- Home
- Entertainment
- Bollywood
- শরীরে নেই সুতোর লেশমাত্র, সঙ্গমরত কালীন নগ্ন হয়ে বাইরে যেতে পিছপা হননি পারভিন ববি, কেন জানেন
শরীরে নেই সুতোর লেশমাত্র, সঙ্গমরত কালীন নগ্ন হয়ে বাইরে যেতে পিছপা হননি পারভিন ববি, কেন জানেন
- FB
- TW
- Linkdin
একাধিক সম্পর্কেও নাম জড়িয়েছিল পারভিন ববির। সাহসী অভিনেত্রী হিসেবে বি-টাউনে তার খ্যাতি ছিল। ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনের কারণেই মানসিক অবসাদে চলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
সুপারহিট অভিনেত্রী হিসেবে যতটা জনপ্রিয় ছিলেন ববি ততটাই আকর্ষণীয় ছিল তার ব্যক্তিগত জীবন। আড়ম্বরে পরিপূর্ণ তার জীবনে এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যা অনেকেরই অজানা। একাধিক সম্পর্কেও নাম জড়িয়েছিল পারভিন ববির। সাহসী অভিনেত্রী হিসেবে বি-টাউনে তার খ্যাতি ছিল।
একাধিক সম্পর্কেও নাম জড়িয়েছিল পারভিন ববির। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর প্রথমে ড্যানির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি তাদের এই সম্পর্ক। ড্যানির পর কবির বেদীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। দীর্ঘদিন কবির বেদির সঙ্গে লিভ-ইনে ছিলেন ববি। তবে সেই সম্পর্ক খুব বেশিদিন টেকেনি।
পারভিন ববি যখন অভিনয়ের শীর্ষে ছিলেন, তখনই মহেশের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া শুরু হয়েছিল। সেই সময় কবীর বেদির সঙ্গে ব্রেকআপ হয়েছিল পারভিন ববির। ব্রেকআপ যন্ত্রণায় মলম লাগাতে সেইসময় পারভিনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মহেশ ভাট। তারপর থেকেই লিভ-ইন করতে শুরু করেছিলেন। এবং মহেশের প্রেমে রীতিমতো পাগল হয়ে গেছিলেন পারভিন।
একটি ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পারভিন ববি জানিয়েছেন, মহেশ ভট্টের সঙ্গে তার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল। দীর্ঘদিন লিভ-ইন করার পর তাকে ছেড়ে চলে যান মহেশ। ব্যক্তিগত জীবনের সেই কথা সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছিলেন পারভিন।
মহেশ ভট্ট জানিয়েছিলেন, ১৯৮০ সালে 'শান' ছবির শ্যুটিং চলছিল। সেই সেটে উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, শশী কাপুর, পারভিন ববি সহ অনেকেই। শ্যুটিং চলতে চলতে হঠাৎই থেমে যায় পারভিন। তার একটি ঝাড়বাতির নীচে দাঁড়ানোর কথা ছিল, সেটাতেও রাজি ছিলেন না পারভিন।
পারভিন শ্যুটিং চলাকালীন দাবি করেছিলেন যে অমিতাভ বচ্চন নাকি তার উপর ঝাড়বাতি ফেলে তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। অমিতাভের পাশাপাশি ছবির পরিচালক রমেশ সিপ্পির নামেও তিনি অভিযোগ এনেছিলেন। এরপরই সিনেমার শ্যুটিং বন্ধ হয়ে গেছিল। পারভিনের এই বিস্ফোরক বয়ানে পুরে কেঁপে উঠেছিল বলি ইন্ডাস্ট্রি।
সালটা ১৯৭৯ । একদিন মহেশ বাড়ি ফিরে দেখে পারভিন ঘরের এক কোণে ছুরি হাতে বসে আছে। মহেশকে দেখে তাকে ইশারা দিয়ে চুপ করে থাকতে বলেছিলেন অভিনেত্রী। ঘরে কেউ আছে, তারা নাকি ববিকে হত্যার চেষ্টা করছে। এই প্রথম ববির এহেন আচরণ দেখে অবাক হয়েছিলেন মহেশ।
এরপর একাধিকবার তাকে এই রকম আচরণ করতে দেখা গেছে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর জানা যায় সিজোফ্রেনিয়া নামক মানসিক রোগে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সবসময় মনে মনে ভাবছেন কেউ তাকে মেরে ফেলতে চায়। এমনকী সবসময়েই কিছু না কিছু নিয়ে তিনি ভেবেই যেতেন। পারভিনের অবস্থা ধীরে ধীরে এতটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল যে একসময়ে তাকে ঘরে আটকে পর্যন্ত রাখা হয়েছিল।
মহেশ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, পারভিনের উপর রেগে গিয়েই একবার বেডরুম থেকে সোজা বেরিয়ে এসেছিলেন। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে পারভিন মুখ থেকে একটি কথা শুনেই হতবাক হয়ে গেছিলেন মহেশ। তারপর তার কথার কোনও উত্তর না দিয়েই শোবার ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান মহেশ।
মহেশের মতে, তিনি লিফটের জন্য অপেক্ষা করেননি বরং সিড়ি বেয়ে নামতে শুরু করেন। সেই সময় সিড়ি দিয়ে দৌঁড়ে নামার শব্দও শোনেন। ঠিক তখনই পুরো নগ্ন অবস্থায় সিড়ি দিয়ে দৌঁড়ে নেমে এসেছিলেন পারভিন। এই ঘটনার কয়েকমাস পরেই তাদের সম্পর্কে চিড় ধরেছিল।
সাহসী হিসেবে বি-টাউনে তার খ্যাতি ছিল। সিগারেট, মদ এই সমস্ত নেশাতেই নিজেকে বুঁদ করে রেখেছিলেন অভিনেত্রী। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিশ্বজোড়া খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যেতেই তার শত্রুর সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল। অনেককেই নিজের শত্রু ভাবতেন তিনি। ২০০৫ সালে ২০ জানুয়ারী মারা যান এই অভিনেত্রী।
ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনের কারণেই নাকি মানসিক অবসাদ ভুগে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। যদিওতার মৃত্যু নিয়ে এখনও রহস্য রয়েছে। কোনও রোগের কারণেই তিনি মারা গেছেন নাকি মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করেছিলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি।