বিহার পুলিশের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন রিয়ার, হলেন শীর্ষ আদলতের শরণাপন্ন
- FB
- TW
- Linkdin
সম্প্রতি বিহার পুলিশের বিষয় একটি স্টেটমেন্ট দিয়েছে তাঁর আইনি টিম। শীর্ষ আদালতে ফাইল করেছেন পিটিশন। যাতে লেখা রয়েছে বিহার পুলিশের আইনের এক্তিয়ারের বাইরে এই বিষয়।
তাদের আইনের এক্তিয়ার অনুযায়ী সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সিবিআই তদন্তের জন্য তাদের একটি জিরো এফআইআর দায়ের করতে হবে মুম্বই পুলিশের কাছে।
বিহারের আদলতে থেকে অনুমতি পেয়েই এই জিরো এফআইআর দায়ের করতে পারে বিহার পুলিশ। সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই মুম্বই পুলিশ সিবিআই তদন্তের জন্য সুপারিশ করতে পারে।
বিষয়টি যতটা সহজ মনে হয়েছিল সুশান্ত ভক্তদের কাছে ততটাও নয়। সিবিআই তদন্ত নিয়ে ক্রমশ জল্পনা তুঙ্গে। বিহার পুলিশকে তাদের আইনের এক্তিয়ার অনুযায়ী তদন্ত চালিয়ে যেতে হবে।
এর বাইরে তারা কোনও পদক্ষেপই নিতে পারবে না। নেটিজেনের প্রশ্ন, রিয়া চক্রবর্তী, যিনি সিবিআই তদন্তের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আমিত শাহকে আবেদন জানিয়েছিলেন।
তিনি কেন এখন বেঁকে বসেছেন। তাঁর ভাইরাল হওয়া ভিডিও অনুযায়ী তিনি যদি নির্দোষ হয়ে থাকেন তাহলে রিয়ার ভয় ঠিক কোথায়। কেন সিবিআই তদন্তের দাবিতে পিছিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই বেঁকে বসেছেন অভিনেত্রী। সুশান্তের মৃত্যুর জন্য তাঁকেই 'প্রাইম সাসপেক্ট' হিসাবে ধরে নিয়ে নেটিজেনরা।
ইতিমধ্যেই বিহার পুলিশের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছেন রিয়া। রাতের অন্ধকারে মালপত্র নিয়ে সপরিবারে মুম্বই ছেড়েছেন তিনি। তবে কি 'আন্ডারগ্রাউন্ড' সুশান্তের বন্ধবী। উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার সম্প্রতি মুখ খোলেন সুশান্ত-মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত নিয়ে। নীতিশ কুমার জানান, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত সিবিআই-এর হাতে যেতে পারে। তবে সুশান্তের বাবা যদি চান তবেই।
সুশান্তের বাবার অনুমতি ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়। শ্রী কৃষ্ণকুমার সিং যদি রাজ্য সরকারের কাছে নিজের ছেলের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের আবেদন করেন তবেই এই বিষয় ভাবা যেতে পারে। পরিবারের সদস্যদের মতামত এতে প্রয়োজন।