- Home
- Entertainment
- Bollywood
- প্রথমে সহবাস তারপর বিয়ে, নিজের এই সিদ্ধান্তকে কাজে লাগিয়েই কি ১০ বছরে কাপল গোল দিচ্ছেন সইফ-করিনা
প্রথমে সহবাস তারপর বিয়ে, নিজের এই সিদ্ধান্তকে কাজে লাগিয়েই কি ১০ বছরে কাপল গোল দিচ্ছেন সইফ-করিনা
দেখতে দেখতে ১০ বছর পার। বলিউডের অন্যতম নবাব পাওয়ার কাপল সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর খান। ২০১২ সালে বিয়ে হয় করিনা-সইফের। তারপর থেকে ৯ বছর ধরে চুটিয়ে সংসার করছেন নবাব কাপল।প্রেমপর্ব চলাকালীন লিভ-ইনে থাকতে চেয়েছিলেন সইফ আলি খান। তবে বিয়ের আগে লিভ-ইনের সাহসীকতা দেখালেও নিজেকে ভাল রাখতে করিনার এই উপদেশ আজও মেনে চলেন সইফ আলি খান।
- FB
- TW
- Linkdin
বলিউডের অন্যতম নবাব পাওয়ার কাপল সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর খান। দেখতে দেখতে ১০ বছর পার। ২০১২ সালে বিয়ে হয় করিনা-সইফের। তারপর থেকে ৯ বছর ধরে চুটিয়ে সংসার করছেন নবাব কাপল।
দীর্ঘদিনের প্রেম পরিণতি পায় ২০১২ সালে। তারপর থেকে চুটিয়ে সংসার করছেন নবাব কাপল করিনা-সইফ। ৫০ বছরেই ফের সন্তানের বাবা হয়েছেন সইফ। বিয়ে-সন্তান-সম্পর্ক নিয়ে সবসময়েই লাইমলাইটে থাকেন সইফিনা জুটি। ৪০ বছর বয়সী বলি অভিনেত্রী করিনা কাপুর খান সদ্যই দ্বিতীয় সন্তানের মা হয়েছেন। ৪ সন্তানের বাবা হওয়ার পরও নিজেকে যেন কঠোর ভাবে ধরে রেখেছেন সইফ আলি খান। পতৌদির নবাব যেন বলিউডের অ্যাংরি ইয়াং ম্যান।
পতৌদির নবাব যেন বলিউডের অ্যাংরি ইয়াং ম্যান। তবে বিয়ে-সন্তান-সম্পর্ক নিয়ে সবসময়েই লাইমলাইটে থাকেন করিনা। প্রেমপর্ব চলাকালীন লিভ-ইনে থাকতে চেয়েছিলেন সইফ আলি খান। তবে বিয়ের আগে লিভ-ইনের সাহসীকতা দেখালেও নিজেকে ভাল রাখতে করিনার এই উপদেশ আজও মেনে চলেন সইফ আলি খান।
শুধু তাই নয়, লিভ-ইনের উদ্দাম সহবাসের পরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সইফ-করিনা। কী এমন উপদেশ দিয়েছিলেন করিনা, যা আজও অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন সইফ আলি খান। নেটমাধ্যম থেকে সর্বদাই নিজেকে দূরে রাখেন সইফ আলি খান। ফেসবুক থেকে ইনস্টাগ্রাম কখনই দেখা মেলে মা নবাব পুত্রর। স্ত্রী করিনার উপদেশ মেনেই নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখেন। তেমনটাই জানিয়েছেন ছোটে নবাব।
'টশন' ছবিতেই একে-অপরকে মন বিনিময় হয়েছিল সইফ-করিনার। তারপর বেশ কয়েকটি ছবিতেই একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল এই লাভবার্ডসকে। বিয়ে করার আগে একে অপরের কো-স্টার হিসেবেই কাজ করেছেন এই পাওয়ার কাপল। ' ওমকারা' ছবিতে একসঙ্গে কাজ করলেও তাদের সম্পর্ক অতটাও ভাল ছিল না।
সেই সময় করিনাকে ম্যাম বলে সম্বোধন করতেন সইফ আলি খান। এই ম্যামের প্রেমে পড়েই লিভ-ইনে থাকতে চেয়েছিলেন সইফ আলি খান। সেটে ঠিকমতো কথা হতো না সইফিনার। করিনা গুড মর্নিং উইশ করলে সইফ তার উত্তরে গুড মর্নিং ম্যাম বলে সম্বোধন করতেন করিনাকে। সইফের ব্যক্তিত্ব নাকি আকৃষ্ট করেছিল করিনাকে। তারপরেই ধীরে ধীরে এগোতে থাকে তাদের প্রেমপর্ব। রিলেশন চলাকালীন লিভ-ইনে যেতে চেয়েছিলেন সইফ। তবে বিয়ের আগে লিভ-ইন করতে হলে মা ববিতার অনুমতি নিতে হবে বলে সাফ জানিয়েছিলেন করিনা, কিন্তু করিনাকে কাছে পেতে তাতেও রাজি হয়ে গেছিলেন সইফ।
করিনাকে সইফ সাফ জানিয়েছিলেন, যে তিনি এখন আর বছর পঁচিশের যুবক নন, যে রোজ করিনাকে রাতের বেলা গাড়ি করে বাড়ি ছেড়ে আসতে হবে।তারপরই সটান করিনার মায়ের কাছে তাদের সম্পর্কের কথা জানান সইফ। পাশাপাশি দৃপ্ত ভঙ্গিতে লিভ-ইনেরও অনুমতি চান।করিনার মা ববিতাও এসব শুনে কোনওরকমের দ্বিরুক্তি করেনন নি, বরং সইফের এককথাতেই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। নিজের মতোন করেই লিভ-ইনে থাকার জন্য বেবোর মায়ের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন সইফ আলি খান। এবং বিয়ের ব্যাপারেও এভাবেই কাপুর পরিবারের মন জিতে নিয়েছিলেন সইফ আলি খান।
সর্বদাই ট্রোলারদের লক্ষ্যের তালিকায় শিরোনামে থাকেন সইফিনা জুটি। কখনও সন্তান তো কখন নিজেদের নিয়ে হামেশাই ট্রোলের মুখে পড়েন এই জুটি। একটা সময়ে তাকে নিয়ে কী লেখা হতো তা নিয়ে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতেন সইফ আলি খান। নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য দেখলে তার মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। তারপর করিনা এই নজরদারি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সইফ জানিয়েছেন, আমি এখন আর নেতিবাচক মন্তব্য পড়ি না। আমি নেটমাধ্যম থেকে অনেকটাই সরিয়ে নিয়েছি নিজেকে। এবং তাত ভাল আছি। করিনার এই উপদেশ আজও মেনে চলেন সইফ। নিজেকে নিয়ে আর কোনও রকমের খবর তিনি পড়েন না। কারণ অভিনেতার মতে, নেটমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে হিংস্রতা ছড়ানো অনেক বেশি সহজ। তাই সেখান থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই শ্রেয়।