- Home
- Entertainment
- Bollywood
- সলমনের বিরুদ্ধে গেলেই বিপদ, ২০০২ সালের ঘটনায় 'ভাই'-র বিপক্ষে যেতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে রবীন্দ্র
সলমনের বিরুদ্ধে গেলেই বিপদ, ২০০২ সালের ঘটনায় 'ভাই'-র বিপক্ষে যেতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে রবীন্দ্র
সলমন খান। বলিউডের ওপেন সিক্রেট, ভাইয়ের সঙ্গে পাঙ্গা নিওনা, কপালে দুঃখ আছে। কেউই বলিউডে সলমনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না। বিবেক ওবেরয় প্রকাশ্যে নানা কথা বললেও অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সকলের সামনে কান ধরে, হাত জোড় করে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। অরিজিৎ সিংও সলমনের কাছে বহুবার ক্ষমা চেয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও। তবে কেন এত ভয় পায় মানুষ সলমন খানকে। ওনার চ্যারিটি দেখলে, দয়ালু ব্যবহার দেখলে তো কারও ভয় পাওয়ার কথা নয়। নিন্দুকদের কথায়, সলমন খানকে ভয় পাওয়ার করাণ একটাই, তাঁর বিরুদ্ধে গেলেই কেরিয়ার, জীবন সবই শেষ। ঠিক যেমন সলমনের প্রাক্তন বডিগার্ড, কনস্টেবল রবীন্দ্র পাতিলের অবস্থা হয়েছিল শেষ জীবনে।
- FB
- TW
- Linkdin
২০০২ সালে সলমন খানের হিট অ্যান্ড রান মামলা নিয়ে আজও মতবিরোধ চলতে থাকে। অসংখ্য প্রশ্নও উঠে আসে সকলের মনে। কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটে, আজও জানতে উৎসুক সাধারণ মানুষ।
কে ড্রাইভার সিটে ছিল। সলমন মদ্যপ ছিলেন কি না। ওভারস্পিডিং কেন করেছিলেন। বিভিন্ন তথ্য উঠে এল ঘটনার মোড় ঘুরেছিল রবীন্দ্র পাতিলের বয়ানে।
সলমন খানের বডিগার্ড হিসেবে কাজ করতেন তিনি। হিট অ্যান্ড রান কেসের একমাত্র প্রাইম সাক্ষী তিনিই ছিলেন। সলমন খান মদ্যপ ছিলেন, জোরে গাড়ি চালিয়ে এই কান্ড ঘটিয়েছিলেন তা একমাত্র রবীন্দ্রই নিজের এফআইআরে জানান।
দুর্ঘটনায় মত্যু হয় নারুল্লা শরিফের। যার কারণে ১৩ বছরের সাজা শোনানো হয়। তবে প্রাইম সাক্ষীর আদালতে একাধিকবার উপস্থিত না থাকায় সলমনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।
নিজেই এফআইআর করে কেন আদালতে উপস্থিত হতকে পারেননি রবীন্দ্র। বারে বারে প্রশ্ন উঠেছিল সকলের মধ্যে। রবীন্দ্র সেই সময় জানিয়েছিলেন আদালতে তাঁকে সাক্ষী হিসেবে যেতে বারণ করা হয়েছিল।
হুমকি দেওয়া হয়েছিল বহুবার। জীবনের শেষ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতেন রবীন্দ্র। বছর দুয়েক ধরে টিউবরকোলাইসিসের ভুগছিলেন তিনি।
২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তবে নিজের শেষ নিঃশ্বাস অবধি নিজের বয়ান এক রেখে দিয়েছিলেন।
সলমন খানই ড্রাইভার সিটে বসেছিলেন। রবীন্দ্র প্যাসেঞ্জারক সিটে ছিলেন। সলমন খান এতটাই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন যে জোরে গাড়ি চালানোর জন্য রবীন্দ্র তাঁকে বারণ করলেও তিনি শোনেননি।
শেষ জীবনে রবীন্দ্রের পরিবার তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কোথাও চাকরি পাননি। ভিক্ষা করে যতটুকু পেট চলত তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি ধীরে ধীরে।
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৩০ বছর। এভাবে রবীন্দ্রের মৃত্যুতেই ভয় ভয় থাকে ইন্ডাস্ট্রির সকল ব্যক্তিরা। তাই তাঁর বিরুদ্ধে প্রথমে মুখ খুলেও পরবর্তীকালে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন কিছু সংখ্যক তারকারা। কীসের কারণে বলিউডে চলে এই রাজনীতি তা আজও অজানা।