- Home
- India News
- কোভিশিল্ডের ২টি ডোজের পরে অ্যান্টিবডি মেলেনি ১৬ শতাংশের শরীরে, বুস্টার শটে কি আস্থা রাখতে হবে
কোভিশিল্ডের ২টি ডোজের পরে অ্যান্টিবডি মেলেনি ১৬ শতাংশের শরীরে, বুস্টার শটে কি আস্থা রাখতে হবে
- FB
- TW
- Linkdin
আইসিএমআর এর গবেষণায় দেখা গেছে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল- এমন মানুষদের ১৬.১ শতাংশের শরীরে ডেল্টার বিরুদ্ধে কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি।
আর কোভিশিল্ডে একটি ডোজ নেওয়া গ্রাহকদের ৫৮.১ শতাংশে শরীরে ডেল্টার বিরুদ্ধে কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের সমীক্ষার এখনও পর্যন্ত কোনো রিভিউ করা হয়নি। আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান হয়েছে।
ভেলোরের ক্রিশ্চান মেডিক্যাল কলেজে মাইক্রোবায়োলডি বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন পর্যবেক্ষণ না করা উপস্থিত না থাকার সমতুল্য নয়। তিনি আরও বলেছেন এমনই হতে পারে অ্যান্টিবডিগুলির মাত্রে এতটাই কম ছিল যা নিরপেক্ষ করে পর্যবেক্ষণ করা যায়নি। কিন্তু তারপরেও অ্যান্টিবডি মানুষের শরীরে উপস্থিত থাকতে পারে। আর সেই অ্যান্টিবডি সংক্রমণ ও গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সুরক্ষা দিতে পারবে।
তিনি আরও বলেছেন, কিছু কোষের মধ্যস্থতাযুক্ত প্রতিরক্ষামূলত প্রতিরোধ ক্ষমতাও থাকবে যা ব্যক্তিটিকে রক্ষা করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে যদি ধরে নেওয়া হয়, সমীক্ষাটি শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর ব্যক্তিদের মধ্যে করা হয়েছিল, তাহলে বলা যেতে পারে, আসুস্থদের তুলনায় সুস্থ মানুষের শরীর অ্যআন্টিবডির উপস্থিতি বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে বৃদ্ধ, অসুস্থ, দীর্ঘদিন রোগেভোগা মানুষ, ডায়াবেটিস রোগীদের তৃতীয় ডোজ দেওয়া জরুরি।
এই সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট হয়েছে ভারতের কিছু মানুষের জন্য কোভিশিল্ডের একটি অতিরিক্ট বুস্টার শট লাগতে পারে। অন্যদিকে যাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের একটি মাট্র টিকা দিলেও হবে।
ভারতের করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের জন্য চিকিৎসকরা মূলত দায়ি করেছিলেন ডেল্টা স্ট্রেইনকে। কিন্তু সেই ডেল্টা স্ট্রেইন এখন আবার নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে বিজ্ঞানীদের।