- Home
- Entertainment
- Bollywood
- কালো এবং কুৎসিত, নেই কোনও ছবির অফার, প্লাস্টিক সার্জারির সহায় শিল্পা শেট্টি
কালো এবং কুৎসিত, নেই কোনও ছবির অফার, প্লাস্টিক সার্জারির সহায় শিল্পা শেট্টি
কালো, সৌন্দর্যের লেশমাত্র নেই। বারে বারে এই মন্তব্যগুলিই মেয়েটার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন। রিজেকশন সহ্য করতে করতে এক সময় সে সিদ্ধান্ত নিল প্লাস্টিক সার্জারির সহায় হবে। সেই মেয়ে আর কেউ নন, শিল্পা শেট্টি। আজ তাঁর জন্মদিনে বিভিন্ন প্রসঙ্গের মধ্যে উঠে আসে এই প্লাস্টিক সার্জারির প্রসঙ্গও। বিনোদন জগতে অভিনেত্রী হওয়ার আশা নিয়ে আসার পর তাঁকে নিজের রূপ নিয়ে নানা ভাল মন্দ শুনতে হয়েছে। যার কারণেই তিনি নিজের শরীরে এই ছুড়ি কাঁচি চালাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বলিউডে আজ বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে নানা প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে সোচ্চার হয়েছেন অসংখ্য বলি তারকা। তবে ভারতীয়দের মধ্যে ফর্সা গায়ের রং নিয়ে, বিশেষ করে মেয়েদের ফর্সা গায়ের রং নিয়ে অবসেশন মারাত্মক।
- FB
- TW
- Linkdin
শিল্পা শেট্টি কোনওদিনই তেমন ফর্সা ছিলেন না। এমনকি প্রথমদিকের ছবিগুলি দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, যে তাঁর গায়ের রং বেশ চাপাই ছিল আজীবন।
এদিকে বিনোদন জগতে অভিনেত্রী হওয়ার আশা থাকলে, এই গায়ের রং নিয়ে কোনও আশাই পূর্ণ হবে না বলেই তাঁকে বোঝানো হয়েছিল।
সেই সময় এমনও চিন্তা ভাবনা ছিল যে, কেউ অভিনয় পারুক বা না পারুক, কাটা কাটা মুখের ফিচার্স, সুন্দর চেহারা এবং ফর্সা গায়ের রং হওয়া ম্যানডেটরি।
শিল্পা সেই সময় ফর্সা হওয়ার জন্য তেমন কোনও সিদ্ধান্ত না নিলেও প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নিয়ে ভোঁতা নাক করে ফেললেন সোজা।
মুখে বদল ঘটতেই রিজেকশন বদলে গেল পরিচালকের গ্রীন সিগনালে। তিনি পেয়ে গেলেন নিজের ফার্স্ট ব্রেক।
শিল্পার চেহারা আজীবন বেশ সুন্দর। লম্বা, কার্ভি চেহারা, ঠিক যেমন বলিউডে প্রয়োজন। গ্রুমিংয়ের মাধ্যমেও ধীরে ধীরে তাঁর রূপে আসছে বদল।
এরপরই একের পর এক পরিচালক-প্রযোজকের লাইন লাগতে শুরু করে শিল্পার দ্বোরগোড়ায়। বহু বিগ বাজেট ছবিতে তিনিও একের পর এক সাইন করতে থাকেন।
নব্বইয়ের সেরা নায়িকাদের তালিকায় নিজের নাম নিয়ে এলেন শিল্পা। জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠতে উঠতেই সিদ্ধান্ত নিলেন এবার নিজের শ্যামবর্ণ গায়ের রঙে তিনি বদল আনবেন।
বিদেশে গিয়ে তিনি মেলানিন ট্রিটমেন্টের সাহায্য নিলেন। ধীরে ধীরে শিল্পার গায়ের রঙে এল আকাশ পাতাল তফাৎ। আগের শিল্পা এবং এখনকার শিল্পার মধ্যে কোনও মিলই নেই।
বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতেই কি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। কারণ তাঁর সমসাময়িক অভিনেত্রী কাজলেরও গায়ের রং বেশ কালো ছিল, কিন্তু তিনি সেই সময় স্কিন লাইটেনিং করাননি। যদিও সম্প্রতি নিজের স্কিন লাইটেনিংয়ের পর জল্পনা তুঙ্গে তুলেছিলেন কাজল।
বিগ ব্রাদারের ট্রফি তাঁর কাছে এলেও বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন সেখানেও। ভারতীয় বলে তাঁকে বুলি করা, গায়ের রং নিয়ে নানা মন্তব্য করেছিলেন রিয়্যালিটি শোয়ের আরও এক প্রতিযোগী জেড গুডি।
নানা কারণের জন্যই আজ একাধিকবার প্লাস্টির সার্জারি এবং মেলানিন ট্রিটমেন্ট, স্কিন লাইটেনিংয়ের সহায় হয়েছিলেন শিল্পা। এখন বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বলিউডে সকলে সোচ্চার হলেও, ফেয়ারনেস ক্রিমে এনডর্স করেছেন অনেক সেলেবরাই। তবে বলিউডে বর্ণবিদ্বেষের কারণেই শিল্পার মতই এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন নায়িকারা।