- Home
- Entertainment
- Bollywood
- ঐশ্বর্যের এমন সৌন্দর্যের পিছনের রহস্যটা কী জানেন, সামনে এল রাইসুন্দরী-র 'বিউটি সিক্রেট'
ঐশ্বর্যের এমন সৌন্দর্যের পিছনের রহস্যটা কী জানেন, সামনে এল রাইসুন্দরী-র 'বিউটি সিক্রেট'
ঐশ্বর্য রাই-কে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীকে নিয়ে এখনও মেতে থাকে নেটদুনিয়া। বিয়ে করেছেন, এরপর সন্তানের মা হয়েছেন। এই মুহূর্তে ছবি করলেও তা সংখ্যায় তেমন কিছু নয়। তারপরেও ঐশ্বর্যার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ার কোনও লক্ষণ নেই। এখনও ঐশ্বর্যা মানে গ্ল্যাম-ওয়ার্ডের খবর রাখনেওয়ালাদের কাছে একটা হট বিষয়। এহেন ঐশ্বর্যার রূপের রহস্য নিয়ে সামনে এসে এক তথ্য। যা নিয়ে এখন মেতে রয়েছে ঐশ্বর্যপ্রেমীরা।
- FB
- TW
- Linkdin
সম্প্রতি একটি মিডিয়া রিপোর্ট সামনে এসেছে। আর তাতে দাবি করা হয়েছে ঐশ্বর্য কেরলে একটি বিশাল বাক্সের অর্ডার দিয়েছিলেন। কী আছে সেই বাক্সে? এই নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে বলিউডে।
এই মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে ঐশ্বর্য-র জন্য কেরল থেকে আসছে বাক্স ভর্তি বিভিন্ন ধরনের তেল। এর কোনটি রোগা হাওয়ার জন্য আবার কোনও তেলের কাজ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি। কেরলের বিশ্বখ্যাত আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মেনে এইসব তেল ব্যবহার করলে নাকি চমৎকার ফল মেলে।
ইতিমধ্যে কেরল থেকে সেই বাক্স ভর্তি তেল নাকি লকডাউনের বাজারেও মুম্বই পৌঁছে গিয়েছে। এরপর তা ঐশ্বর্য-র বাড়িতে তা পৌঁছেও যায়। এখন নাকি সেই সব তেল দিয়ে রোজ নিজের রূপচর্চায় মেতে রয়েছেন রাই বিনোদনী।
প্রকাশিত এই মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে সম্প্রতি এমন একটি বাক্সের খোঁজ পাওযা যায়। যা কেরলের একটি আয়ুর্বেদিক ফার্ম থেকে মুম্বইয়ে বচ্চনদের বাড়িতে
পৌঁছে দেওয়া হয়। এই বিশাল বাক্সে কী রয়েছে, জিজ্ঞাসা করতেই নাকি উত্তর মিলেছে যে এতে স্লিমিং এবং টোনিং ওয়েল রয়েছে। মানে রোগা হতে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে এই তেলের জুড়ি মেলা ভার। সন্তানের জন্মের পর থেকেই কেরলের এই আয়ুর্বেদিক তেল নাকি ব্যবহার করে চলেছেন ঐশ্বর্য।
যদিও, এর আগে বহুবার ঐশ্বর্য বলেছিলেন যে তিনি সৌন্দর্য রক্ষায় দেশিয় টোটকাতেই বেশি নির্ভরশীল। মুখে এবং হাতে তিনি বেসন মিক্সের প্রলেপ লাগান। এতে বেসনের সঙ্গে সঙ্গে কাঁচা হলুদ এবং দুধ মেশানো থাকে।
ত্বকের আদ্রতা দূর করতে ঐশ্বর্যা দই-ও ব্যাবহার করতেন। মুখের ত্বকের সৌন্দর্য এবং ট্যান দূর করতে তিনি শশা-র পেস্টও ব্যবহার করেছেন। অনেকটা ফেস-মাস্কের মতো এটা ব্যবহার করেন তিনি। এছাড়াও, ত্বকের আদ্রতার মোকাবিলায় তিনি বিভিন্ন ধরনের ময়শ্চারাইজারও ব্যবহার করে থাকেন।
ঐশ্বর্যা বিভিন্ন সময়ে তাঁর সৌন্দর্যের পিছনের রহস্যের কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি সে ভাবে কোনও জাঙ্ক ফুড বা ফার্স্টফুড খান না। তাঁর বরং পছন্দের বাড়িতে বানানো খাবার।
এমনকি কেমিক্যাল লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করেন না রাই সুন্দরী। তার সৌন্দর্য চর্চার পুরো বিষয়টি নির্ভর করে ঘরোয়া টোটকা এবং কিছু ভেষজ-আয়ুর্বেদিকে।
বাড়ির বাইরে বের হলে বা পাবলিক-অ্যাপিয়ার্সেও ঐশ্বর্য কোনওদিনই চড়া মেকআপের পক্ষপাতি ছিলেন না। অবশ্য তাঁর ত্বকের নমনীয়তা এক্ষেত্রে তাঁকে বাড়তি সাহায্য জোগায়। সাধারণ টোনড ডাউন মেকআপ করতে ভালোবাসেন অ্যাশ। ঠোঁটে সাধারণত পিঙ্ক, পিচ বা ব্রাউনের শেড রাখতে পছন্দ করেন। গালেও এমন ব্লুজ লাগান যাতে তা কোনওভাবেই তাঁর ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কে গ্রাস করতে না পারে বা চোখের আবেদনকে চাপা দিতে না পারে।
তবে, নিজেকে স্লিম-ট্রিম রাখার ব্যাপারে ঐশ্বর্য যে খুবই পরিশ্রমী! এমন দাবি তিনি নিজেও করেন না। তাঁর নীতি হল লাইট জগিং এবং যোগাসনে যে টুকু না করলে নয় সেটাই করতে তিনি ভালোবাসেন। ফলে, তাঁর সৌন্দর্যে একটা নমনীয়তা লক্ষ্য করা যায়। যেটা তাঁর ইউএসপি।