- Home
- Entertainment
- Bollywood
- 'এতদিন আপনি সবাইকে সঙ্গম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, আজ আপনি জবাব দিন, আপনি কি সমকামী'
'এতদিন আপনি সবাইকে সঙ্গম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, আজ আপনি জবাব দিন, আপনি কি সমকামী'
সপ্তাহ খানেক আগে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পায়েল রোহাতগি। তাঁর দাবি মহেশ ভাট এবং রিয়া চক্রবর্তী নাকি পরিকল্পিতভাবে খুন করেছেন সুশান্তকে। সম্প্রতি পায়েল নিজের ইউটিউবে চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে অসংখ্য জিনিস নিয়ে কথা বলেন তিনি। মহেশ ভাট, রিয়া চক্রবর্তী, কর্সি চাভরা (সুশান্তের সাইকোলজিস্ট), সলমন খান, সোনম কাপুরের নাম তুলে একাধিক মন্তব্য করেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে করণ জোহারের দিকেই তীর ছুঁড়েছেন সমকামীতা নিয়ে। করণকে প্রশ্ন করেছেন তিনি সমকামী কিনা।
| Published : Jun 28 2020, 10:38 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
একটি দেড় মিনিটের ভিডিওতে তিনি প্রশ্ন করেন, "আপনি নিজের অনুষ্ঠানে সকলের সেক্স লাইফ নিয়ে কিংবা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এবার আপনার পালা। আপনি কি গে। আপনি সমকামী কিনা তা জানতে চায় গোটা দেশ।"
তিনি আরও বলেন, "দেশের এমন নামী ও গুণী ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবন কেমন, তা সাধারণ মানুষও জানতে চায়। আপনি এতদিন সকলকে প্রশ্ন করে এসেছেন আজ আমি আপনাকে প্রশ্ন করতে চাই।"
পায়েল, সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সুশান্তের চিকিৎসক, মনোবিজ কর্সি চাভরার কথা বলে তিনি জানান, এই ডাক্তার নাকি অধিকাংশ মানুষকে ইচ্ছাকৃত বাইপোলার ডিসঅর্ডার নিয়ে চিকিৎসা করেন।
যে বাইপোলার নয়, তাঁকে জোর করে অবসাদের ওষুধ খাওয়াতেন। পায়েলের কথামত, মনোবিদ কর্সি চাভরা নাকি মহেশ ভাটের ঘনিষ্ঠ মহলের মধ্যে একজন।
তাঁর কথাতেই সুশান্তকে অবসাদের ওষুধ খাওয়াতেন এই সাইকোলজিস্ট। সুশান্তের এই ডাক্তার পায়েলেরও চিকিৎসা করিয়েছিলেন এক সময়।
সেই সময় পায়েল তাঁর কাছে মানসিক অবসাদের জন্য যেতেন। তিনি সেই সময় পায়েলকে চিকিৎসা করিয়ে ইচ্ছাকৃত বাইপোলার বলে দাবি করতেন। এবং তাঁকেও জোর করে অবসাদের ওষুধ খাওয়াতেন।
সেই নিয়েই পায়েল জানান, সুশান্তকে মহেশ ভাট এবং কর্সি চাভরা সুশান্তকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছেন এবং সঙ্গে রয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী, বাড়ির কাজের লোকজন এবং কমপ্লেক্সের কর্মচারী যারা সিসিটিভি আগের দিন রাত থেকে বন্ধ করে দেয়।
পায়েল এছাড়া সুশান্তের মরদেহের ছবি ভাইরাল হওয়া নিয়েও বলেন, কোনও মানুষের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলে চোখ বেরিয়ে আসার কথা, জীভ বেরিয়ে আসার কথা, পায়ের শিড়া ফুলে যাবে, হাত মুঠো করা থাকবে, তেমন কোনও চিহ্নই ছিল না তাঁর শরীরে।
অন্যদিকে তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল কেই গলা টিপে মেরে ফেলেছে। গলার দাগটিও সেরকমই ছিল। পায়েলের প্রতিটি কথায় সহমত নেটিজেনরাও। পায়েল বিশ্বাস করেন এটি পরিকল্পিত খুন, কোনও আত্মহত্যা নয়।
মানসিক অবসাদে থাকা মানুষ, আত্মহত্যার কথা ভাবলে আগের দিন রাতে পার্টি করে না, সকালে উঠে বেদানার রস খেয়ে আত্মহত্যা করতে যায় না।