জানেন কি, এই বিশেষ কারণেই নিজের বিয়ে গোপন রেখেছিলেন জুহি চাওলা
৫৩-তে পা বলি অভিনেত্রী জুহি চাওলার। অভিনয় দক্ষতা, গ্ল্যামার, সৌন্দর্যে সকলকে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন জুহি। নিখুঁত সৌন্দর্য আর মুক্তোর মতো মলিন হাসি দেখার জন্য জুহি চাওলার ছবি দেখতে মুখিয়ে থাকতেন নেটিজেনরা। তবে খুব বেশিদিন রূপোলি পর্দায় নিজেকে ধরে রাখেননি তিনি। কেরিয়ার যখন উর্ধ্বগগনে, তখনই অভিনয় ছেড়ে ১৯৯৫ সালে গাটছড়া বাঁধেন বলিউডের গসিপ থেকে শত যোজন দূরে থাকা শিল্পপতি জয় মেটার সঙ্গে। তবে বিয়ের বিষয়টি দীর্ঘদিন গোপন রেখেছিলেন জুহি।
- FB
- TW
- Linkdin
ইন্ডাস্ট্রিতে একটানা ২০ বছর বলিউডের অন্যতম স্বনামধন্য নায়িকা ছিলেন জুহি চাওলা। বলি কেরিয়ারে প্রথম জায়গা দখলের ঘোড়দৌঁড়ে কোনওদিনই তিনি ছোটেন নি। বরং নিজের মতোন করে অভিনয় করে গেছেন দীর্ঘ বছর।
সাক্ষাৎকারে জুহি জানিয়েছেন, কেরিয়ার যখন শীর্ষে ছিল, তখন বেশ কিছু কারণে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন জুহি।ছবির চিত্রনাট্যের উপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতেন জুহি। বাকি কোনওদিকেই তিনি অত গুরুত্ব দিতেন না। আর এই অবহেলার কারণেও তাকে পরে মাসুল দিতে হয়েছে। নিজের মনের মতো চিত্রনাট্য পছন্দ করেও বক্সঅফিসে বহুবার মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছিল জুহিকে।
জয় মেহেতার কথা বলতে গিয়ে জুহি জানিয়েছেন, বলিউডে আসার আগেই জয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল জুহির। কিন্তু সিনেমায় আসার পরে কোনও কথোপকথন হয়নি। কয়েক বছর পরে ডিনার পার্টিতে দেখা হয়েছিল জয়ের সঙ্গে।
শুটিং চলাকালীন বেশ কয়েকবার দেখা করেছিলেন জয় মেহতা ও জুহি চাওলা। তবে তখন কিন্তু কেউই তেমন আগ্রহ দেখায়নি। কিন্তু পরে যখন জুহি জানতে পারে বিমান দুর্ঘটনায় জয়ের স্ত্রী মারা গেছে, তখন জয়ের প্রতি তার আচরণ বদলে যায়।
দুজনেই যখন বিয়ের কথা ভেবেছিল, তারপরেই জুহির মা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। এবং সেই সময়ে জুহির পাশে সবসময়েই ছিলেন জয়। তারপরই ১৯৯৫ সালে জয়কে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন জুহি।
একদম সাদামাটা ভাবে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিয়ে সারেন বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা। বর্তমানে দুই সন্তান নিয়ে ব্যস্ত সংসারে।
বিয়ের পর সেভাবে আর বি-টাউনের ক্যামেরার ফ্ল্যাশে দেখা মেলেনি জুহির। টিনসেল টাউনে সেভাবে মুখ না দেখালেও অভিনয় ক্ষমতা ও সৌন্দর্যই ছিল জুহির 'তুরুপের তাস'।
গত ৯ বছর ধরে জুহি চাওলা কৃষিকাজ করছেন । কিছুদিন আগে তাকে উইমেন অফ ইন্ডিয়া অর্গানিক উৎসবের মুম্বই সংস্করণের ব্র্যান্ড অ্য়াম্বাসাডর করা হয়েছে।
২০০টিরও বেশি আম গাছের একটি বাগান রয়েছে জুহির। জুহির মতে, একবার জৈব ফল ও শাকসব্জির স্বাদ পেলে আপনি বাজারের ওই রাসায়নিক শাকসব্জি আর খেতে পারবেন না।