- Home
- Entertainment
- Bollywood
- দু'বেলা জুটত না খাবার, অতীতকে পিছনে ফেলে ৩০ কোটির মানালির প্রাসাদের মালকিন কঙ্গনা
দু'বেলা জুটত না খাবার, অতীতকে পিছনে ফেলে ৩০ কোটির মানালির প্রাসাদের মালকিন কঙ্গনা
- FB
- TW
- Linkdin
কঙ্গনাও এসেছিলেন সেই স্বপ্ন নিয়েই। কিন্তু লাখ লাখ মেয়েদের মধ্যে কেনই বা তাঁকে সুযোগ দেওয়া হবে অতগুলি মেয়ের মধ্যে। এই ভাবনায় আটকে থাকেননি কঙ্গনা।
বরং স্টিরিওটাইপের গণ্ডি পেরিয়ে আজ তিনি সত্যি সত্যিই হয়ে উঠেছেন বলিউডের ক্যুইন। সবটাই তাঁর প্রতিভার জোরে। তবে একটা সময় ছিল যখন দু'বেলা ঠিকভাবে খাবারও জোটেনি তাঁর।
ব্যাঙ্কের সমস্ত সঞ্চয় চলে আসে শেষের খাতায়। বাড়ি থেকে টাকা পাঠানোও ছিল বন্ধ। যার কারণে কঙ্গনার ব্যাঙ্করাপ্ট হতে বেশি সময় লাগেনি।
একদিনের খাবারের জন্য জুটত রুটি এবং আচার। সেখান থেকে কঠোর পরিশ্রমে আজ তিনি হাইয়েস্ট পেড অভিনেত্রীদের তালিকায় একজন। খাদ্যাভাব থেকে দুই প্রকান্ড বাড়ির মালকিন এখন কঙ্গনা।
কঙ্গনার মানালির বাড়িটির দাম তিরিশ কোটি টাকা। যা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় নেটিজেনের। পাহাড়ের কোলে এমন প্রকান্ড মহল কার না স্বপ্ন।
তবে বাড়িটিকে সম্পূর্ণ ম্যানশনের রূপ দেননি কঙ্গনা। বাড়ির মতই রেখেছেন বাড়ির সাজগোজ। যাকে বলে মিনিমালিস্টিক ইন্টিরিওর। অতিরিক্ত প্রাসাদ ডিজাইন না রেখে মডার্ন রেখেছেন বাড়ির ডিজাইন।
কঙ্গনা যে কেবল ফ্যাশনের দিক থেকেই টপ নচ তা নয়। বাড়ির ডিজাইনের বিষয়ও অত্যন্ত খুঁতখুতে। কোথায় ঠিক কোন জিনিসটি বসলে ভাল লাগবে সেই দিকেও রয়েছে তাঁর নজর।
ইউরোপিয়ান থিমেই তৈরি হয়েছে কঙ্গনার মানালির এই বাড়ি। কাঁচের বারান্দা থেকে শুরু করে কাঁচের ঘর, বাড়িটি থেকে যেন চোখই সরে না কারও।
ভিতরে রয়েছে, আটটি ঘর, কনসারভেটরি, জিম, যোগার ঘর, ফ্যায়ার প্লেস। কোয়ারেন্টাইনে সেখানেই রয়েছেন কঙ্গনা। সপরিবারে মানালির বাড়িতে সুখে শান্তিতে কাটাচ্ছেন দিন।
শহরের তুলনায় মানালিতে দূষণ তো কমই সঙ্গে ভাইরাসও তেমন ঘন ঘন থাবা বসায়না। পাহাড়ের মাঝে তাঁর বাড়িটি দেখলে যে মনে হয় বিদেশের কোনও স্ন্যাপ। মানালির মনোরম পরিবেশে ক্যুইনের বাড়ি হল চেরি অন দ্য টপ।