- Home
- Entertainment
- Bollywood
- সহবাস থেকে ধর্ষণের অভিযোগ, ৩ বার বিয়ে, সলমনের সাহায্য পেয়েও মুখ থুবড়ে পড়েন প্রয়াত ইন্দ্র কুমার
সহবাস থেকে ধর্ষণের অভিযোগ, ৩ বার বিয়ে, সলমনের সাহায্য পেয়েও মুখ থুবড়ে পড়েন প্রয়াত ইন্দ্র কুমার
- FB
- TW
- Linkdin
জয়পুরের ছেলে ইন্দ্র কুমার। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মু্মূই পাড়ি। মিউজিক ভিডিও দিয়ে কাজ শুরু করেন ইন্দ্র। কাজের সূত্রেই মহেশ কোঠারির সঙ্গে আলাপ হতেই সুযোগ পান মাসুম ছবিতে। শুধুমাত্র নাচের জন্যই তার দৃশ্য়ও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল পরিচালক।
কেরিয়ারের শুরুতেই জীবেন আসে প্রেম। নায়িকা মনিকা বেদীর সঙ্গে ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন ইন্দ্র। যদিও বহুচর্চিত প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বেশিদিন। তারপরেই 'কহি প্যায়ার না হো জায়' ছবির সময় বলিউডের ভাইজানের সঙ্গে আলাপ হয় ইন্দ্রর। দুজনেই ফিটনেস ফ্রিক। তাই বন্ধুত্ব হতেই খুব বেশি সময় লাগেনি। জিম থেকে পার্টি ভাইজানের সঙ্গে সর্বত্র দেখা যেত ইন্দ্রকে।
তারপরেই বলি অভিনেত্রী ইশা কোপিকর-এর ছবি করতে গিয়ে প্রেমে পড়েন ইন্দ্র। লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা শুরু করলেও তাদের সম্পর্কও ভেঙে যায়।
তবে শুধু প্রেম নয়, দুর্ঘটনাও কেরিয়ারের সুযোগ কেড়ে নিয়েছিল ইন্দ্রর। 'কিউকি সাস ভি কভি বহু থি' ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন ইন্দ্র। কিন্তু দুর্ঘটনায় বাদ পড়ে ইন্দ্র এবং মিহিরের চরিত্রটি যায় রণিত রায়ের কাছে।
কেরিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দিশেহারা ইন্দ্র ২০০৩ সালে বিয়ে করেন ম্যানেজের রাজু কারিয়ার মেয়ে সোনালকে। কিন্তু ৫ মাসের মধ্যে সংসার ভেঙে বেরিয়ে আসেন অন্তঃসত্ত্বা সোনাল। মাদকাসক্ত ইন্দ্র নাকি হতাশায় ভুগতেন এবং ইশার সঙ্গেও তার সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেন সোনাল। প্রথম বিয়ে ভাঙতেই নেশায় ডুবে যান ইন্দ্র। সেই কঠিন সময়ে সলমন খানই ফের বলিউডে ফিরিয়ে আনেন ইন্দ্রকে। ফের তার জীবনে আসেন ইশা। সেখান থেকেই কেরিয়ারে ফোকাস করেন ইন্দ্র।
এত কিছুর মধ্যে ভাইজান পাশে ছিলেন অভিনেতার। ওয়ান্টেড ছবিতে ভাইয়ের চরিত্রে দেখা গেছে ইন্দ্রকে। কিন্তু ফের একা হয়ে যায় ইন্দ্র। ২০০৯ সালে প্রেমিকা ইশা আবারও ছেড়ে দেন ইন্দ্রকে এবং বিয়ে করেন ব্যবসায়ী টিমি নারাং-কে। কিছুদিন পর ইন্দ্রও বিয়ে করেন কমলজিৎ কউর নামের এক উঠতি মডেলকে। মাত্র ২ মাসেই ভেঙে যায় তার দ্বিতীয় বিয়েও।
তারপর থেকে প্রেম-বিয়ে থেকে আস্থা হারান অভিনেতা। ফের নিজেকে শক্ত করে ২০১৩ সালে বিয়ে করেন পল্লবীকে। বিয়ের ১ বছরের পরে জন্ম হয় ফুটফুটে মেয়ে। তারপরেই ২০১৪ সালে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে অভিনেতার বিরুদ্ধে। দেড় মাস জেলে থাকার পর জামিনে ছাড়া পান ইন্দ্র। সেই সময় ইন্ডাস্ট্রির কাউকে পাশে পাননি অভিনেতা। তারপরেই অভিনয় জগতে ফিরতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছিলেন অভিনেতা। অতীত তাকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে।
শেষমেষ ২০১৭ সালে ২৮ জুলাই হার্ট অ্যাটাকে মারা যায় ইন্দ্র কুমার। তারপরে নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিয়ো। যেখানে এক হাতে সুরার গ্লাস নিয়ে বলছেন, তিনি আত্মহত্যা করতে চান। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।বিতর্ক থামাতে পল্লবী জানান, ওই ভিডিও ইন্দ্র কুমারের একটি ছবির দৃশ্য। যা প্রযোজনা সংস্থার গাফিলতিতে বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবির নাম ‘ফাটি পড়ি হ্যায় ইয়ার’। তাঁর মৃত্যুর ২ বছর পরে মুক্তি পায় ছবিটি।কেরিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনে যত বার এগোতে চেয়েছেন অতীতই শেষ করে দিয়েছে অভিনেতার জীবনকে।