জানান, "দাদা কখনই দরজা বন্ধ করতেন না। আমি দাদার বাড়িতে থাকাকালীন দাদা কখনই দরজা লক করতেন না।"
"দাদা যদি আত্মহত্যাই করত, পুলিশ তো এসে দাদার ঝুলন্ত দেহ দেখত, খাটে শোয়ানো দেহ নয়। আত্মহত্যার সময় বাড়িতে উপস্থিত কোনও মানুষেরই অনুমতি নেই মরদেহকে ছোঁয়ার। একমাত্র পুলিশেরই এই অধিকার রয়েছে।"
"দাদার সঙ্গে আমি সবসময় থাকতাম। আমি অভিনয় শিখতাম। দাদা আমায় জন্মদিনে ম্যাকবুক, আইফোন উপহার দিত। আমায় বলিউডে ছোটখাটো সুযোগ করে দেবে বলেছিল। দাদা নিজের প্রাণ নিতেই পারে না।"
"বাড়ি থেকে শুরু করে দাদার ম্যানেজার, সমস্ত পুরনো কর্মীদের ছাঁটাই করে দিয়ে নতুন কর্মী কে নিয়ে নিয়োগ করেছিল জানি না। তবে নিয়োগ করা নতুন রাঁধুনি দীপেশের বেশ দম্ভ ছিল। ভালভাবে কথা বলত না।"
অঙ্কিত আরও জানান, খুনের পরিকল্পনা কার বা খুন কারা করেছে তিনি জানেন না। তবে তিনি নিশ্চিত সুপরিকল্পিত এক খুনকে আত্মহত্যার রূপ দেওয়া হচ্ছে।