- Home
- Entertainment
- Bollywood
- 'সঞ্জয় যেন আমায় ফোন না করে, সব শেষ হয়ে গিয়েছে', সঞ্জয়ের গ্রেফতারই ডেকে এনেছিল মাধুরীর মনে বিদ্বেষ
'সঞ্জয় যেন আমায় ফোন না করে, সব শেষ হয়ে গিয়েছে', সঞ্জয়ের গ্রেফতারই ডেকে এনেছিল মাধুরীর মনে বিদ্বেষ
- FB
- TW
- Linkdin
১৯৯৩ সালে মুম্বই ব্লাস্টে সঞ্জয়কে নিয়ে শুরু হয় কাটাছেড়া। অভিনেতার বাড়ি থেকে পাওয়া যায় এক ফিফটি সিক্স।
তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অভিনেতা নিজের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি বন্দুকটি নিজের পরিবারের রক্ষা করার জন্য বাড়িতে রেখেছিলেন।
বারে বারে তাঁর পরিবারের কাছে খুনের হুমকি আসছিল সেই সময়। তিনি এও বলেন যে নিজের বন্ধু ইউসুফ নলওয়ালাকে রাইফেলকে ধ্বংশ করতেও বলে দিয়েছিলেন তিনি।
বলিউডের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগাযোগ নিয়ে বহু মতোবিরোধ রয়েছে। অনিল কাপুরের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের ছবি নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল এক সময়।
অন্যদিকে অভিনেত্রী মন্দাকিনীর সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের প্রেম। পরিচালক করণ জোহার আবু সালেমের থেকে প্রাণের হুমিকও পেয়েছিলেন।
এই ধরণের নানা জল্পনার মাঝে সঞ্জয় দত্তের গ্রেফতার হওয়া যেন বলিউডে বাজ পড়ার মত।
সঞ্জয় পুলিশের হেফাজত থেকে ছাড়া পেতেই প্রথম ফোন মাধুরীকেই করেন। গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁদের প্রেম ছিল অটুট।
আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে সঞ্জয়ের নাম জড়াতেই মাধুরী সিদ্ধান্ত নেন, তিনি আর কোনও মতেই সঞ্জয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না।
সঞ্জয় তাঁকে দিনের পর দিন ফন করে যেতেন। এমনকি জেলের মধ্যে থেকে যতটুকু অনুমতি ছিল ফোন করার সেখান থেকেও নাকি মাধুরীকে কয়েকবার ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন অভিনেতা।
মাধুরী তাঁর একটাও ফোনের উত্তর না দেওয়াই সঠিক মনে করেছিলেন সেই সময়। এমনকি তিনি সঞ্জয়ের সঙ্গে কোনও কথোপকথনেই যাননি।
অন্য একজনের মাধ্যমে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, "সঞ্জয় যেন আমায় আর কখনও ফোন না করে। সব শেষ হয়ে গিয়েছে।" তাঁদের সেই যে ১৯৯৭ মহান্ত ছবিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তারপর প্রায় বিশ বছরেরও পর দুজনকে করণ জোহারের কলঙ্কে দেখা যায়।
মাধুরীর দিক থেকে সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সঞ্জয় তখনও তাঁর প্রেমে অন্ধ। কোনও না কোনও উপায় বারে বারে মাধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে গিয়েছিলেন তিনি।