সুশান্তের সম্পত্তির এই দু'টি জিনিসই রয়েছে রিয়ার কাছে, প্রকাশ্যে এল ছবি
ইডি-র তলবে অবশেষে জনসমক্ষে এসেছেন প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। অর্থ জালিয়াতি, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ এনেছেন সুশান্তের বাবা কৃষ্ণকুমার সিং। তাঁর এই অভিযোগ মিথ্যে বলেই দাবি করেছিলেন রিয়া। এরই মাঝে মুম্বই ও বিহার পুলিশের ঠান্ডা লড়াই চলতে চলতে তদন্তভার গিয়ে পৌঁছল সিবিআইয়ের কাছে। রিয়াকে ইডি-র জেরায় প্রশ্ন উঠে আসে ১৪ লাখ বার্ষিক আয় তাহলে কীকরে তিনি কোটি টাকার মালকিন হলেন তিনি। অর্থ জালিয়াতির মামলা, সোশ্যাল মিডিয়ার 'গোল্ড ডিগার'র তকমার জবাব দিলেন তিনি।
- FB
- TW
- Linkdin
'ছিছোড়ে' ছবির একটি সিপার অর্থাৎ কালো রঙের বোতল, উপরে লেখা ছবির নাম। সুশান্তের এই বোতলটি রয়েছে রিয়ার কাছে। এমনকি রয়েছে একটি হাতে লেখা নোট।
আট থেকে নয় ঘন্টার জেরায় হয় রিয়ার। রিয়ার আইনজীবী সতিশ মানসিন্দে এই দুটি জিনিস প্রকাশ্যে আনেন। দাবি লেখাটি সুশান্তেরই। নোটটি কৃতজ্ঞতা স্বীকারের।
লেখা, "আমি আমার জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ। লিল্লুর জন্য আমি জীবনের কাছে কৃতজ্ঞ। বেবুর জন্যও কৃতজ্ঞ। স্যারের জন্যও কৃতজ্ঞ। ম্যামের জন্যও কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ যে ফাজ আমার জীবনে রয়েছে।"
এই কৃতজ্ঞতা স্বীকারের নোট কি আদৌ সুশান্তের লেখা, সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নোট অনুযায়ী, বাবা, মা, ভাই, প্রিয় পোষ্য ফাজ, দিদি সকলের কাছেই তিনি কৃতজ্ঞ।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যম, রিয়া চক্রবর্তীর লাইফস্টাইল নিয়ে পূর্বে যা যা প্রশ্ন ওঠে তাই এখন রিয়াকে সরাসরি জেরা করল ইডি। ৮ অগাস্ট সকাল ১১ থেকে ১১:৩০ নাগাদ রিয়াকে তলব করে ইডি।
ইডির ডাকে সারা না দিলে এবার সাংঘাতিক আইনি বিপাকে পড়তেন রিয়া। আর 'আন্ডারগ্রাউন্ড' না থেকে নিশ্চিত করা সময়ের মধ্যেই চলে এলেন মুম্বইয়ের ইডি-র অফিসে। টানা সাড়ে নয় ঘন্টা জেরা চলেছে তাঁর।
রাত ন'টা নাগাদ ইডি-র দফতর থেকে তাঁকে নিজের ভাই সৌভিকের সঙ্গে বেরতে দেখা যায়। সংবাদমাধ্যমের ভিড় কাটিয়ে তড়িঘড়ি গাড়িতে গিয়ে ওঠেন তাঁরা। ইডি জেরায় প্রশ্ন তলে রিয়ার বিলাসবহুল জীবন নিয়ে।
যে অভিনেত্রীর বার্ষিক আয় ১৪ লাখ, তাঁর কাছে দু'টি ফ্ল্যাট, দামি গাড়ি এল কোথা থেকে। ইউরো-ট্রিপই বা কীকরে সম্ভব হল রিয়ার। সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা শ্রী কৃষ্ণকুমার সিং রিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতির মামলা করেন।
সেই অভিযোগই পূর্বে মিথ্যে বলে দাবি করেন রিয়া। তাহলে বার্ষিক আয় ১৪ লাখ থেকে কীভাবে নিজের জীবনযাপন বদলালেন রিয়া। ইডি-র অফিসারদেরও এই একই প্রশ্ন।
তাঁর প্রতিটি ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। দর্শকমহল সেসব ছবির দিকে ঘুরে তাকায়নি। সুশান্তের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এমনও মানুষজন ছিলেন যারা তাঁকে চিনতেনই না।
ইউরোপে ট্রিপ, দামি গাড়ি, দু'টি ফ্ল্যাট, বিলাসবহুল জীবনযাপন কীকরে সম্ভব হল রিয়া চক্রবর্তীর। এই এখন তদন্তের অভিমুখ। ইডি সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের অভিজাত এলেকায় রিয়ার নামে রয়েছে দু'টি ফ্ল্যাট।
মুম্বইয়ের খার এলাকায় ৮৫ লাখ টাকার ফ্ল্যাট। একই এলাকায় আরও একটি ফ্ল্যাটের দাম ৬০ লক্ষ টাকা। এই দু'টির ফ্ল্যাটের দামের কাছে রিয়ার বার্ষিক আয় অত্যন্ত ন্যূনতম। ফ্ল্যাটের কাগজপত্র দেখতে চেয়েছে ইডি।