- Home
- Entertainment
- Bollywood
- ব্রাউনি গার্ল-এর তকমা থেকে বিশ্ব সুন্দরী খেতাব, কন্ট্রোভার্সি বলিডিভার সফরের না-বলা কাহিনি
ব্রাউনি গার্ল-এর তকমা থেকে বিশ্ব সুন্দরী খেতাব, কন্ট্রোভার্সি বলিডিভার সফরের না-বলা কাহিনি
বলিউডের দেশি গার্ল প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। বিহারের একটি ছোট শহরের মেয়ে থেকে আন্তর্জাতিক স্টার হয়ে ওঠা খুব একটা সহজ ছিল না। একটা সময় বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। আর সে সমস্ত বাঁধা বিপত্তিকে হাঁসি মুখে সামলে ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেই কারণেই অনেকের চোখে আজ তিনি আউক্যুন। শুধু বলিউড নয়, তার পাশাপাশি হলিউডেও তাঁর জনপ্রিয়তা বর্তমানে উল্লেখযোগ্য। সেলেব মানেই তো খোলা বই, সবটাই সার্ভে লেন্সের আওতায়। কিন্তু তাঁদের এই সংগ্রামে এমন অনেক অজানা গল্প থেকে যায়, যা সচরাচর প্রকাশ্যে আসে না। আজ রইল তেমনই কিছু তথ্য পিগি চপসকে নিয়ে।
- FB
- TW
- Linkdin
২০০২ সালে বলিউডে অভিষেকের পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রিয়ঙ্কা হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মারাঠি, ইংরেজি ছবি সহ মোট ৬৩ টি সিনেমায় কাজ করেছেন। তবে বর্তমানে প্রিয়ঙ্কা হলিউডের সিনেমা এবং টিভি শো নিয়ে বেশি ব্যস্ত।
বর্তমানে প্রিয়ঙ্কা বলিউডের যে কোনও অভিনেত্রীদের থেকে অনেক বেশি সম্পত্তির মালিক বর্তমানে। ২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রিয়ঙ্কার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ মিলিয়ান উএস ডলার বা ৪২৫ কোটি টাকা।
প্রিয়ঙ্কার বাবা এবং মা দুজনেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চিকিৎসক ছিলেন। যার ফলে মাত্র ১৩ বছর বয়েসের মধ্যে প্রিয়ঙ্কা ভারতের প্রায় ৭ টি রাজ্যে থাকার সুযোগ পান। প্রিয়ঙ্কার মতে এই জার্নিটা তিনি খুবই উপভোগ করতেন।
১৯৯৩ সালে প্রিয়ঙ্কা আমেরিকায় লেখাপড়া করতে গেলে তাঁকে অনেক অপমানিত হতে হয়। তিনি ভারতীয় বলে আমেরিকায় প্রিয়ঙ্কাকে ‘ব্রাউনি গার্ল’ বলে ঠাট্টা করতো।
১৯৯৯ সালে প্রিয়ঙ্কা উত্তর প্রদেশের একটি স্থানীয় সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম হন। এর ফলে ওখানকার প্রায় সব ছেলেই প্রিয়ঙ্কার জন্য পাগল হয়ে যায়। তার মধ্যে অনেক ছেলে প্রিয়ঙ্কাকে এত বিরক্ত করতো যে, তাঁর বাবা-মাকে প্রিয়ঙ্কার জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয়।
এরপর ২০০০ সালে প্রিয়ঙ্কা বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব অর্জন করেন। ভারতীয়দের মধ্যে প্রিয়ঙ্কা পঞ্চম বারের জন্য এই খেতাব অর্জন করেন।
বিশ্বসুন্দরী হওয়া সত্ত্বেও প্রিয়ঙ্কাকে প্রথমের দিকে সেইভাবে বলিউডে সুযোগ দেওয়া হয়নি। প্রিয়ঙ্কা তার ফিল্ম কেরিয়ার শুরু করেন তামিল সিনেমার হাত ধরে। ২০০২ সালে মুক্তি পায় প্রিয়াঙ্কার প্রথম সিনেমা ‘থামিজান’।
২০০৩ সালে বলিউডে দ্যা হিরো নামে প্রিয়ঙ্কার একটি ছবি মুক্তি পায়। যা ওই বছর বলিউডের বক্স-অফিসে সবচেয়ে সফল সিনেমা ছিল। যার ফলে এরপর থেকেই একের পর এক সিনেমা আসতে থাকে প্রিয়ঙ্কার কাছে।
এরপর থেকে প্রিয়ঙ্কা অনেক তামিল সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় ‘মুঝসে সাদি কারোগি’। এই সিনেমায় সলমন এবং অক্ষয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার অভিনয় চারিদিকে আলোড়ন ফেলে দেয়। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
বলিউডে পাকাপাকি জায়গা করে নেওয়ার পর ২০১৫ সালে আমেরিকার বিখ্যাত টিভি শো ‘কয়ান্টিকো’ দিয়ে প্রিয়ঙ্কার হলিউড যাত্রা শুরু হয়। তারপর একের পর এক হলিউডের সিনেমায় কাজ করে ভারতের বাইরেও প্রচুর ফ্যানফলোয়ার তৈরি করেন প্রিয়ঙ্কা। একসময় যে আমেরিকানরা তাঁকে ব্রাউনি গার্ল বলে অপমানিত করেছিল আজ তারাই প্রিয়ঙ্কার অনেক বড় ফ্যান।