- Home
- Entertainment
- Bollywood
- গানের সুযোগ আসলেও তা রিলিজ হত না, বিজ্ঞাপনে কাজ করে লড়াই চালিয়ে ছিলেন অরিজিৎ
গানের সুযোগ আসলেও তা রিলিজ হত না, বিজ্ঞাপনে কাজ করে লড়াই চালিয়ে ছিলেন অরিজিৎ
আজ তাঁর গানের জাদুতেই কাবু আট থেকে আশি। কিন্তু এই গায়ককেই একদিন দোরে দোরে ঘুরতে হয়েছিল একটা সুযোগের জন্য। তা এসেওএ ছিল কিন্তু ভাগ্য দেয়নি সাথ। তবুও কোনও দিন হাল ছাড়েননি অরিজিৎ। বিশ্বাস ছিল, একদিন সবার মনে জায়গা করে নেবেন। তার কঠোর পরিশ্রমে সেই স্বপ্ন সত্যি হতে সময় লাগেনি বেশিদিন। দুই ছবির সিক্যুয়ালই ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছিল অরিজিৎ-এর। আর বর্তমানে অরিজিৎ গান ছাড়া ছবি যেন বলিউড ভাবতেই পাড়ে না।
| Published : Apr 21 2020, 11:52 AM IST / Updated: Apr 21 2020, 12:08 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
ছোট থেকেই অরিজিৎ সিং-এর গানের সখ ছিল। গান গাইতে ভিষণ পছন্দ করতেন তিনি। তাই পড়াশুনাতে ছিল না খুব একটা নজর।
অরিজিৎ সিং-এর মা বাঙালি আর বাবা পাঞ্জাবি ছিলেন। মা ও দিদার সঙ্গে তিনি মুর্শিদাবাদেই থাকতেন। সেখানেই হাতেখড়ি হয় গানের।
ছোটবেলায় তিনি পেয়েছিলেন গানের জন্য স্কলারসিপ পেয়েছিলেনয তা দিয়েই শুরু হয়েছিল ক্লাসিক্যাল গানের চর্চা। এর আগে থেকেই তিনি গান শিখতেন রাজেন্দ্র প্রসাদ হাজারির কাছে।
এরপর তিনি গুরুকূল রিয়ালিটি শো-এর জন্য আবেদন করেন। সেখানে সেরা ছয় গিয়ে তাঁকে বিদায় নিতে হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই তখন চিনে ফেলেছিলেন অরিজিৎ-কে।
তবে সেভাবে জমছিল না পসার। পূরণ হচ্ছিল না স্বপ্ন। তবুও হাল ছাড়েননি অরিজিৎ। এমনই সময় সঞ্জয়লীলা বনশালি তাঁকে গানের সুযোগ দেন।
সাওয়ারিয়া ছবিতে প্রথম গান গেয়েছিলেন। কিন্তু সেই গান বাদ পড়ে যায় ছবি থেকে। এখানেই শেষ নয়, এরপরও চিপস-এর কুমার তুরানিও দিয়েছিলেন সুযোগ। কিন্তু সেই অ্যালবামও মুক্তি পায়নি।
এরপর ২০০৬ সালে মুম্বইতে নিজের একটি স্টুডিও তৈরি করেন অরিজিৎ সিং। বিজ্ঞাপনে কাজ করেই চালাতেন খরচ। আশা ছাড়েননি কখনই।
এরপরই ফেরে ভাগ্য। সুযোগ আসে দক্ষিণী ছবির গানের। কেডি ছবিতে গান গেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
২০১১ সালে মুক্তি পায় মাডার ২ ছবি। এই প্রথম বলিউডে ব্রেক পেয়েছিলেন অরিজিৎ। প্রথম গানেই বাজিমাত করেছিলেন তিনি। যদিও গানটি রেকর্ড করা হয়েছিল ২০০৯ সালে।