স্থায়ী চাকরি নাকি ফ্রিলান্সিং, আপনার জন্য কোনটা আদর্শ, মাথায় রাখুন ১০ টি জিনিস
বর্তমান চাকরির বাজারে রয়েছে একাধিক অপশন (Option)। রোজগার (Income) করতে গেলেই যে রোজ অফিস গিয়ে ৯ ঘন্টা আটকে থাকতে হবে এমন নয়। স্বাধীন ভাবেও চাকরি করা সম্ভব। বর্তমানে ওয়ার্ক ফ্রম (Work from Home) পন্থা বেশ ভালো ভাবে গৃহীত হয়েছে ভারতে। আজকাল অনেকেই বাড়ি বসে, নিজের সময় মতো কাজ করছেন। এই পন্থায় ভালো মতো রোজগারও করছে। বর্তমানে বেশ খ্যাতি পেয়েছে ফ্রিল্যান্সিং-এর পথ। এতে আপনি কাজের জন্য যতটা সময় দিতে পারবেন, তেমন রোজগার (Income) হবে। যে মাসে বেশি সময় দেবেন সে মাসে রোজগার বেশি। বহু মহিলারা এই পদ্ধতিকে আপন করেছেন। এতে সংসার সামলে কাজ করা সম্ভব। আবার স্থায়ী চাকরিতে আয় বেশি। জেনে নিন কোন ধরনের কাজ আপনার জন্য সেরা।
| Published : Mar 12 2022, 01:34 PM IST / Updated: Mar 12 2022, 01:37 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
নির্দিষ্ট বেতন নেই ফ্রিল্যান্সিংর কাজে। প্রতি মাসে আপনি যেমন কাজ করবেন, তেমন বেতন পাবেন। অন্যদিকে, সপ্তাহে নির্দিষ্ট ছুটির দিনও নেই। ফলে, স্থায়ী চাকরির মতো সমান চাপ নিতে হয়, কিন্তু সে অর্থে আয় হয় না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, আপনি হয়তো সারা মাস সময় দিলেন। কিন্তু, আয় সে অর্থে হল না।
এমন অনেকেই আছেন যাদের পক্ষে সংসার ও বাচ্চা সামলে রোজ অফিস যাওয়া সম্ভব নয়। পরিস্থিতির চাপে চাকরি ছাড়তে বাধ্যহন। বাধ্য হন নিজের পেশা ছেড়ে দিতে। এক্ষেত্রে, ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। অধিকাংশ পেশায়ই এমন সুযোগ আছে। আর যদি শুধু হাত খরচ চালানোর জন্য রোজগার করতে চান, তাহলে অবশ্যই বেছে নিতে পারেন ফ্রিল্যান্সের কাজ।
পেমেন্ট অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং-র টাকা পেতে অনেককে সমস্যায় পড়তে হয়। যদি কোনও মাসে অল্প টাকা থাকে, তাহলে কোম্পানি সহজে তা দিতে চায় না। টাকা পেতে নানান ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই যে সংস্থার হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করছেন, সেই সংস্থা প্রসঙ্গে বিস্তারিত জেনে তবেই কাজে হাত দেবেন। তা না হলে সমস্যা হতেই পারে।
অফিসে রোজ ৯ থেকে ১০ ঘন্টা কাজ করতে হয়। অনেক সময় তার বেশি। অনেকেই কাজের চাপে শনি-রবি কাজ করতে হয়। অনেক পেশায় শনি ও রবি ছুটি নেই। এমন পরাধীতা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধিনতা আপনার হাতে। আপনি ঠিক করবেন কতটা কাজ করবেন, কবে ছুটি নেবেন।
ফ্রিল্যান্সিং-এর কাজ করছেন মানে দায়িত্ব কম থাকে এমন নয়। এই কাজেও দায়িত্ব আছে। তবে, স্থায়ী চাকরির থেকে এতে সামান্য হলেও দায়িত্ব কম। কারণ, ফ্রিল্যান্সিং-এ শুধু নিজের কাজ করলেই হল। অন্য কারও কাজের খোঁজ রাখতে হয় না। তায়ি দায়িত্বের ঝক্কি এড়াতে চাইলে ফ্রিল্যান্স করতে পারেন।
অনেকে পড়াশোনার পাশাপাশি রোজগার করতে চান। যা নিয়ে পড়াশোনা করছেন, সেই পেশা সম্পর্কে হাতে কলমে শিখতে চান। সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। এতে পড়া ও চাকরি দুটোই বজায় থাকবে। নিজের সময় বুঝে কাজ নেবেন। তাহলে দুটো সহজে ব্যালেন্স করতে পারবেন। তাই পড়াশোনার ও রোজগার এক সঙ্গে করতে চাইলে এটা আয়ের সেরা উপায়।
সব কাজেই পরিশ্রম করতে হয়। আপনি যতটা পরিশ্রম করবেন, ততটা আয় হবে। তবে স্থায়ী চাকরিতে আয়ের একাধিক সুযোগ আছে। প্রতিবছর কর্মীদের বোনাস মেলে। সঙ্গে ওভার টাইম কাজের জন্য মেলে বাড়তি অর্থ। কিন্তু, ফ্রিল্যান্সিং-এর এমন কোনও সুযোগ নেই। ফ্রিল্যান্সিং-র কাজে যতই পরিশ্রম করুন না কেন, স্থায়ী চাকরির মতো সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় না।
বেসরকারি অনেক কোম্পানি নানা কারণে বন্ধ হতে দেখেছি আমরা। এতে বহু কর্মী বেকার হয়ে যান। কিন্তু, ফ্রিল্যান্সিং-র কাজ যারা করেন, তাদের কোম্পানি বন্ধ হলে সমস্যা নেই। যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন, তারা একাধিক কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত থাকেন। ফলে, একটি বন্ধ হলে, অন্যটি থেকে আয় হতেই থাকবে।
হয়তো পারিবারিক কারণে আপনি অন্য শহরে শিফট করেছেন। সেখানে আপনার পেশার চাকরি খোঁদা কঠিন। এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং-র কাজ। অন্য শহরে বসেও এই কাজ করতে পারেন। এতে নিজের পেশার সঙ্গে যুক্তও থাকবেন আবার রোজগারও হবে। আজকাল নেটের ওপর আমরা সকলেই নির্ভর করি। তাই অন্য শহরে বসে কাজে তেমন কোনও সমস্যা দেখা দেয় না।
স্থায়িত্বের কথা মাথায় এলে বেছে নিতে হবে স্থায়ী চাকরি। আপনি কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে সেই চাকরি সহজে যাওয়া মুশকিল। কিন্তু, ফ্রিল্যান্সিং-র কাজ যখন তখন চলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে, আপনি সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন না। তাই আপনার কাজের স্থায়িত্ব থাকাও মুশকিল। এমন ধারণা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে স্থায়ী চাকরিতে যোগ দিন।