- Home
- Entertainment
- Bollywood
- 'নেপোটিজম বাড়িতেই পুষে রেখেছেন, সুশান্তের মৃত্যু আপনার কাছে অজুহাত মাত্র'
'নেপোটিজম বাড়িতেই পুষে রেখেছেন, সুশান্তের মৃত্যু আপনার কাছে অজুহাত মাত্র'
- FB
- TW
- Linkdin
বলিউডে এসেছিলেন আদিত্য পঞ্চোলির হাত ধরে। তাঁর সঙ্গে কঙ্গনার নাম জড়ানো, কঙ্গনাকে শারীরিক অত্যাচার করা বিভিন্ন তথ্যই প্রকাশ্যে আসে বহু পরে।
আদিত্য পঞ্চোলির মাধ্যমে বলিউডে আসার কারণে কঙ্গনাকেও নেপটিজমের প্রোডাক্ট বলে দাবি করছে একাংশ নেটিজেনের দল। তাদের কথায়, কঙ্গনা সুশান্তের হয়ে লড়ছেন না।
সুযোগ বুঝে বলিউডের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন বলে সুশান্তের মৃত্যুকে কারণে হিসেবে দেখাচ্ছেন। কঙ্গনা নাকি নিজেও নেপটিজমের কারণেই ইন্ডাস্ট্রিতে এতদূর আসতে পেরেছেন।
আজ যে মহেশ ভাটের কারণেও তিনি গ্যাংস্টার ছবিতে প্রধান নায়িকার চরিত্রে ব্রেক পান। এই মহেশ ভাটকে সিঁড়ি করেই নাকি কঙ্গনা অনেক দূর এসেছেন।
জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর মহেশ ভাটের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছিলেন কঙ্গনা। এরপরই হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে কঙ্গনার অ্যালেজেড প্রেম। যার সমস্যার অন্ত নেই।
হৃত্বিক নিজেই একজন তারকার ছেলে। সেখানে হৃত্বিকের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন 'কাইটস' ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান কঙ্গনা। নেটিজেনের প্রশ্ন, কঙ্গনা যদি নেপটিজম পছন্দই না করেন তাহলে হৃত্বিকের হাত ধরে বড় ছবির ব্যানারে কাজ করলেন কেন।
অন্যদিকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও নেপটিজমের ছোঁয়া। নিজের বোন রঙ্গোলি চান্ডেলকে নিজের ম্যানেজার হিসেবে রেখেছেন। যেখানে তাঁৎ বোনের পাব্লিক রিলেশন থেকে শুরু করে পার্সোনাল ম্যানেজার হওয়ার কোনও যোগ্যতাই অর্জন করেননি।
এছাড়াও নেটিজেন প্রশ্ন তুলেছে, তাঁর ভাই অক্ষত রনাওয়তকে নিয়ে। নিজের প্রযোজনা সংস্থা খোলার পর কঙ্গনা তাঁর ভাই অক্ষতকে আইনি এবং আর্থিক দিকটি দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন।
স্বজনপোষণ ওরফে নেপটিজম। যে শব্দটি কঙ্গনাই বলিউডকে নতুন করে শিখিয়েছিলেন, তা ব্যাকফ্যায়ার করে কঙ্গনাকেই। নিজের বোন এবং অক্ষতকে নিজের কোম্পানিতে রেখে নেপটিজমের উদাহরণ দিয়েছেন বলে দাবি নেটদুনিয়ার।
নেপটিজম সর্বত্র। এর বিস্তারের কোনও শেষ নেই। তা সে টলিউড হোক বা বলিউড। বিনোদনের জগৎ ছাড়াও সাধারণ জীবনেও তেমনই উদাহরণ আমাদের নজরে আসে। ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার, শিক্ষিকার মেয়ে শিক্ষিকা। যদিও ব্যতিক্রম থেকেই থাকে।