- Home
- Entertainment
- Bollywood
- পুরোপুরি 'ভার্জিন', কখনও সেক্স-চুম্বন করেনি এমনই নায়িকাদেরই খুঁজত পরিচালকরা, মুখ খুললেন মহিমা
পুরোপুরি 'ভার্জিন', কখনও সেক্স-চুম্বন করেনি এমনই নায়িকাদেরই খুঁজত পরিচালকরা, মুখ খুললেন মহিমা
- FB
- TW
- Linkdin
পরিচালক সুভাষ ঘাই-এর 'পরদেশ' ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেই মুহূর্তেই দর্শক মনে নিজের জায়গা পাকিয়ে নিয়েছিলেন। বলিউডের কিং খান শাহরুখের সঙ্গেই প্রথম পর্দায় ডেবিউ করেন বাঙালি অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী।
বলিউডের প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম মহিমা চৌধুরী। তার মলিন হাসিতেই ঝড় উঠেছিল আট থেকে অষ্টাদশীর হৃদয়ে। তার ওই হাসি দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতেন পুরুষরা। 'পরদেশ' সিনেমায় তার পর্দাউপস্থিতি এতটাই মনে ধরেছিল যে তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন ভক্তরা। কিন্তু সেটা আর পূরণ হয়নি।
নিজের ব্যক্তিগত কারণেই বলিউডে ছাপ রাখতে পারেননি মহিমা চৌধুরী। অভিনেত্রী প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমে পুরুষশাসিত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বিশেষত ভার্জিন মেয়েদেরই কদর বেশি ছিল ইন্ডাস্ট্রিতে, পরিচালকরাও এমন মেয়েদেরই খুঁজত বলে জানিয়েছেন মহিমা।
মহিমা জানিয়েছেন, নব্বইয়ের দশকের সময়টা ভীষণভাবে পুরুষশাসিত ছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। নিজের ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য বহু ছবি থেকে বাদ পড়েছিলেন নায়িকা। বরাবরই লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হয়েছে মেয়েরা। এমনকী ছেলেদের তুলনায় অনেক কম পারিশ্রমিকও দেওয়া হতো।
মহিমা জানিয়েছিলেন, একটা সময়ে একজন অভিনেত্রীর নিজের ব্যক্তিগত জীবনও তার কেরিয়ারে বড় প্রভাব ফেলত। কোনও অভিনেত্রী কারোর সঙ্গে ডেটিং করলেও নাকি তাকে সবাই ভুলে যাওয়া শুরু করত। নিজের ব্যক্তিগত বলে কিছুই ছিল না সেসময়।
মহিমার কথায়, যে সমস্ত মেয়েরা ভার্জিন কোনওদিন চুমু খায়নি, সঙ্গম করেননি তারাই ছিল নায়িকা হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে। তুমি বিবাহিক তাহলে তোমার কেরিয়ার শেষ। আর সন্তান থাকলে তো ভুলেই যাও। পুরো কেরিয়ারই শেষ। নব্বইয়ের দশকে নায়িকাদের এমনই মনে করা হতো।
তবে নায়িকারাই নয়, নায়কদেরও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। আমির খান ও গোবিন্দার বিয়ের খবরও চেপে রাখা হয়েছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। এখনকার দিনের নায়িকা বিয়ে-সন্তান-পরিবার সবকিছু সামলে ছবিতে অভিনয় করছে। সেটাকে দর্শক গ্রহণও করছে।
মাস কয়েক আগেই মহিমা জানিয়েছিলেন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন মহিমা চৌধুরী। এমনকী চিকিৎসা চলাকালীন কাজ করেছেন এবং মা হিসেবেও সমস্ত দায়িত্ব পালন করছেন মহিমা। তবে ব্যক্তিগত জীবনে নানা রকমের সমস্যায় পড়েছিলেন মহিমা।
২০০৬ সালে ববি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মহিমা চৌধুরী। তবে বিবাহিত জীবনও মোটেই সুখকর ছিল না। ২০১৩ সালে ববির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় মহিমার। বর্তমানে তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, যার নাম আরিয়ানা। বিচ্ছেদের পর মেয়ে আরিয়ানাকে নিজের কাছেই রেখেছেন মহিমা চৌধুরী। জীবনে একাধিকবার ব্যর্থ হয়ে আজ সমস্ত কিছুকে পরাজয় করে সফল মহিমা চৌধুরী।
বলিউডে পা রাখার কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি যেন ফিল্মি দুনিয়া থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন মহিমা। ব্যক্তিগত জীবনে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে মহিমাকে। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন অনেক দুর্দান্ত ছবি উপহার দিয়েছেন মহিমা । কিন্তু নিজের জীবনে একাধিকবার ব্যর্থ হয়ে আজ সমস্ত কিছুকে পরাজয় করে সফল মহিমা চৌধুরী।